ঢাকা ০৭:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন : শামসুজ্জামান দুদু দর্শনায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

এবার হজের খুতবা বাংলা অনুবাদ করবেন যারা

প্রতিবছর জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফা প্রাঙ্গণে সমবেত হন হাজিরা। সেদিন মসজিদে নামিরা থেকে উপস্থিত হাজিদের উদ্দেশে আরবিতে খুতবা দেয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদও করা হয় ওই খুতবা। এ বছরও বাংলাসহ ২০টির বেশি ভাষায় খুতবার অনুবাদ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

চলমান ১৪৪৫ হিজরি মৌসুমে হজের আরবি খুতবা বাংলায় অনুবাদের দায়িত্ব পেয়েছেন মোট চারজন বাংলাদেশী আলেম। তাদের প্রধান হলেন- আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী। আর ভাষ্যকার হিসেবে থাকবেন ড. খলীলুর রহমান এবং অনুবাদ সহকারী হিসেবে রয়েছেন মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরও এই চারজন আরাফার খুতবার অনুবাদ কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। ড. খলীলুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ২০২০ সাল থেকে আরাফার খুতবার বাংলা অনুবাদ কার্যক্রক্রম শুরু হয়। ২০২৩ সালে অনুবাদ প্রকল্প সম্প্রসারণ হলে এতে প্রতি সপ্তাহের জুমার খুতবাও যুক্ত হয়। জুমার পাশাপাশি ঈদ, হজ, ইস্তিসকা, বিভিন্ন দরস, বই-পুস্তক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হারামাইনের বিভিন্ন পোস্টের বাংলা অনুবাদও চলছে।

হজের খুতবা বাংলায় অনুবাদ শুরু হয় ২০২০ সালে, মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কীর মাধ্যমে। পাশাপাশি তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের জুমার খুতবা অনুবাদ কার্যক্রমেও যুক্ত রয়েছেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন হাজিদের সবাই আরাফা প্রাঙ্গণে অবস্থান করবেন। সেদিন ২০ লাখেরও বেশি হাজির উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বাণী পৌঁছে দিতে ২০টি ভাষায় খুতবা সম্প্রচার করা হবে। এসব কাজের তত্ত্বাবধান করছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী সাধারণ কর্তৃপক্ষ।

যেকোনো ডিভাইস থেকে মানারাতুল হারামাইন (https://manaratalharamain.gov.sa/) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি ভাষা নির্বাচন করলে খুতবার অনুবাদ শোনা যাবে। একইসাথে মানারাতুল হারামাইন মোবাইল অ্যাপ, আল-কোরআন চ্যানেল, আস সুন্নাহ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে তা শোনা যাবে। ওয়েবসাইটে বিগত বছরের খুতবা ও এর অনুবাদও পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪৩৬ হিজরি মোতাবেক ২০১৫ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি ভাষায় আরাফার খুতবা অনুবাদ প্রকল্প যাত্রা শুরু হয়। ২০২০ সালে বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ করা হয়। ২০২২ সালে ১৪টি ভাষায় এবং ২০২৩ সালে ২০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। মূলত সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে প্রতিবছর অনুবাদ কার্যক্রমে নতুন ভাষা যুক্ত করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন : সুদকারীর জীবন অভিশপ্ত জীবন 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

এবার হজের খুতবা বাংলা অনুবাদ করবেন যারা

আপডেট সময় ০৭:৪০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

প্রতিবছর জিলহজ মাসের নবম দিন আরাফা প্রাঙ্গণে সমবেত হন হাজিরা। সেদিন মসজিদে নামিরা থেকে উপস্থিত হাজিদের উদ্দেশে আরবিতে খুতবা দেয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদও করা হয় ওই খুতবা। এ বছরও বাংলাসহ ২০টির বেশি ভাষায় খুতবার অনুবাদ সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

চলমান ১৪৪৫ হিজরি মৌসুমে হজের আরবি খুতবা বাংলায় অনুবাদের দায়িত্ব পেয়েছেন মোট চারজন বাংলাদেশী আলেম। তাদের প্রধান হলেন- আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী। আর ভাষ্যকার হিসেবে থাকবেন ড. খলীলুর রহমান এবং অনুবাদ সহকারী হিসেবে রয়েছেন মুবিনুর রহমান ফারুক ও নাজমুস সাকিব। আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী নয়া দিগন্তকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরও এই চারজন আরাফার খুতবার অনুবাদ কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। ড. খলীলুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, ২০২০ সাল থেকে আরাফার খুতবার বাংলা অনুবাদ কার্যক্রক্রম শুরু হয়। ২০২৩ সালে অনুবাদ প্রকল্প সম্প্রসারণ হলে এতে প্রতি সপ্তাহের জুমার খুতবাও যুক্ত হয়। জুমার পাশাপাশি ঈদ, হজ, ইস্তিসকা, বিভিন্ন দরস, বই-পুস্তক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হারামাইনের বিভিন্ন পোস্টের বাংলা অনুবাদও চলছে।

হজের খুতবা বাংলায় অনুবাদ শুরু হয় ২০২০ সালে, মাওলানা আ ফ ম ওয়াহিদুর রহমান মাক্কীর মাধ্যমে। পাশাপাশি তিনি পবিত্র মসজিদুল হারামের জুমার খুতবা অনুবাদ কার্যক্রমেও যুক্ত রয়েছেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন হাজিদের সবাই আরাফা প্রাঙ্গণে অবস্থান করবেন। সেদিন ২০ লাখেরও বেশি হাজির উদ্দেশে মসজিদে নামিরা থেকে খুতবা দেবেন মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের ইমাম শায়খ মাহের বিন হামাদ আল-মুয়াইকিলি। সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ইসলামের শান্তিপূর্ণ বাণী পৌঁছে দিতে ২০টি ভাষায় খুতবা সম্প্রচার করা হবে। এসব কাজের তত্ত্বাবধান করছে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী সাধারণ কর্তৃপক্ষ।

যেকোনো ডিভাইস থেকে মানারাতুল হারামাইন (https://manaratalharamain.gov.sa/) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে একটি ভাষা নির্বাচন করলে খুতবার অনুবাদ শোনা যাবে। একইসাথে মানারাতুল হারামাইন মোবাইল অ্যাপ, আল-কোরআন চ্যানেল, আস সুন্নাহ চ্যানেলসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারে তা শোনা যাবে। ওয়েবসাইটে বিগত বছরের খুতবা ও এর অনুবাদও পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪৩৬ হিজরি মোতাবেক ২০১৫ সালে জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি ভাষায় আরাফার খুতবা অনুবাদ প্রকল্প যাত্রা শুরু হয়। ২০২০ সালে বাংলাসহ মোট ১০টি ভাষায় খুতবার অনুবাদ করা হয়। ২০২২ সালে ১৪টি ভাষায় এবং ২০২৩ সালে ২০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। মূলত সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছতে প্রতিবছর অনুবাদ কার্যক্রমে নতুন ভাষা যুক্ত করা হচ্ছে।

আরো পড়ুন : সুদকারীর জীবন অভিশপ্ত জীবন