ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

ডা. জুবাইদা রহমানের হাইকোর্টের রায় ২৮ মে

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ মে রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (২৬ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে এস এম শাহজাহান বলেন, জুবাইদা রহমানের দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাইরে কোনো সম্পদ নেই। গত ১৫ বছরে কোনো তথ্য খুঁজে পায়নি দুদক। তাঁকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়। বেগম খালেদা জিয়া অনেক বার বলেছেন, বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। আমরা কোর্টে বলেছি, উনাদের কোনো সম্পদ দেশের বাইরে নেই। মঈনুল হোসেন রোডের বাড়িটিও দিয়েছে সরকার। সেটি শেখ হাসিনা জোরপূর্বক নিয়ে গেছে। আমি আশাকরি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান এ মামলায় খালাস পাবেন।

গত ১৪ মে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।

ওই দিন আদালতে ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গত ১৩ মে তিন বছরের কারাদণ্ডের আপিলের জন্য ডা. জুবাইদা রহমানকে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমানকে দুটি অভিযোগে নয় বছর ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে দুদক আইন ২০০৪- এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

ডা. জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তাঁকেও জরিমানা করা হয় ৩৫ লাখ টাকা।

এদিকে, গত বছরের শেষের দিকে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে সরকার। সেই গেজেটে বলা বলা হয়, জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিতের বিষয়ে দাখিল করা আবেদন এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের আলোকে ২২ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপন (১০ অক্টোবর, ২০২৪ ইং তারিখের বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত) সংশোধনপূর্বক আইনের ক্ষমতাবলে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, ঢাকার মেট্রো বিশেষ মামলা নং-৩৪১/২০২২ (কাফরুল থানার মামলা নং-৫২, তারিখ-২৬-০৯-২০০৭) -এ তাঁর বিরুদ্ধে প্রদত্ত দণ্ডাদেশ আদালতে আপিল দায়েরের নিমিত্তে বিনা শর্তে এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো। এরপর চলতি বছরের ৬ মে দেশে ফেরেন ডা. জুবাইদা রহমান।

তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি মঙ্গলবার

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জিলহজের চাঁদ দেখা গেছে, ঈদ ৭ জুন

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন

ডা. জুবাইদা রহমানের হাইকোর্টের রায় ২৮ মে

আপডেট সময় ০৬:০৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ২৮ মে রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (২৬ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে এস এম শাহজাহান বলেন, জুবাইদা রহমানের দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বাইরে কোনো সম্পদ নেই। গত ১৫ বছরে কোনো তথ্য খুঁজে পায়নি দুদক। তাঁকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়। বেগম খালেদা জিয়া অনেক বার বলেছেন, বাংলাদেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। আমরা কোর্টে বলেছি, উনাদের কোনো সম্পদ দেশের বাইরে নেই। মঈনুল হোসেন রোডের বাড়িটিও দিয়েছে সরকার। সেটি শেখ হাসিনা জোরপূর্বক নিয়ে গেছে। আমি আশাকরি তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান এ মামলায় খালাস পাবেন।

গত ১৪ মে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।

ওই দিন আদালতে ডা. জুবাইদা রহমানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

গত ১৩ মে তিন বছরের কারাদণ্ডের আপিলের জন্য ডা. জুবাইদা রহমানকে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও তাঁর মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।

এ মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমানকে দুটি অভিযোগে নয় বছর ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে দুদক আইন ২০০৪- এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।

ডা. জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তাঁকেও জরিমানা করা হয় ৩৫ লাখ টাকা।

এদিকে, গত বছরের শেষের দিকে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে সরকার। সেই গেজেটে বলা বলা হয়, জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিতের বিষয়ে দাখিল করা আবেদন এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের আলোকে ২২ সেপ্টেম্বরের প্রজ্ঞাপন (১০ অক্টোবর, ২০২৪ ইং তারিখের বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত) সংশোধনপূর্বক আইনের ক্ষমতাবলে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, ঢাকার মেট্রো বিশেষ মামলা নং-৩৪১/২০২২ (কাফরুল থানার মামলা নং-৫২, তারিখ-২৬-০৯-২০০৭) -এ তাঁর বিরুদ্ধে প্রদত্ত দণ্ডাদেশ আদালতে আপিল দায়েরের নিমিত্তে বিনা শর্তে এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো। এরপর চলতি বছরের ৬ মে দেশে ফেরেন ডা. জুবাইদা রহমান।

তারেক-বাবরের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি মঙ্গলবার