ইসরায়েল ও ইরান সম্পূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, আগামী ‘প্রায় ছয় ঘণ্টার মধ্যে’ এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। যখন উভয় দেশ তাদের চলমান সামরিক অভিযান ধীরে ধীরে গুটিয়ে নেবে।
যুদ্ধবিরতিতে বিষয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত ইসরায়েল বা ইরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এ যুদ্ধকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলে নাম দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২৪ ঘণ্টা পূর্ণ হলে’ এ যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ বলে বিবেচিত হবে।
ঘোষণায় ট্রাম্প উল্লেখ করেন, এটি এমন একটি যুদ্ধ ছিল যা ‘বছরের পর বছর ধরে চলতে পারতো এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিতে পারতো’, কিন্তু তা হয়নি, আর কখনো হবে না।
এদিকে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ইরানের হামলা বন্ধ করার শর্তে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২৩ জুন) বিকেলে কাতারের রাজধানী দোহার উপকণ্ঠে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) জানায়, পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার প্রতিশোধস্বরূপ কাতার ও ইরাকের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি আধুনিক ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে, এ হামলার পরপরই তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, এ হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা এবং জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কাতার রাষ্ট্র হিসেবে, এ প্রকাশ্য আগ্রাসনের জবাবে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সরাসরি জবাব দেওয়ার অধিকার সংরক্ষণ করে।
তবে, হামলার বিষয়ে এক বিবৃতিতে ইরান জানিয়েছে, কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের আল উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলা ভ্রাতৃপ্রতিম কাতার বা দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আবাসিক এলাকা থেকে দূরের মার্কিন ঘাঁটিতে এ হামলা চালানো হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি