ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা সাড়ে ৯ লাখ টাকার জুতা পরেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান মেগা প্রজেক্টের নামে দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার : বিএনপি মহাসচিব জার্মানিতে ব্যাটারিচালিত ট্রেনের যুগে টেসলার অভিষেক সেনাবাহিনীকে সবখানে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া ঠিক হবে না: ফখরুল অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা চাইলেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান দেশে গ্যাস-বিদ্যুতের ঘাটতি হবে না : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির যুক্তরাষ্ট্রে ইউনূস-মোদি বৈঠক হচ্ছে না চয়নিকার সিনেমায় দেবকে নায়ক হিসেবে চান , নায়িকা কে হবেন? ঢাবিতে যুবক ও জাবিতে ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা: আইন হাতে তুলে না নিতে আহ্বান

১৬ বছর পর নতুন রুপে উম্মুক্ত হবে মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ

দীর্ঘ ১৬ বছর পর উম্মুক্ত হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংগঠন মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ। আগামী ৪৫ কার্য্য দিবসের মধ্যে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নতুন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে এ সংগঠনটি। দীর্ঘ দিন শ্রমিক সংঘের নির্বাচন না দেয়া বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘের মাঠ চত্তরে শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে এক উম্মুক্ত আলোচনায় তদন্ত কমিটির খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তারা এ আশ্বাস দেন। 
বন্দর সুত্রে জানা যায়, ১৯৫০ সালে মোংলা সমুদ্র বন্দর সৃষ্টি হলে ১৯৮৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ স্থাপিত হয়। সে সময় থেকে মালিক পক্ষের কাছ থেকে এ বন্দরে অবহেলীত শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যান ও দাবী দাওয়া আদায়ের কাজ করছিল সংঘের নেতৃবৃন্দরা। কিন্ত ২০০৮ সালে দেশে জরুরী অবস্থা জারি হলে মোংলা বন্দরের শ্রমিক কর্মচারী সংঘ বিলুপ্ত ঘোষনা করে তৎকালীন তত্ববধায়ক সরকার। পরে আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কিছু অসাধু নেতাকর্মীরা সংগঠনটি দখল করে শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ না করে নিজেদের স্বাথ হাসিল করছিল বলে দাবী সাধারণ শ্রমিকদের।
গত ৫ আগষ্ট  ছাত্র জনতার গন আন্দোলনের পর শ্রমিক সংঘের অসাধু নেতারা পালিয়ে যায়।
এনিয়ে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় ও শ্রম অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হলে মোংলা বন্দরের অবহেলিত শ্রমিক কর্মচারীদের  চরম দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিক সংঘ চত্বরে সকল ক্যাটগরির শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে উম্মু আলোচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় কমিটির সদস্যরা।
এসময় তদন্ত কমিটির আহবায়ক খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো: মাহবুব আলম, সদস্য অসীম কুমার বিশ্বাস ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগকারী জাহাজের ক্রেন চালক শ্রমিক মো: আক্তার হোসেন সহ কয়েকশ শ্রমিক কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সকল শ্রমিকদের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের একটি এডহক কমিটি ও ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিটি গঠন করার পরামর্শ প্রদান করেন।
কমিটি গঠনের পরে ৪৫ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ উপহার দেয়ার আশ্বাস্ত করেন এ তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ খবরে শ্রমিকদের মাঝে উৎফুল্লতা দেখা যায়।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের শ্রমিকরা দীর্ঘ ১৬ বছর পর্যন্ত পাচ্ছিলনা তাদের নেয্য দাবী দাওয়া বা করা হয়নি তাদের জন্য কোন কল্যান মুলক কোন কার্যক্রম। তাই শ্রমিকদের অভিযোগের তদন্তে এসে সত্যতা পায় বলে জানায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এডহক কমিটি ও নির্বাচনের আহবায়ক কমিটি গঠনের ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে একটি সুন্দর ও শ্রমিকদের কল্যানে নেতৃত্বদানকারী একটি কমিটি উপহার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদসহ ৫ জনের নামে মামলা

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

১৬ বছর পর নতুন রুপে উম্মুক্ত হবে মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ

আপডেট সময় ০৬:৫৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দীর্ঘ ১৬ বছর পর উম্মুক্ত হতে যাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সংগঠন মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ। আগামী ৪৫ কার্য্য দিবসের মধ্যে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নতুন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হবে এ সংগঠনটি। দীর্ঘ দিন শ্রমিক সংঘের নির্বাচন না দেয়া বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হলে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘের মাঠ চত্তরে শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে এক উম্মুক্ত আলোচনায় তদন্ত কমিটির খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের কর্মকর্তারা এ আশ্বাস দেন। 
বন্দর সুত্রে জানা যায়, ১৯৫০ সালে মোংলা সমুদ্র বন্দর সৃষ্টি হলে ১৯৮৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোংলা বন্দর শ্রমিক সংঘ স্থাপিত হয়। সে সময় থেকে মালিক পক্ষের কাছ থেকে এ বন্দরে অবহেলীত শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যান ও দাবী দাওয়া আদায়ের কাজ করছিল সংঘের নেতৃবৃন্দরা। কিন্ত ২০০৮ সালে দেশে জরুরী অবস্থা জারি হলে মোংলা বন্দরের শ্রমিক কর্মচারী সংঘ বিলুপ্ত ঘোষনা করে তৎকালীন তত্ববধায়ক সরকার। পরে আ’লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কিছু অসাধু নেতাকর্মীরা সংগঠনটি দখল করে শ্রমিকদের স্বার্থে কাজ না করে নিজেদের স্বাথ হাসিল করছিল বলে দাবী সাধারণ শ্রমিকদের।
গত ৫ আগষ্ট  ছাত্র জনতার গন আন্দোলনের পর শ্রমিক সংঘের অসাধু নেতারা পালিয়ে যায়।
এনিয়ে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় ও শ্রম অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হলে মোংলা বন্দরের অবহেলিত শ্রমিক কর্মচারীদের  চরম দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রমিক সংঘ চত্বরে সকল ক্যাটগরির শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে উম্মু আলোচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় কমিটির সদস্যরা।
এসময় তদন্ত কমিটির আহবায়ক খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব মো: মাহবুব আলম, সদস্য অসীম কুমার বিশ্বাস ও শ্রমিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগকারী জাহাজের ক্রেন চালক শ্রমিক মো: আক্তার হোসেন সহ কয়েকশ শ্রমিক কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সকল শ্রমিকদের সমন্বয়ে ৫ সদস্যের একটি এডহক কমিটি ও ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিটি গঠন করার পরামর্শ প্রদান করেন।
কমিটি গঠনের পরে ৪৫ দিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ উপহার দেয়ার আশ্বাস্ত করেন এ তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এ খবরে শ্রমিকদের মাঝে উৎফুল্লতা দেখা যায়।
তদন্ত কমিটির আহবায়ক খুলনা বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: শফিকুল ইসলাম বলেন, মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের শ্রমিকরা দীর্ঘ ১৬ বছর পর্যন্ত পাচ্ছিলনা তাদের নেয্য দাবী দাওয়া বা করা হয়নি তাদের জন্য কোন কল্যান মুলক কোন কার্যক্রম। তাই শ্রমিকদের অভিযোগের তদন্তে এসে সত্যতা পায় বলে জানায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এডহক কমিটি ও নির্বাচনের আহবায়ক কমিটি গঠনের ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে একটি সুন্দর ও শ্রমিকদের কল্যানে নেতৃত্বদানকারী একটি কমিটি উপহার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।