ঢাকা ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে মহাকাশে স্পেসএক্সের স্টারশিপ

টানা কয়েকবার ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হলো স্পেসএক্সের স্টারশিপ মেগা রকেট। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দশম পরীক্ষামূলক প্রচষ্টোয় মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এটি। এই সফল উৎক্ষেপণ প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মঙ্গল গ্রহে মানবজাতিকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন এবং নাসার চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। খবর এএফপির।

এদিন রকেটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে দক্ষিণ টেক্সাসের স্টারবেস থেকে উড়ে যায়। উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পর ‘সুপার হেভি’ বুস্টারটি সফলভাবে মেক্সিকো উপসাগরে অবতরণ করে।

স্টারশিপ মূলত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত। ওপরের অংশটিকে বলা হয় ‘শিপ’। এটি বসানো থাকে নিচের বিশাল রকেট ইঞ্জিনের ওপর, যার নাম ‘সুপার হেভি’। এই দুই অংশ মিলিয়ে রকেটটির মোট উচ্চতা ১২০ মিটারের একটু বেশি।

এই উড়ানে প্রথমবারের মতো আটটি ডামি স্টারলিংক ইন্টারনেট স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে স্থাপন করতে সক্ষম হয় স্পেসএক্স। তবে এটি পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় কিছু তাপ নিরোধক টাইলস খুলে যায়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে, যাতে যানের দুর্বল দিকগুলো পরীক্ষা করা যায়। এই সফলতার পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তার দলকে অভিনন্দন জানান ইলন মাস্ক।

এই সফলতার পরেও স্টারশিপের সামনে বড় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ইলন মাস্কের মতে, সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো এমন একটি সম্পূর্ণ পুনঃব্যবহারযোগ্য হিট শিল্ড তৈরি করা, যা দ্রুত মেরামত করে আবার উড়ানো যাবে। আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো মহাকাশে এটিতে জ্বালানি ভরাটের সক্ষমতা তৈরি করা, যা দূরবর্তী মহাকাশ মিশনে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য।

এই সফল উৎক্ষেপণটি স্টারশিপের ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নতুন রঙে আইফোন ১৭ প্রো

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অবশেষে মহাকাশে স্পেসএক্সের স্টারশিপ

আপডেট সময় ১১:৩৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

টানা কয়েকবার ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হলো স্পেসএক্সের স্টারশিপ মেগা রকেট। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দশম পরীক্ষামূলক প্রচষ্টোয় মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে এটি। এই সফল উৎক্ষেপণ প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের মঙ্গল গ্রহে মানবজাতিকে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন এবং নাসার চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। খবর এএফপির।

এদিন রকেটটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে দক্ষিণ টেক্সাসের স্টারবেস থেকে উড়ে যায়। উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পর ‘সুপার হেভি’ বুস্টারটি সফলভাবে মেক্সিকো উপসাগরে অবতরণ করে।

স্টারশিপ মূলত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত। ওপরের অংশটিকে বলা হয় ‘শিপ’। এটি বসানো থাকে নিচের বিশাল রকেট ইঞ্জিনের ওপর, যার নাম ‘সুপার হেভি’। এই দুই অংশ মিলিয়ে রকেটটির মোট উচ্চতা ১২০ মিটারের একটু বেশি।

এই উড়ানে প্রথমবারের মতো আটটি ডামি স্টারলিংক ইন্টারনেট স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে স্থাপন করতে সক্ষম হয় স্পেসএক্স। তবে এটি পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় কিছু তাপ নিরোধক টাইলস খুলে যায়। স্পেসএক্স জানিয়েছে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে, যাতে যানের দুর্বল দিকগুলো পরীক্ষা করা যায়। এই সফলতার পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তার দলকে অভিনন্দন জানান ইলন মাস্ক।

এই সফলতার পরেও স্টারশিপের সামনে বড় কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ইলন মাস্কের মতে, সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো এমন একটি সম্পূর্ণ পুনঃব্যবহারযোগ্য হিট শিল্ড তৈরি করা, যা দ্রুত মেরামত করে আবার উড়ানো যাবে। আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো মহাকাশে এটিতে জ্বালানি ভরাটের সক্ষমতা তৈরি করা, যা দূরবর্তী মহাকাশ মিশনে যাওয়ার জন্য অপরিহার্য।

এই সফল উৎক্ষেপণটি স্টারশিপের ভবিষ্যতের জন্য একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

নতুন রঙে আইফোন ১৭ প্রো