মিয়ানমারের রাখাইন থেকে আসা আরও ১ লাখ ১৩ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশনন্স রিফিউজি এজেন্সি (ইউএনএইচসিআর) এই অনুরোধ জানায়।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত সরকারি সংস্থা রিফিউজি রিলিফ অ্যান্ড রিপ্যাট্রিশন কমিশনের কমিশনার মিজানুর রহমান তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদসংস্থা আনাদোলুকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে আমাদের চিঠি দিয়েছে ইউএনএইচসিআর। সেখানে মিয়ানমার থেকে উচ্ছেদ হয়ে বাংলাদেশে আসা নতুন প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদানের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মিজানুর রহমান বলেন, নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের অনেকে বর্তমানে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের আশপাশে তাঁবু গেড়ে থাকছেন। অনেকে স্কুল ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন। ইউএনএইচিসিআর নতুন আসা রোহিঙ্গাদের সবাইকে শিবিরে আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। তবে আমরা এখনও কোনো উত্তর দিইনি।
মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের আশঙ্কা, এভাবে ক্রমাগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে থাকলে তাদের মিয়ানমারে পাঠানোর প্রক্রিয়া আরও জটিল হয়ে উঠবে।
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুলিশ স্টেশন ও সেনা ছাউনিতে একযোগে হামলা চালায় সশস্ত্র রোহিঙ্গা গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। তার প্রতিক্রিয়ায় আরাকানের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ভয়াবহ হামলা শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। মিয়ানমার সেনাদের নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের মুখে টিকতে না পেরে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। বর্তমানে টেকনাফের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ১৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।