হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের পর লন্ডনে পৌঁছেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে স্থানীয় সময় শনিবার (১ মার্চ) যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তাকে উষ্ণ সংবর্ধনায় স্বাগত জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
এর আগে, গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিসে এক উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠকে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দেন। তিন বছর আগে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর পর এটিই ছিল দেশটির জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ শনিবার জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেন এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানান।
লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রিটে স্টারমারের কার্যালয়ের বাইরে সমর্থকেরা জেলেনস্কিকে স্বাগত জানান। আজ রোববার (২ মার্চ) তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হবে।
স্টারমার জেলেনস্কিকে বলেন, “আমি আশা করি আপনি বাইরের উল্লাস শুনেছেন। এটি যুক্তরাজ্যের জনগণের সমর্থনের প্রতিফলন। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং সব সময় থাকব।”
জেলেনস্কি তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে লেখেন, “স্টারমারের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ও উষ্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা ইউক্রেনের অবস্থান শক্তিশালী করা এবং নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে আলোচনা করেছি।”
ট্রাম্পের সঙ্গে বিতর্কের পর ইউরোপের অন্যান্য নেতারাও জেলেনস্কির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যকে আরও স্পষ্ট করেছে।
রাশিয়ার সিনিয়র রাজনীতিবিদরা ট্রাম্পের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে জেলেনস্কির জন্য অপমানজনক বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন, “এটি তার প্রাপ্য ছিল। যুক্তরাষ্ট্র এখন ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা কমিয়ে দেবে।”
এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান জানিয়েছে, রোববার জেলেনস্কি ব্রিটেনের রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ব্রিটেন দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনের শক্তিশালী সমর্থক এবং রাজা চার্লসও এর আগে ইউক্রেনের জনগণের “অদম্য সংকল্প ও শক্তি” সম্পর্কে প্রশংসা করেছেন।
স্টারমার তার যুক্তরাষ্ট্র সফরে ট্রাম্পকে রাজা চার্লসের পক্ষ থেকে যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণপত্রও দিয়েছেন, যা তাকে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের আমন্ত্রিত প্রথম নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে চিহ্নিত করবে।