আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে জয়ী হতে যাচ্ছেন-এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য বেছে নিতে হবে ক্লালাম কাউন্টির কোনো অধিবাসীকে। ৭৮ হাজার জনসংখ্যা অধ্যুষিত পাহাড় চূড়া, বন আর বৃষ্টিস্নাত উপকূলের এই কাউন্টিটি যুক্তরাষ্ট্রের একেবারে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। বিশেষ কারণে এই কাউন্টির একটি সুনাম রয়েছে আর তা হলো গত প্রায় অর্ধশতক সময় ধরে ক্লালাম কাউন্টি দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য কখনো ভুল প্রার্থীকে বেছে নেয়নি। খবর এএফপির।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের ফোর্কস নামের ছোট শহরের সিটি প্ল্যানার রড ফ্লেক বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আমাদের কাউন্টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে নির্দেশক হিসেবে কাজ করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবশেষ কাউন্টি হিসেবে আমরা যেভাবে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবো তা নির্ধারণ করে দেবে ফলাফল কোন দিকে যাবে।’
১৯৮০ সালে রোনাল্ড রিগান থেকে শুরু করে ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ১৯টি অঙ্গরাজ্য বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। তবে ২০২০ সালে ১৮টি অঙ্গরাজ্যই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নেয় কিন্তু সেবার তিনি নির্বাচনে হেরে যান। এ সময় কেবল ক্লালাম কাউন্টি জো বাইডেনের পক্ষে অবস্থান নেয় ও ভোট দেয় আর তার ফলাফল সবারই জানা।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতীকী নির্ধারকের মতো ক্লালামের জনতাত্ত্বিক রূপ দেশটির অন্যান্য রাজ্যের মতো নয়। এখানে জনসংখ্যার বৈচিত্র অপেক্ষাকৃত কম, প্রায় ৮০ শতাংশ লোক শ্বেতাঙ্গ। কলেজ শিক্ষিত ভোটারের সংখ্যাও কম আর গৃহভিত্তিক আয় জাতীয় আয়ের চেয়ে অনেক নিচে অবস্থান করে। তাই অনেকে একে ‘বেগুনি’ কাউন্টি হিসেবেও চিহ্নিত করে।
এ বিষয়ে ফর্কস টাউনের হিকোরি গ্রান্ট নামে মেরামত কাজের একজন দোকানি বলেন, ‘আমি বলব না এই কাউন্টিটি লাল অথবা এটাও বলব না যে তা নীল, এটার অবস্থান অনেকটা মাঝামাঝি পর্যায়ে।’ উল্লেখ্য লাল প্রতীক হলো রিপাবলিকান দলের আর নীল হলো ডেমোক্র্যাট দলের।
গ্রান্ট আরও বলেন, ‘এটা ছোট শহর। এখানে সবাই এক অন্যের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজখবর রাখে।’
তাই ক্লালাম কাউন্টি এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেছে নেয় নাকি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পাশে দাঁড়ায় আর তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কতটা ভূমিকা রাখে, এসব দেখতে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে আদালতের হস্তক্ষেপ বন্ধে সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব পাস