জাতীয় দলে এখন পর্যন্ত আটটি পজিশনে ব্যাট করেছেন মিরাজ। দলের প্রয়োজনে কখনও নেমেছেন ওপেনিংয়ে, কখনও আট নম্বরে। তবে প্রায় সব জায়গাতে পারফর্ম করেছেন তিনি।
আগামীকাল বুধবার (২ জুলাই) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এর আগে আরেকবার প্রশ্ন উঠছে, মিরাজ ব্যাট করবেন কোন পজিশনে? এটি যেন হয়ে উঠেছে কোটি টাকার প্রশ্ন।
জাতীয় দলে মিরাজের শুরুটা আট নম্বর ব্যাটিং পজিশন দিয়ে। এরপর ১০ ও ১১ নম্বর বাদে সব পজিশনেই ব্যাট করেছেন তিনি। ওপেনিং করলেও কখনও স্ট্রাইকে যাননি। তবে মিরাজ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন আট নম্বরে। এই পজিশনে ৩৪ ইনিংসে তার রান ৬৫২। ভারতের বিপক্ষে অপরাজিত ১০০ রান আট নম্বরে মিরাজের সেরা ইনিংস।
অনেক পজিশনে নামলেও মিরাজ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮ ম্যাচে ব্যাটিং করতে নেমেছেন ৪ নম্বরে। এই পজিশনে ৬৮.১৪ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ২৭৬ রান। তবে মিরাজ সবচেয়ে সফল ওপেনিং পজিশনে। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ৪ ম্যাচে ৮২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৭২ রান।
টেস্ট ক্রিকেটে মিরাজ এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা অলরাউন্ডার। ফরম্যাট ভিন্ন হলেও ওয়ানডেতেও বেশ ধারাবাহিক তিনি। এর ওপর তার ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের পেছনে বড় একটা কারণ ছিল সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুউল্লাহ রিয়াদরা। তারা এখন না থাকায় মিরাজের ওপর বাড়তি দায়িত্বও পড়ছে।
চোখ বুলিয়ে একটু নিকট অতীতে আসা যাক। বাংলাদেশের সর্বশেষ তিন সিরিজে মিরাজ ব্যাট করেছেন তিন ও চার নম্বরে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ব্যাট করেছেন তিন নম্বরে। তার আগে আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ব্যাট করেছেন চার নম্বরে।
মিরাজের ব্যাটিং পজিশন নিয়ে প্রশ্নের যথেষ্ট যৌক্তিকতা খুঁজে দিচ্ছে তার দেওয়া বক্তব্য। বিপিএল ও ডিপিএল চলাকালীন একাধিকবার স্থায়ী ব্যাটিং পজিশনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই সিরিজ দিয়ে শুরু হচ্ছে মিরাজের নতুন অধ্যায়, বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দেবেন। দায়িত্ব নিয়ে মিরাজ কি এবার স্থায়ী করবেন ব্যাটিংয়ে নিজের জায়গাটা? সেই প্রশ্ন আপাতত তোলা রইল আগামীকালের জন্য।