অভিনেত্রী মেহজাবীনের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানার পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন। আত্মসমর্পণ করে তিনিসহ মামলার অন্য আসামিরা জামিন আবেদনও করেছেন। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এর বিচারক আফরোজা তানিয়া মেহজাবীন চৌধুরী এবং তার ভাই আলিসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। রোববার (১৬ নভেম্বর) বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
এদিকে অভিনেত্রী মেহজাবীনের আত্মসমর্পণ করতে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩-এ আসার কথা জানতে পেরে গণমাধ্যম কর্মীদের সেখানে অবস্থা করতে দেখা যায়। পুলিশের বাড়তি সর্তকতা দেখা যায়। এতে আদালত থেকে এই বিষয়ে কেউ কথা বলতে চাননি।
বিষয়টি মেহজাবীন চৌধুরীর আইনজীবী তুহিন হাওলাদার নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী আমিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নতুন পারিবারিক ব্যবসায় পার্টনার করার কথা বলে মেহজাবীন ও তার ভাইয়ের পক্ষ থেকে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে মোট ২৭ লাখ টাকা নেওয়া হয়। পরে বহুদিনেও ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে আজ-কাল করে কালক্ষেপণ করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি টাকা চাইতে গেলে আমিরুল ইসলামকে ১৬ মার্চ হাতিরঝিলের একটি রেস্টুরেন্টে যেতে বলা হয়। সেখানে গেলে মেহজাবীন, তার ভাই এবং আরও কয়েকজন তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং জীবননাশের হুমকি দেন। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় গেলে পুলিশ তাকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে তিনি ২৪ মার্চ ফৌজদারি কার্যবিধির ১০৭/১১৭(৩) ধারায় মামলা করেন।
আদালতে হাজির হওয়ার নির্ধারিত তারিখে আসামিরা উপস্থিত না থাকায় ৩ নভেম্বর আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন এবং ১০ নভেম্বর তা জারি করা হয়। এর পর মেহজাবীন ও তার ভাই আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে আদালতে আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য রয়েছে ১৮ ডিসেম্বর।
গ্রেফতারি পরোয়ানার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মেহজাবীন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানান, অনলাইনে তার নাম ব্যবহার করে ভিত্তিহীন মামলা সংক্রান্ত কিছু খবর ছড়ানো হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, কোনো যাচাইহীন ও সত্যতা-বিহীন সংবাদ যেন প্রকাশ না করা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক 



















