ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টিউলিপ নিজের দেশকে ছোট করছেন : দুদক

লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক/ছবি সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার আইনজীবী নিজেদের দেশকে ছোট করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচার দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্রিটেনের রাজনীতি কি এতটাই ভঙ্গুর যে, একজনের নামে মামলা হলেই দেশটির রাজনীতি ধসে পড়বে? এটা কি হতে পারে? আমাদের কার্যপরিধিতে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টিউলিপের আইনজীবীর শব্দচয়ন দেখে মনে হচ্ছে তারা নিজেদের দেশকে ছোট করছেন এবং প্রমাণের চেষ্টা করছেন ব্রিটেনের রাজনীতি ভঙ্গুর। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলাটি কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এটা কাউকে ছোট করার মামলা নয়। অনেক আসামির মতো টিউলিপও একজন অভিযুক্ত। আমাদের এর চেয়েও বড় মামলা আছে।

টিউলিপের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, চিঠিপত্র দিয়ে মামলা নিষ্পত্তির সুযোগ নেই। অপরাধ যেখানে হয়েছে, সেখানেই মোকাবিলা করতে হবে। কোর্টে মামলা চলছে, তাকে কোর্টে হাজির হয়ে মামলা মোকাবিলা করতে হবে।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের নাগরিক। তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিআইএন আছে। সেই সূত্রেই তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, টিউলিপ দেশের আইন মেনে চলবেন এবং যথাযথভাবে বিচারের মুখোমুখি হবেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার গুলশানের একটি প্লট অবৈধভাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে ঘুষ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় বলা হয়, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে তিনি সুবিধা নিয়েছেন।

পরে ১৫ জুন টিউলিপকে দ্বিতীয় দফায় ২২ জুন দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। এর আগে ১৪ মে প্রথম দফায় তলব করা হলেও তিনি জানান যে তিনি সেই চিঠি পাননি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর গত ২৩ জুন তিনি ও তার আইনজীবীর নোটিশের মাধ্যমে অভিযোগ তোলেন যে, দুদক ও অন্তর্বর্তী সরকার ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

টিউলিপ নিজের দেশকে ছোট করছেন : দুদক

আপডেট সময় ০৬:১৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার আইনজীবী নিজেদের দেশকে ছোট করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচার দুদক প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ব্রিটেনের রাজনীতি কি এতটাই ভঙ্গুর যে, একজনের নামে মামলা হলেই দেশটির রাজনীতি ধসে পড়বে? এটা কি হতে পারে? আমাদের কার্যপরিধিতে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, টিউলিপের আইনজীবীর শব্দচয়ন দেখে মনে হচ্ছে তারা নিজেদের দেশকে ছোট করছেন এবং প্রমাণের চেষ্টা করছেন ব্রিটেনের রাজনীতি ভঙ্গুর। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে মামলাটি কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এটা কাউকে ছোট করার মামলা নয়। অনেক আসামির মতো টিউলিপও একজন অভিযুক্ত। আমাদের এর চেয়েও বড় মামলা আছে।

টিউলিপের উদ্দেশে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, চিঠিপত্র দিয়ে মামলা নিষ্পত্তির সুযোগ নেই। অপরাধ যেখানে হয়েছে, সেখানেই মোকাবিলা করতে হবে। কোর্টে মামলা চলছে, তাকে কোর্টে হাজির হয়ে মামলা মোকাবিলা করতে হবে।

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের নাগরিক। তার জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিআইএন আছে। সেই সূত্রেই তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে মামলা করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, টিউলিপ দেশের আইন মেনে চলবেন এবং যথাযথভাবে বিচারের মুখোমুখি হবেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার গুলশানের একটি প্লট অবৈধভাবে হস্তান্তরের মাধ্যমে ঘুষ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে গত ১৫ এপ্রিল টিউলিপের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলায় বলা হয়, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে তিনি সুবিধা নিয়েছেন।

পরে ১৫ জুন টিউলিপকে দ্বিতীয় দফায় ২২ জুন দুদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। এর আগে ১৪ মে প্রথম দফায় তলব করা হলেও তিনি জানান যে তিনি সেই চিঠি পাননি।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুর্নীতির অভিযোগে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর গত ২৩ জুন তিনি ও তার আইনজীবীর নোটিশের মাধ্যমে অভিযোগ তোলেন যে, দুদক ও অন্তর্বর্তী সরকার ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে এবং তার সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা করছে।