ঢাকা ০১:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবির চেয়ারম্যানকে অপসারণের আল্টিমেটাম

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, কয়েকজনকে গ্রেফতার এবং ১০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার প্রতিবাদে আরইবির চেয়ারম্যানের অপসারণসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছে ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। দুই দফা দাবি আদায়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে বলেও তারা জানায়।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে সমন্বয়ক এজিএম মো. সালাহউদ্দিন, আব্দুল হাকিম, ডিজিএম মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া এবং এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে আরইবি-পবিস (পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি) একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন করে আসছে। সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য গত ১ আগস্ট ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটির ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দফায় দফায় সভা অনুষ্ঠিত হলেও সরকারের সংস্কার উদ্যোগে আরইবি’র প্রত্যক্ষ অসহযোগিতার (সভায় অনুপস্থিত থাকা, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন না করা, পরবর্তীতে বিদ্যমান কাঠামো বহাল রাখার প্রস্তাব, গোপনে আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি) কারণে কমিটি চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারেনি। গণস্বাক্ষরসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাবি উপস্থাপন, গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে গত মে মাসে ৫ দিন এবং জুলাই মাসে ১০ দিন কর্মবিরতি, আগস্টে লং মার্চ টু আরইবি, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামে গণছুটি ঘোষণার পর জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় কর্মসূচি প্রত্যাহার, সারা দেশে একযোগে ডিসি অফিস ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিতকরণের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়।

এই অবস্থায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, ১৭ অক্টোবর কয়েকজনকে গ্রেফতার এবং ১০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। একটি অহিংস আন্দোলনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির দায়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ, সমিতির কর্মকর্তাদের চাকরি অবসানের আদেশ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। অন্যথায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে দাবি আদায়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

পবিস-২ এর  কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে

 

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরইবির চেয়ারম্যানকে অপসারণের আল্টিমেটাম

আপডেট সময় ০৪:২১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, কয়েকজনকে গ্রেফতার এবং ১০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার প্রতিবাদে আরইবির চেয়ারম্যানের অপসারণসহ দুই দফা দাবি জানিয়েছে ‘পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন’। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। দুই দফা দাবি আদায়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ করতে বাধ্য হবে বলেও তারা জানায়।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে সমন্বয়ক এজিএম মো. সালাহউদ্দিন, আব্দুল হাকিম, ডিজিএম মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া এবং এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের শুরু থেকে আরইবি-পবিস (পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি) একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক বা অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবি আদায়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আন্দোলন করে আসছে। সংস্কারসহ অন্যান্য সমস্যার যৌক্তিক সমাধানের জন্য গত ১ আগস্ট ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং কমিটির ৪টি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দফায় দফায় সভা অনুষ্ঠিত হলেও সরকারের সংস্কার উদ্যোগে আরইবি’র প্রত্যক্ষ অসহযোগিতার (সভায় অনুপস্থিত থাকা, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন না করা, পরবর্তীতে বিদ্যমান কাঠামো বহাল রাখার প্রস্তাব, গোপনে আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি) কারণে কমিটি চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করতে পারেনি। গণস্বাক্ষরসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দাবি উপস্থাপন, গ্রাহক সেবা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রেখে গত মে মাসে ৫ দিন এবং জুলাই মাসে ১০ দিন কর্মবিরতি, আগস্টে লং মার্চ টু আরইবি, ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটামে গণছুটি ঘোষণার পর জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় কর্মসূচি প্রত্যাহার, সারা দেশে একযোগে ডিসি অফিস ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিতকরণের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বরাবর একাধিকবার স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি পালন করা হয়।

এই অবস্থায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের, ১৭ অক্টোবর কয়েকজনকে গ্রেফতার এবং ১০ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। একটি অহিংস আন্দোলনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির দায়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ, সমিতির কর্মকর্তাদের চাকরি অবসানের আদেশ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। অন্যথায় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে দাবি আদায়ে ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ঢাকা অভিমুখে লং মার্চ করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

পবিস-২ এর  কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে