ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর গঠন, জন্ম নিচ্ছে নতুন মহাসাগর

আফ্রিকা মহাদেশের গভীরে বড় ধরনের পরিবর্তন চলছে। টেকটোনিক প্লেটের বিচ্ছিন্নতার ফলে নতুন একটি মহাসাগর সৃষ্টি হচ্ছে। এই বড় এবং অসাধারণ পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইস্ট আফ্রিকান রিফট সিস্টেম। এটি মোজাম্বিক থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল এক ফাটল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্লেটগুলো আগেকার ধারণার চেয়ে দ্রুত আলাদা এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই নতুন মহাসাগর প্রায় ১০ লাখ বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ নতুনভাবে জন্ম নেবে, এমনকি এরও আগে।

মহাসাগর তৈরির প্রক্রিয়া: ইথিওপিয়ার মরুভূমিতে ইস্ট আফ্রিকান রিফট বর্তমানে ৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং ১০ মিটার গভীর। প্রতিবছর আফ্রিকান ও সোমালি প্লেটগুলো প্রায় শূন্য দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হারে দূরে সরে যাচ্ছে। ২০০৫ সালে ইথিওপিয়ায় আঘাত হানা ৪২০টি ভূমিকম্পের ফলে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে একটি বড় ফাটল তৈরি হয়েছিল, যা সাধারণত শতাব্দী ধরে ঘটে থাকে। খবর ডেইল গ্যালাক্সির।

আফ্রিকার ভবিষ্যৎ: আফ্রিকা মহাদেশে নতুন উপকূলরেখা তৈরি হবে এবং এটি দুটি মহাদেশে বিভক্ত হবে। জাম্বিয়া ও উগান্ডার মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলো নতুন সমুদ্রসীমা পাবে যা এদের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগ করে দেবে। নতুন এই ষষ্ঠ মহাসাগরে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠবে।

তবে এই পরিবর্তন পরিবেশ ও অবকাঠামোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে। পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এটি গবেষকদের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগও এনে দিচ্ছে। এই ঘটনা আমাদের পৃথিবীর পরিবর্তনশীল প্রকৃতির একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। বিজ্ঞানীরা এটি আরও গভীরভাবে অধ্যয়ন করছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

বদলে যাচ্ছে পৃথিবীর গঠন, জন্ম নিচ্ছে নতুন মহাসাগর

আপডেট সময় ০৫:৩৩:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

আফ্রিকা মহাদেশের গভীরে বড় ধরনের পরিবর্তন চলছে। টেকটোনিক প্লেটের বিচ্ছিন্নতার ফলে নতুন একটি মহাসাগর সৃষ্টি হচ্ছে। এই বড় এবং অসাধারণ পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ইস্ট আফ্রিকান রিফট সিস্টেম। এটি মোজাম্বিক থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত বিশাল এক ফাটল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই প্লেটগুলো আগেকার ধারণার চেয়ে দ্রুত আলাদা এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই নতুন মহাসাগর প্রায় ১০ লাখ বছরের মধ্যেই সম্পূর্ণ নতুনভাবে জন্ম নেবে, এমনকি এরও আগে।

মহাসাগর তৈরির প্রক্রিয়া: ইথিওপিয়ার মরুভূমিতে ইস্ট আফ্রিকান রিফট বর্তমানে ৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত এবং ১০ মিটার গভীর। প্রতিবছর আফ্রিকান ও সোমালি প্লেটগুলো প্রায় শূন্য দশমিক ৮ সেন্টিমিটার হারে দূরে সরে যাচ্ছে। ২০০৫ সালে ইথিওপিয়ায় আঘাত হানা ৪২০টি ভূমিকম্পের ফলে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে একটি বড় ফাটল তৈরি হয়েছিল, যা সাধারণত শতাব্দী ধরে ঘটে থাকে। খবর ডেইল গ্যালাক্সির।

আফ্রিকার ভবিষ্যৎ: আফ্রিকা মহাদেশে নতুন উপকূলরেখা তৈরি হবে এবং এটি দুটি মহাদেশে বিভক্ত হবে। জাম্বিয়া ও উগান্ডার মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলো নতুন সমুদ্রসীমা পাবে যা এদের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সুযোগ করে দেবে। নতুন এই ষষ্ঠ মহাসাগরে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র গড়ে উঠবে।

তবে এই পরিবর্তন পরিবেশ ও অবকাঠামোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে। পৃথিবীর ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তনগুলো আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এটি গবেষকদের গুরুত্বপূর্ণ সুযোগও এনে দিচ্ছে। এই ঘটনা আমাদের পৃথিবীর পরিবর্তনশীল প্রকৃতির একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। বিজ্ঞানীরা এটি আরও গভীরভাবে অধ্যয়ন করছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।