ঢাকা ০৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপচয় কমাতে হবে,সরকারের এখন অর্থের প্রয়োজন : সালেহউদ্দিন আহমেদ

সরকারি অর্থের অপচয় কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এই কনটেক্সটে.. সরকারের এই মুহূর্তে অর্থের প্রয়োজন। সরকারি খরচ ও অন্য ব্যয় নির্বাহে অর্থ প্রয়োজন। সরকার যেন কোনো অর্থের অপচয় না করে।’

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘অর্থ আইন, ২০২৪- এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে আনীত পরিবর্তন’ বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন।

আলোচনা সভায় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমাবো না। আমাদের ঘাটতি বাজেট থাকে। বাজেটের বড় অংশ বাইরে থেকে ঋণ হিসেবে আনতে হয়। দিন দিন ঋণের বোঝা বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করবো নিজেরা নিজেদের অর্থের সংস্থান করতে। তবে এটা ঠিক যে নিজেদের অর্থে হবে না, বাইরে থেকেও অর্থ আনতে হবে। তবে লক্ষ্য করতে হবে আমরা যেন পরমুখাপেক্ষী না হই।’

পরমুখাপেক্ষী হওয়ার বিপদ অন্তর্বর্তী সরকার টের পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা কথা আছে আপনার হাতটা যদি আমার পকেটে থাকে, আমি ডান দিকে গেলে আপনিও যাবেন। আমি বায়ে গেলে আপনিও বায়ে যাবেন। সেটা কিন্তু হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি। দাতা সংস্থারা যেদিকে বলে যেতে, অবশ্য আমরা চেষ্টা করছি নিজেরা অ্যাসল্ট (প্রতিউত্তর) করতে। ডান দিকে যেতে বললে আমার যাওয়ার কথা বাঁ দিকে, বাঁ দিকে গেলে আমার যাওয়ার কথা ডান দিকে। সেটা অনেক সময় সম্ভব হয় না। আমরা চাই না তাদের ওপর নির্ভরশীল হতে।’

প্রকল্পগুলো মাঠ পর্যায়ের চাহিদা ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয় না। এর ফলে অর্থের অপচয় হয় জানিয়ে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘যেটা দরকার তার ভিত্তিতে যেন প্রকল্প আসে।’

এনবিআরের আইনকে ব্যবসাবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা যথেষ্ঠ রাজস্ব আদায় করতে পারছি না। আমরা ঘাটতি বাজেট করছি। পরবর্তী প্রজন্মের ওপর বেশি বেশি ঋণের দায় চাপিয়ে দিচ্ছি। করদাতারা তাদের দেওয়া করের অপচয় দেখতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর বড় অংকের টাকা আমরা কর ছাড় দেই। এটার বড় অংশ ঠিক করলে কর আদায় বাড়বে। আমরা সঠিকভাবে কর আইন প্রয়োগ করতে চাই।’

সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের পরিচিতদেরও অনলাইনে রিটার্ন দিতে আহ্বান করবেন। আমাদের আইন-কানুন ব্যবসাবান্ধব করতে হবে। ২০১২ সালে আমরা মূসক আইন করেছি, অথচ ১২ বছরে তার ইংরেজি ভার্সন হয়নি। তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রস্তুতি নিতে পারবেন কীভাবে?’

আরো পড়ুন :

পদ্মা ব্যাংকের কাছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাওনা ৮৭৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা

সোনালী ব্যাংকের কাছে হাজার কোটি টাকা সহায়তা চায় ইসলামী ব্যাংক

অনিদিষ্টকালের জন্য ৮রিজার্ভ ২০.৫০ বিলিয়ন ডলার : গভর্নর

৬ কারখানা বন্ধ, ১৩৩টিতে ছুটি ঘোষণা

৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘাটতিতে ১০ ব্যাংক

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অপচয় কমাতে হবে,সরকারের এখন অর্থের প্রয়োজন : সালেহউদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ০২:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি অর্থের অপচয় কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এই কনটেক্সটে.. সরকারের এই মুহূর্তে অর্থের প্রয়োজন। সরকারি খরচ ও অন্য ব্যয় নির্বাহে অর্থ প্রয়োজন। সরকার যেন কোনো অর্থের অপচয় না করে।’

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ‘অর্থ আইন, ২০২৪- এর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে আনীত পরিবর্তন’ বিষয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাকসেশন) অ্যাসোসিয়েশন।

আলোচনা সভায় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমাবো না। আমাদের ঘাটতি বাজেট থাকে। বাজেটের বড় অংশ বাইরে থেকে ঋণ হিসেবে আনতে হয়। দিন দিন ঋণের বোঝা বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করবো নিজেরা নিজেদের অর্থের সংস্থান করতে। তবে এটা ঠিক যে নিজেদের অর্থে হবে না, বাইরে থেকেও অর্থ আনতে হবে। তবে লক্ষ্য করতে হবে আমরা যেন পরমুখাপেক্ষী না হই।’

পরমুখাপেক্ষী হওয়ার বিপদ অন্তর্বর্তী সরকার টের পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা কথা আছে আপনার হাতটা যদি আমার পকেটে থাকে, আমি ডান দিকে গেলে আপনিও যাবেন। আমি বায়ে গেলে আপনিও বায়ে যাবেন। সেটা কিন্তু হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি। দাতা সংস্থারা যেদিকে বলে যেতে, অবশ্য আমরা চেষ্টা করছি নিজেরা অ্যাসল্ট (প্রতিউত্তর) করতে। ডান দিকে যেতে বললে আমার যাওয়ার কথা বাঁ দিকে, বাঁ দিকে গেলে আমার যাওয়ার কথা ডান দিকে। সেটা অনেক সময় সম্ভব হয় না। আমরা চাই না তাদের ওপর নির্ভরশীল হতে।’

প্রকল্পগুলো মাঠ পর্যায়ের চাহিদা ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয় না। এর ফলে অর্থের অপচয় হয় জানিয়ে সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘যেটা দরকার তার ভিত্তিতে যেন প্রকল্প আসে।’

এনবিআরের আইনকে ব্যবসাবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা যথেষ্ঠ রাজস্ব আদায় করতে পারছি না। আমরা ঘাটতি বাজেট করছি। পরবর্তী প্রজন্মের ওপর বেশি বেশি ঋণের দায় চাপিয়ে দিচ্ছি। করদাতারা তাদের দেওয়া করের অপচয় দেখতে চায় না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর বড় অংকের টাকা আমরা কর ছাড় দেই। এটার বড় অংশ ঠিক করলে কর আদায় বাড়বে। আমরা সঠিকভাবে কর আইন প্রয়োগ করতে চাই।’

সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের পরিচিতদেরও অনলাইনে রিটার্ন দিতে আহ্বান করবেন। আমাদের আইন-কানুন ব্যবসাবান্ধব করতে হবে। ২০১২ সালে আমরা মূসক আইন করেছি, অথচ ১২ বছরে তার ইংরেজি ভার্সন হয়নি। তাহলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা প্রস্তুতি নিতে পারবেন কীভাবে?’

আরো পড়ুন :

পদ্মা ব্যাংকের কাছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পাওনা ৮৭৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা

সোনালী ব্যাংকের কাছে হাজার কোটি টাকা সহায়তা চায় ইসলামী ব্যাংক

অনিদিষ্টকালের জন্য ৮রিজার্ভ ২০.৫০ বিলিয়ন ডলার : গভর্নর

৬ কারখানা বন্ধ, ১৩৩টিতে ছুটি ঘোষণা

৩১ হাজার কোটি টাকার বেশি ঘাটতিতে ১০ ব্যাংক