দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে আজ বুধবার (২১ মে) সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব (সাময়িক বরখাস্ত) গাজী সালাউদ্দীন তানভীর। দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সালাউদ্দিন তানভীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটির প্রদান কার্যালয়ের সহাকরী পরিচালক এসএম রাশেদুল হাসানের টিম।
সালাউদ্দিন তানভীরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই ছাপার কাগজে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অনুসন্ধানের জন্য তাকে তলব করে দুদক।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন এনসিপি নেতা।
অভিযোগের বিষয়ে সালাউদ্দিন তানভীর বলেন, ডিসি নিয়োগ একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। যদি ডিসি নিয়োগের ক্ষেত্রে কারও ভূমিকা থেকে থাকে, কেউ যদি সত্যি ডিসি নিয়োগ করে থাকে, সেটা মহাশক্তিশালী কাউকে হতে হবে। এটা একেবারে সম্ভাবনার বিপরীত জিনিস। যারা এটা বোঝেন, তারা এটা শুনে হাসবে।
এনসিটিবির পাঠ্যবই ছাপানোর কাগজ কেনায় কমিশন বাণিজ্য, ডিসি নিয়োগে হস্তক্ষেপ ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে গত ২১ এপ্রিল এনসিপি থেকে গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধানের কাছে ৭ দিনের মধ্যে তাকে লিখিতভাবে যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। পরে বিষয়টি নজরে আসলে গাজী সালাউদ্দীন তানভীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।