ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব

ভারতে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) তাকে তলব করা হয়।

প্রণয় ভার্মা বিকেল ৪টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে, সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এ হামলা চালান।

এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েকশ লোক বিক্ষোভ করেছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।

আগরতলায় হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনা কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশে কিছু রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করে ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যম।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যা প্রচারণা আরও বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্ষুব্ধ হন সেদেশের হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও সমর্থকেরা।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।

ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ না: আসিফ নজরুল

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব

আপডেট সময় ০৫:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) তাকে তলব করা হয়।

প্রণয় ভার্মা বিকেল ৪টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন। তিনি ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এর আগে, সোমবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এ হামলা চালান।

এদিন মুম্বাইয়ের বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের কাছাকাছি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) আয়োজনে কয়েকশ লোক বিক্ষোভ করেছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি হলো ভিএইচপির সহযোগী সংগঠন।

আগরতলায় হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনা বাংলাদেশ সরকারকে গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। এ ঘটনা কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদের লঙ্ঘন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগরতলার ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, কূটনৈতিক ও কনস্যুলার সম্পত্তি কোনো অবস্থাতেই লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশে কিছু রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করে ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যম।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার হওয়ার পর ভারতীয় গণমাধ্যমের মিথ্যা প্রচারণা আরও বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্ষুব্ধ হন সেদেশের হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও সমর্থকেরা।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।

ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ না: আসিফ নজরুল