ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসবে : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বিশ্বাস, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় আসবে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন।

সিইসি বলেন, আমার ধারণা হলো, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো, আমি বিশ্বাস করি, দেশের স্বার্থ সবার বিবেচনায় উপরে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থে কাজ করে। দেশের কথা চিন্তা করে কাজ করে। শেষ পর্যন্ত দেখবেন যে একটা পজিশনে এসে যায়। এ কথা আমি গোড়া থেকে বলে আসছি।

নাসির উদ্দিন বলেন, আমি ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসনকে বলেছি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো, দেখবেন আপনি, শেষ পর্যন্ত একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে আসবে। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা কিন্তু গতকাল থেকে এই উদ্যোগটা নিয়েছেন, আবার আলোচনা করছেন।

সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এতদিন ঐকমত্য কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন একটা ঐক্যমতে পৌছানোর জন্য। গতকাল থেকে দেখছি, উনি আবার আলোচনা শুরু করেছেন। তার মানে, পলিটিক্যাল রেজুলিউশন যেটা হয়, সবাইকে নিয়ে আসা একসাথে এবং এই কাজটা করা। উনি আবার নিজেই শুরু করেছেন। সুতরাং, আমি বিশ্বাস করি যে একটা পর্যায়ে এটা একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং হবে।

নাসির উদ্দিন বলেন, ট্র্যাসি জানতে চেয়েছেন ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশনের ব্যাপারে। আমি ৯১ সালে দেখেছি। বিভিন্ন পার্টির মধ্যে ঝামেলা, পরে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে আসে। ৯৬ সালেও দেখেছি। আমাদের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা জাস্টিস হাবিবুর রহমান সাহেবের গভর্নমেন্টে উপদেষ্টা ছিলেন। উনি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপদেষ্টা ছিলেন। বিভিন্ন পার্টিকে নির্বাচনে আনতে উনার চেষ্টা দেখেছি আমরা। ২০০১ ও ২০০৮ অনেক ধরনের পার্টির মধ্যে টানাপোড়েন ছিল। কিন্তু পরে একটা পর্যায়ে এসেছে।

এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, সরকার যখন নির্বাচন চাইবে, আমরা যাতে ডেলিভার করতে পারি, সেই প্রস্তুতি আমরা নেব। আমরা কোনো ধরনের ব্লেম নিতে রাজি না। এই কথাটা মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কিন্তু প্রস্তুতি নিয়েছি।

‘মব’ কালচার প্রসঙ্গে সিইসি বললেন, ইলেকশন তো এখনও দেরি আছে। তো ওই ইলেকশনের সময় যখন ৩০০ কনস্টিটিউয়েন্সিতে (সংসদীয় আসন) একদিনে ইলেকশন হবে, ওই ‘মব’ই ভাগ হয়ে যাবে ৩০০ জায়গায়। যারা ‘মব’ সৃষ্টি করে, ওরা দেখবেন যে যার যার কনস্টিটিউয়েন্সিতে চলে গেছে। একসাথে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না। ঢাকা শহর খালি হয়ে যায়।

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাস

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রাজনৈতিক দলগুলো সমঝোতায় আসবে : সিইসি

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের বিশ্বাস, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় আসবে। আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে নির্বাচন ভবনে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মনোভাব ব্যক্ত করেন।

সিইসি বলেন, আমার ধারণা হলো, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো, আমি বিশ্বাস করি, দেশের স্বার্থ সবার বিবেচনায় উপরে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থে কাজ করে। দেশের কথা চিন্তা করে কাজ করে। শেষ পর্যন্ত দেখবেন যে একটা পজিশনে এসে যায়। এ কথা আমি গোড়া থেকে বলে আসছি।

নাসির উদ্দিন বলেন, আমি ট্র্যাসি অ্যান জ্যাকবসনকে বলেছি, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো, দেখবেন আপনি, শেষ পর্যন্ত একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে আসবে। আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা কিন্তু গতকাল থেকে এই উদ্যোগটা নিয়েছেন, আবার আলোচনা করছেন।

সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এতদিন ঐকমত্য কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন একটা ঐক্যমতে পৌছানোর জন্য। গতকাল থেকে দেখছি, উনি আবার আলোচনা শুরু করেছেন। তার মানে, পলিটিক্যাল রেজুলিউশন যেটা হয়, সবাইকে নিয়ে আসা একসাথে এবং এই কাজটা করা। উনি আবার নিজেই শুরু করেছেন। সুতরাং, আমি বিশ্বাস করি যে একটা পর্যায়ে এটা একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং হবে।

নাসির উদ্দিন বলেন, ট্র্যাসি জানতে চেয়েছেন ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশনের ব্যাপারে। আমি ৯১ সালে দেখেছি। বিভিন্ন পার্টির মধ্যে ঝামেলা, পরে একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে আসে। ৯৬ সালেও দেখেছি। আমাদের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা জাস্টিস হাবিবুর রহমান সাহেবের গভর্নমেন্টে উপদেষ্টা ছিলেন। উনি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপদেষ্টা ছিলেন। বিভিন্ন পার্টিকে নির্বাচনে আনতে উনার চেষ্টা দেখেছি আমরা। ২০০১ ও ২০০৮ অনেক ধরনের পার্টির মধ্যে টানাপোড়েন ছিল। কিন্তু পরে একটা পর্যায়ে এসেছে।

এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, সরকার যখন নির্বাচন চাইবে, আমরা যাতে ডেলিভার করতে পারি, সেই প্রস্তুতি আমরা নেব। আমরা কোনো ধরনের ব্লেম নিতে রাজি না। এই কথাটা মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি এবং সেই লক্ষ্যে আমরা কিন্তু প্রস্তুতি নিয়েছি।

‘মব’ কালচার প্রসঙ্গে সিইসি বললেন, ইলেকশন তো এখনও দেরি আছে। তো ওই ইলেকশনের সময় যখন ৩০০ কনস্টিটিউয়েন্সিতে (সংসদীয় আসন) একদিনে ইলেকশন হবে, ওই ‘মব’ই ভাগ হয়ে যাবে ৩০০ জায়গায়। যারা ‘মব’ সৃষ্টি করে, ওরা দেখবেন যে যার যার কনস্টিটিউয়েন্সিতে চলে গেছে। একসাথে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না। ঢাকা শহর খালি হয়ে যায়।

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টার আশ্বাস