রোববার রাতে শারজায় ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আফগানিস্তানকে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৭৫ রানের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে পাকিস্তান, হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। এই ফাইনালে হয়েছে বেশ কয়েকটি রেকর্ডও।
৬৬
ছেলেদের কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আফগানিস্তানের এটিই সর্বনিম্ন সংগ্রহের রেকর্ড। এর আগে ২০২৪ সালে সাব-রিজিওনাল ইউরোপ কোয়ালিফায়ারে জার্সির বিপক্ষে নরওয়ের ৬৯ রান ছিল সর্বনিম্ন।
২
আফগানিস্তানের ৬৬ রান তাদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসেরও দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের ৫৬ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড এক নম্বরে।
৫/১৯
কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাঁচ উইকেট শিকার করা দ্বিতীয় বোলার মোহাম্মদ নেওয়াজ। তার আগে ২০১৯ সালে প্যাসিফিক গেমসের ফাইনালে পাপুয়া নিউগিনির নরমান ভানুয়া ১৭ রানে ৫ উইকেট শিকার করেছিলেন।
৩
ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে নেওয়াজসহ পাকিস্তানের তিনজন বোলার হ্যাটট্রিক করেছেন। ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাহিম আশরাফ এবং ২০১৯ সালে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মোহাম্মদ হাসনাইন এই কীর্তি গড়েছিলেন।
ছেলেদের টি-টোয়েন্টি ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা ইতিহাসের তৃতীয় বোলার নেওয়াজ। এর আগে ২০২১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে উগান্ডার এলিজাহ ওতিনো এবং ২০২২ সালে মাল্টার বিপক্ষে বেলজিয়ামের খালিদ আহমেদি হ্যাটট্রিক করেন।
১৫
শারজার ফাইনালে স্পিনাররা নিয়েছেন ১৫ উইকেট। ছেলেদের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে স্পিনারদের যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড এটি।
এর মধ্যে পাকিস্তানি স্পিনাররাই নিয়েছেন ৯ উইকেট। ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে এটি যৌথভাবে সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটিও পাকিস্তানেরই। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে হংকংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানি স্পিনাররা এক ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছিলেন।
২০
ছেলেদের টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভারে মোট ২০ বার উইকেট শিকার করেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এই রেকর্ডে তার চেয়ে ওপরে আছেন কেবল ওমানের বিলাল খান, ২২ বার প্রথম ওভারে উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
৭-০
ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথমে ব্যাটিং করা দলের সবগুলো ম্যাচ জেতার রেকর্ড এটি। ছেলেদের টি-টোয়েন্টি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাটিং করে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতার রেকর্ডও হলো এবার।