ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিকিৎসক সাখাওয়াতসহ বিএনপি’র ২১ নেতাকর্মী কারাগারে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিএনপিপন্থি চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ ২১ জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।

ডা. সাখাওয়াতের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থকে গতকাল বুধবার বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোটা সংস্কারপন্থি ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ছয়জনের গায়েবানা জানাজার শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, কারাগারে যাওয়া বাকি আসামিরা হলেন—দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম খান জুয়েল, তুরাগ থানার বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমান উল্লাহ ভূইয়া তামান, দিল মোহাম্মদ, মো. নওয়াব আলী, দারুস সালাম থানায় ১২ নং ওয়ার্ড যুবদল সেক্রেটারী শেখ মর্তুজা আলী, রূপনগর থানার শ্রমিক দলের সেক্রেটারি মো. শামছুল আলম মিন্টু, বিএনপিনেতা এস এম মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ, মো. আবুল বাশার ভুইয়া, ফজলুর রহমান, ইকতারুল ইসলাম মিতু, মো. মাছুম, আমির হোসেন, মনির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল আমিন সুজন, মো. কামরুল হাসান, মো. হামিদুর রহমান হাম্মাদ রারিব, রফিকুল ইসলাম, মো. ফয়েজ আহমেদ ও সৈয়দ ইসমাইল হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে বিএনপি। জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০০ থেকে ৫০০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে তারা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট দিয়ে বের হয়ে মিছিলসহ অরাজকতা সৃষ্টি করে। বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে পল্টন মোড়ে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তাদের অনুরোধ করে কর্তব্যরত পুলিশ। কিন্তু, তারা তা অমান্য করে পুলিশের প্রতি চরম মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও রাস্তায় পাকা যানবাহনে ভাঙচুর করে।

ওই ঘটনায় পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউন হক বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিন উন নবী খান সোহেলসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : কোটা আন্দোলনে বিএনপি জড়িত নয় : মির্জা ফখরুল

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

চিকিৎসক সাখাওয়াতসহ বিএনপি’র ২১ নেতাকর্মী কারাগারে

আপডেট সময় ০৬:৪৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও বিএনপিপন্থি চিকিৎসক সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থসহ ২১ জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দেন।

ডা. সাখাওয়াতের আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থকে গতকাল বুধবার বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কোটা সংস্কারপন্থি ও পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ছয়জনের গায়েবানা জানাজার শেষে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, কারাগারে যাওয়া বাকি আসামিরা হলেন—দারুস সালাম থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম খান জুয়েল, তুরাগ থানার বিএনপির আহ্বায়ক মো. আমান উল্লাহ ভূইয়া তামান, দিল মোহাম্মদ, মো. নওয়াব আলী, দারুস সালাম থানায় ১২ নং ওয়ার্ড যুবদল সেক্রেটারী শেখ মর্তুজা আলী, রূপনগর থানার শ্রমিক দলের সেক্রেটারি মো. শামছুল আলম মিন্টু, বিএনপিনেতা এস এম মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ, মো. আবুল বাশার ভুইয়া, ফজলুর রহমান, ইকতারুল ইসলাম মিতু, মো. মাছুম, আমির হোসেন, মনির হোসেন, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আল আমিন সুজন, মো. কামরুল হাসান, মো. হামিদুর রহমান হাম্মাদ রারিব, রফিকুল ইসলাম, মো. ফয়েজ আহমেদ ও সৈয়দ ইসমাইল হোসেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে বিএনপি। জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৪০০ থেকে ৫০০ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে তারা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট দিয়ে বের হয়ে মিছিলসহ অরাজকতা সৃষ্টি করে। বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মী বিভিন্ন ধরনের রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে পল্টন মোড়ে এলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য তাদের অনুরোধ করে কর্তব্যরত পুলিশ। কিন্তু, তারা তা অমান্য করে পুলিশের প্রতি চরম মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও রাস্তায় পাকা যানবাহনে ভাঙচুর করে।

ওই ঘটনায় পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউন হক বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিন উন নবী খান সোহেলসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন : কোটা আন্দোলনে বিএনপি জড়িত নয় : মির্জা ফখরুল