ঢাকা ১২:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় এখনো চলছে নির্বাচনী সহিংসতা, নতুন করে হামলা, আহত ৪

মোংলা প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোংলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকায় পালিয়েও রেহাই পেলোনা দুটি পরিবারের ঈগল প্রতিকের নারী-পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এক ঘন্টার ব্যাবধানে ২ স্থানে নারী-পুরুষ সহ ৪জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। রাতেই তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভুক্তভোগী স্বজনরা ও পুলিশ জানায়,মোংলা-রামপাল (বাগেরহাট-৩) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আ’লীগ থেকে একই দলের নৌকা ও ঈগল প্রতিক নিয়ে দুই প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করেছিলেন। গত ৭ জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচনে মেংলা-রামপাল বাগেরহাট-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতিক বিজয়ী হয়। নির্বাচন পরবর্তী নৌকা প্রতিকের নেতাকর্মীদের সহিংসতায় জীবনের ভয়ে ঈগল প্রতিকের প্রায় শহাস্রাধিক কর্মী-সমর্থকরা এলাকা থেকে ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যাত্র পালিয়ে যায়। কিছু সংক্ষক কর্মী-সমর্থকরা স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে লিয়াজো করে বাড়িতে ফিড়ে আসলেও বেশ কিছু লোক এখনও এলাকাছাড়া। আবার জারাইবা শক্ত হয়ে বাড়ি ঘরে রয়েগেছে, তারা ব্যাপক হামলা ও মামলার স্বিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেণ ভুক্তভোগীরা।

প্রায় আড়াই মাস অন্যাত্র পালিয়ে থাকার পর মোংলা উপজেলার সুন্দরব ইউনিয়নের বাজিকরের খন্ড গ্রমের সিতল খান’র ছেলে আবুবকর খান বাড়িতে আসলে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৭/৮ জনের এক দল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে প্রবেশ করে তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে স্থানীয় হেমায়েত হোসেন, আলামিন, মজিবর ও রিয়াদুল সহ কয়েক সন্ত্রাসী। এতে আবুবকর, তার স্ত্রী-শাহিনা বেগম সহ ৩জনকে দেশীয় দাও দিয়েকুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার ঠিক এক ঘন্টা পর একই অভিযোগে চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারী বাজার সংলগ্ন এলাকায় খরমা কাটাখালী গ্রামের বাচ্ছু হাওলাদারের ছেলে মিঠু হাওলাদারকে রাস্তায় ফেলে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এলাকার টুজিম মৃধা ও নাজিম মৃধা সহ কয়েকজন যুবক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা থানার একদল পুলিশ। এব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় ভুক্তভোগীরা।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মৌসুমী ইয়াসমিন জানায়, মারামারীর ঘটনায় পৃথক স্থানকে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ২জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তবে দুইজনই শঙ্কা মুক্ত বলে জানায় ডাঃ মৌসুমী ইয়াসমিন।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর শোনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে এবং ঘটনার তদন্তও চলমান। মামলা হলেই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানায় থানার এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন : মোংলা বন্দরের ওয়ার্লেস অপারেটর জেল হাজতে

বন্যপ্রাণির পরে এবার শুরু হয়েছে সুন্দরবনের গাছ গণনার কাজ

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় এখনো চলছে নির্বাচনী সহিংসতা, নতুন করে হামলা, আহত ৪

আপডেট সময় ০৫:০৩:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

মোংলা প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোংলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকায় পালিয়েও রেহাই পেলোনা দুটি পরিবারের ঈগল প্রতিকের নারী-পুরুষ কর্মী-সমর্থকরা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এক ঘন্টার ব্যাবধানে ২ স্থানে নারী-পুরুষ সহ ৪জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। রাতেই তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভুক্তভোগী স্বজনরা ও পুলিশ জানায়,মোংলা-রামপাল (বাগেরহাট-৩) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আ’লীগ থেকে একই দলের নৌকা ও ঈগল প্রতিক নিয়ে দুই প্রার্থী প্রতিদন্ধীতা করেছিলেন। গত ৭ জানুয়ারীর সংসদ নির্বাচনে মেংলা-রামপাল বাগেরহাট-৩ আসন থেকে নৌকা প্রতিক বিজয়ী হয়। নির্বাচন পরবর্তী নৌকা প্রতিকের নেতাকর্মীদের সহিংসতায় জীবনের ভয়ে ঈগল প্রতিকের প্রায় শহাস্রাধিক কর্মী-সমর্থকরা এলাকা থেকে ঘর বাড়ি ছেড়ে অন্যাত্র পালিয়ে যায়। কিছু সংক্ষক কর্মী-সমর্থকরা স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে লিয়াজো করে বাড়িতে ফিড়ে আসলেও বেশ কিছু লোক এখনও এলাকাছাড়া। আবার জারাইবা শক্ত হয়ে বাড়ি ঘরে রয়েগেছে, তারা ব্যাপক হামলা ও মামলার স্বিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেণ ভুক্তভোগীরা।

প্রায় আড়াই মাস অন্যাত্র পালিয়ে থাকার পর মোংলা উপজেলার সুন্দরব ইউনিয়নের বাজিকরের খন্ড গ্রমের সিতল খান’র ছেলে আবুবকর খান বাড়িতে আসলে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ৭/৮ জনের এক দল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে প্রবেশ করে তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে স্থানীয় হেমায়েত হোসেন, আলামিন, মজিবর ও রিয়াদুল সহ কয়েক সন্ত্রাসী। এতে আবুবকর, তার স্ত্রী-শাহিনা বেগম সহ ৩জনকে দেশীয় দাও দিয়েকুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার ঠিক এক ঘন্টা পর একই অভিযোগে চিলা ইউনিয়নের বৈদ্যমারী বাজার সংলগ্ন এলাকায় খরমা কাটাখালী গ্রামের বাচ্ছু হাওলাদারের ছেলে মিঠু হাওলাদারকে রাস্তায় ফেলে লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এলাকার টুজিম মৃধা ও নাজিম মৃধা সহ কয়েকজন যুবক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে মোংলা থানার একদল পুলিশ। এব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানায় ভুক্তভোগীরা।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মৌসুমী ইয়াসমিন জানায়, মারামারীর ঘটনায় পৃথক স্থানকে ২ জনকে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ২জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে, তবে দুইজনই শঙ্কা মুক্ত বলে জানায় ডাঃ মৌসুমী ইয়াসমিন।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, খবর শোনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে এবং ঘটনার তদন্তও চলমান। মামলা হলেই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে বলেও জানায় থানার এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন : মোংলা বন্দরের ওয়ার্লেস অপারেটর জেল হাজতে

বন্যপ্রাণির পরে এবার শুরু হয়েছে সুন্দরবনের গাছ গণনার কাজ