ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আবারো লেবাননে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল সাইবার নিরাপত্তাসহ সকল কালো আইন অবশ্যই বাতিল হবে : আসিফ নজরুল ১০ বছর পর বিশ্বকাপে জয় পেল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল টাইম ম্যাগাজিনের উদীয়মান ১০০ বিশ্বনেতার তালিকায় নাহিদ ইসলাম সরকারের সর্বত্র শেখ হাসিনার ভূতরা সক্রিয় : রিজভী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে বসে এখনও ষড়যন্ত্র করছেন : শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ১০ কোটিতে ডিসি নিয়োগ, কেলেঙ্কারির স্ক্রিনশট ফাঁস ড. ইউনূসের ৬৬৬ কোটি টাকা করের রায়ে বিব্রত হাইকোর্ট, নথি গেলো প্রধান বিচারপতির কাছে দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৮ নির্দেশনা জামিন পেলেন মাহমুদুর রহমান

পাকিস্তানকে হোয়াটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস

কখনো ভরসা হলো ধৈর্য, কখনো ইতিবাচকতা। দ্রুত উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে গেল দল, ধৈর্য ধরে এগিয়ে নিলেন কেউ।

কখনো ইতিবাচকতায় গড়ে উঠলো জুটি, বড় হয়ে দলকে নিলো সুবিধাজনক অবস্থায়। বোলারদের ভেতরের ক্ষুদা, উইকেট নেওয়ার তাড়না, লাইন-লেন্থ ও গতি প্রতিপক্ষকে করলো দিশেহারা।

এভাবেই রচিত হলো ইতিহাস। সপ্তাহখানেক আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় এসেছিল রাউয়ালপিন্ডিতে, ওখানেই স্মৃতিটা হলো আরও রঙিন।

প্রথম ম্যাচ ছাপিয়ে এখন সেটি সিরিজ জয়। দেশের ক্রিকেটেরই সবচেয়ে উজ্জ্বল সাফল্যের স্থানের একটি হয়ে থাকলো রাউয়ালপিন্ডি।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। পাকিস্তান পরের ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হলে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। জিততে খুব বেশি কষ্ট হয়নি সফরকারীদের।

এই জয়ের পর ২-০তে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে স্রেফ একবারই বিদেশের মাটিতে সিরিজ জিতেছে তারা। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পায় তারা। ১৫ বছর পর ঐতিহাসিক সাফল্য এলো দলীয় প্রচেষ্টায়।

পঞ্চম দিনের শুরুটা বাংলাদেশ করে স্বপ্নকে সঙ্গী করে। পুরো টেস্ট সিরিজজুড়ে বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে, ধৈর্য ধরে, ইতিবাচক থেকেছে বাংলাদেশ। এর ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো ছিল দিন শুরুর আগে থেকেই। সময় যত গড়িয়েছে, ততই সেটি আরও পোক্ত হচ্ছে।

শেষদিনে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ হারায় জাকির হাসানের উইকেট। মীর হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান আগের দিন দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়া এই ব্যাটার। তিনি অবশ্য ফিরতে পারতেন আগেই।

কিন্তু দুই ওভার আগে মোহাম্মদ আলির বল তার ব্যাট ছুয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে যায়। অথচ আবেদনই করেননি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। ৩৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন জাকির। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের গতিও কমে যায়।

নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুটা করেন ধীরে। এর মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান সাদমান ইসলামও। ৫১ বলে ৫৪ রান করে খুররাম শেহজাদের পাতা ফাঁদে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর থেকে দলের হাল ধরেন শান্ত ও মুমিনুল।

দলকে জয়ের পথে রাখেন তারা। শান্ত অবশ্য ফিরে যান হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার আগেই। ৮২ বলে ৩৮ রান করে ক্যাচ তুলে দেন তিনি শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে। জয়ের সময় মাঠে থাকতে পারেননি মুমিনুলও। ৭১ বলে ৩৪ রান করে আবরার আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি।

বাংলাদেশের জয় এসেছে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে। ৫১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, ৪৩ বলে ২১ রানে সাকিব।

সাকিবের ব্যাট থেকে আসা চারেই জয় পায় বাংলাদেশ। নানামুখী চাপে থাকা দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা স্মরণীয় সিরিজ জয়ের শেষ ছবিতে থাকেন। তার বল বাউন্ডারি ছুতেই উচ্ছ্বাসে ভাসে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম। আজকের দিনটি নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য উৎসবের।

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আবারো লেবাননে বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পাকিস্তানকে হোয়াটওয়াশ করে বাংলাদেশের ইতিহাস

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কখনো ভরসা হলো ধৈর্য, কখনো ইতিবাচকতা। দ্রুত উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে গেল দল, ধৈর্য ধরে এগিয়ে নিলেন কেউ।

কখনো ইতিবাচকতায় গড়ে উঠলো জুটি, বড় হয়ে দলকে নিলো সুবিধাজনক অবস্থায়। বোলারদের ভেতরের ক্ষুদা, উইকেট নেওয়ার তাড়না, লাইন-লেন্থ ও গতি প্রতিপক্ষকে করলো দিশেহারা।

এভাবেই রচিত হলো ইতিহাস। সপ্তাহখানেক আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয় এসেছিল রাউয়ালপিন্ডিতে, ওখানেই স্মৃতিটা হলো আরও রঙিন।

প্রথম ম্যাচ ছাপিয়ে এখন সেটি সিরিজ জয়। দেশের ক্রিকেটেরই সবচেয়ে উজ্জ্বল সাফল্যের স্থানের একটি হয়ে থাকলো রাউয়ালপিন্ডি।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিকরা। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২৬২ রান। পাকিস্তান পরের ইনিংসে ১৭২ রানে অলআউট হলে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। জিততে খুব বেশি কষ্ট হয়নি সফরকারীদের।

এই জয়ের পর ২-০তে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে স্রেফ একবারই বিদেশের মাটিতে সিরিজ জিতেছে তারা। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় পায় তারা। ১৫ বছর পর ঐতিহাসিক সাফল্য এলো দলীয় প্রচেষ্টায়।

পঞ্চম দিনের শুরুটা বাংলাদেশ করে স্বপ্নকে সঙ্গী করে। পুরো টেস্ট সিরিজজুড়ে বারবার ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখে, ধৈর্য ধরে, ইতিবাচক থেকেছে বাংলাদেশ। এর ফল পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ জোরালো ছিল দিন শুরুর আগে থেকেই। সময় যত গড়িয়েছে, ততই সেটি আরও পোক্ত হচ্ছে।

শেষদিনে প্রথম ব্যাটার হিসেবে বাংলাদেশ হারায় জাকির হাসানের উইকেট। মীর হামজার বলে বোল্ড হয়ে যান আগের দিন দুর্দান্ত শুরু এনে দেওয়া এই ব্যাটার। তিনি অবশ্য ফিরতে পারতেন আগেই।

কিন্তু দুই ওভার আগে মোহাম্মদ আলির বল তার ব্যাট ছুয়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে যায়। অথচ আবেদনই করেননি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা। ৩৯ বলে ৪০ রান করে আউট হন জাকির। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের রানের গতিও কমে যায়।

নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুটা করেন ধীরে। এর মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান সাদমান ইসলামও। ৫১ বলে ৫৪ রান করে খুররাম শেহজাদের পাতা ফাঁদে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর থেকে দলের হাল ধরেন শান্ত ও মুমিনুল।

দলকে জয়ের পথে রাখেন তারা। শান্ত অবশ্য ফিরে যান হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ হওয়ার আগেই। ৮২ বলে ৩৮ রান করে ক্যাচ তুলে দেন তিনি শর্ট লেগ ফিল্ডারের হাতে। জয়ের সময় মাঠে থাকতে পারেননি মুমিনুলও। ৭১ বলে ৩৪ রান করে আবরার আহমেদকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি।

বাংলাদেশের জয় এসেছে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের হাত ধরে। ৫১ বলে ২২ রান করে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, ৪৩ বলে ২১ রানে সাকিব।

সাকিবের ব্যাট থেকে আসা চারেই জয় পায় বাংলাদেশ। নানামুখী চাপে থাকা দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা স্মরণীয় সিরিজ জয়ের শেষ ছবিতে থাকেন। তার বল বাউন্ডারি ছুতেই উচ্ছ্বাসে ভাসে বাংলাদেশের ড্রেসিংরুম। আজকের দিনটি নিশ্চিতভাবেই তাদের জন্য উৎসবের।