ঢাকা ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃষ্টিতে খুলে গেলো প্রার্থীদের পোষ্টার

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে মোংলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। কয়েকদিনের টানা দাবদাহের মধ্যে ১৩ জন প্রার্থীর চলছে জমজমাট প্রচারণা। নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের সাদাকালো আর রঙ্গিন পোস্টার শোভা পাচ্ছিল পৌর শহরের অলিগলি, হাট বাজার, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র। আবার গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে।
কিন্তু সোমবার (২০ মে) দুপুরে টানা দুই ঘন্টার বৃষ্টিতে সর্বনাশ ডেকে এনেছে নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে ধুয়ে গেলো দড়িতে ঝোলানো সব পোস্টার।
এদিন সরেজমিনে শহরের চৌধুরী মোড়, বিএলএস মোড়, শেখ আব্দুল হাই সড়ক, কবরস্থান রোড, মিয়াপাড়া, কলেজ মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীদের পক্ষে দড়ি দিয়ে যে পোস্টার ঝোলানো হয়েছিল, তার সবই ধুয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। ওপরে ঝুলছে শুধু দড়ি। এই দৃশ্য শুধু পৌর শহরে নয়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নেও যত পোস্টার ছিল, সব ভিজে নিচে পড়ে গেছে।
মোংলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বই প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জামাল হোসেন জানান, তার সব পোস্টার বৃষ্টিতে ছিঁড়ে পড়ে গেছে। সব প্রার্থীরই পোস্টার বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এখন নতুন করে আবার পোস্টার ছাপিয়ে ঝোলাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পোস্টার তো টাঙাতেই হবে। তা না হলে ভোটার প্রতীক চিনবে কী করে?
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিতে তিনিসহ সব প্রার্থীরই পোস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এরই মধ্যে প্রেসে আবার পোস্টার ছাপানোর অর্ডার দিয়েছেন। এর ফলে সবার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে প্রার্থীদের সর্বনাশ হলেও লাভ হবে ছাপাখানাগুলোর। মোংলা সাজু আর্ট প্রেসের মালিক মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, সব প্রার্থীরই সর্বনাশ হয়েছে। প্রার্থীদের পোস্টার ছিঁড়ে পড়ে গেছে। এখন অনেক প্রার্থীই আবার নতুন করে পোস্টার ছাপানোর জন্য অর্ডার দেবেন। কয়েকজন এরই মধ্যে যোগাযোগও করেছেন।
জানা গেছে, প্রতিটি রঙিন পোষ্টার ৮-১০ টাকা এবং সাদা-কালো নির্বাচনী পোস্টারের জন্য ৪-৫ টাকা খরচ হয়। আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠিক কি পরিমাণ পোষ্টার টাঙানো হয়েছিল, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলাজুড়ে তিন লাখের বেশি পোষ্টার টাঙানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মোংলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রার্থীদের নিয়ম, নীতি মেনে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। পোষ্টার লাগলোর ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা রয়েছে সেসব মেনে পুনরায় পোষ্টার লাগাতে পারবে।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বৃষ্টিতে খুলে গেলো প্রার্থীদের পোষ্টার

আপডেট সময় ০৭:১১:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪
মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে মোংলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। কয়েকদিনের টানা দাবদাহের মধ্যে ১৩ জন প্রার্থীর চলছে জমজমাট প্রচারণা। নির্বাচনি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের সাদাকালো আর রঙ্গিন পোস্টার শোভা পাচ্ছিল পৌর শহরের অলিগলি, হাট বাজার, রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র। আবার গানে গানে ভোট চাওয়া হচ্ছে মাইকের মাধ্যমে।
কিন্তু সোমবার (২০ মে) দুপুরে টানা দুই ঘন্টার বৃষ্টিতে সর্বনাশ ডেকে এনেছে নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের জন্য। বৃষ্টিতে ভিজে ধুয়ে গেলো দড়িতে ঝোলানো সব পোস্টার।
এদিন সরেজমিনে শহরের চৌধুরী মোড়, বিএলএস মোড়, শেখ আব্দুল হাই সড়ক, কবরস্থান রোড, মিয়াপাড়া, কলেজ মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীদের পক্ষে দড়ি দিয়ে যে পোস্টার ঝোলানো হয়েছিল, তার সবই ধুয়ে রাস্তায় পড়ে আছে। ওপরে ঝুলছে শুধু দড়ি। এই দৃশ্য শুধু পৌর শহরে নয়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নেও যত পোস্টার ছিল, সব ভিজে নিচে পড়ে গেছে।
মোংলা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বই প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জামাল হোসেন জানান, তার সব পোস্টার বৃষ্টিতে ছিঁড়ে পড়ে গেছে। সব প্রার্থীরই পোস্টার বৃষ্টিতে নষ্ট হয়েছে। এখন নতুন করে আবার পোস্টার ছাপিয়ে ঝোলাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পোস্টার তো টাঙাতেই হবে। তা না হলে ভোটার প্রতীক চিনবে কী করে?
চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তাহের হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিতে তিনিসহ সব প্রার্থীরই পোস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এরই মধ্যে প্রেসে আবার পোস্টার ছাপানোর অর্ডার দিয়েছেন। এর ফলে সবার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে প্রার্থীদের সর্বনাশ হলেও লাভ হবে ছাপাখানাগুলোর। মোংলা সাজু আর্ট প্রেসের মালিক মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, সব প্রার্থীরই সর্বনাশ হয়েছে। প্রার্থীদের পোস্টার ছিঁড়ে পড়ে গেছে। এখন অনেক প্রার্থীই আবার নতুন করে পোস্টার ছাপানোর জন্য অর্ডার দেবেন। কয়েকজন এরই মধ্যে যোগাযোগও করেছেন।
জানা গেছে, প্রতিটি রঙিন পোষ্টার ৮-১০ টাকা এবং সাদা-কালো নির্বাচনী পোস্টারের জন্য ৪-৫ টাকা খরচ হয়। আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঠিক কি পরিমাণ পোষ্টার টাঙানো হয়েছিল, তার সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব নেই। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলাজুড়ে তিন লাখের বেশি পোষ্টার টাঙানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মোংলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রার্থীদের নিয়ম, নীতি মেনে প্রচার-প্রচারণা করতে হবে। পোষ্টার লাগলোর ক্ষেত্রে যে নির্দেশনা রয়েছে সেসব মেনে পুনরায় পোষ্টার লাগাতে পারবে।
আরো পড়ুন : মোংলায় গ্রীল কেটে অর্থ স্বর্ণালংকার লুট, আটক-১