একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান আর নেই। বৃহম্পতিবার বিকেল ৪ টা ২০ মিনেটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মাসুদ আলী খানের মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেন অভিনেতার পরিবারের সদস্য শারমিনা আহমেদ।
এদিকে অভিনেতার সহকারী রবিন মন্ডল জানান, গত ৬ অক্টোবর ৯৬ এ পা রাখেন মাসুদ আলী খান। বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ ছিলেন প্রবীণ এই শিল্পী। চিকিৎসার জন্য কয়েকবার নেয়া হয়েছিলো হাসপাতালে। চলছিলো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা।
মাসুদ আলী খানের দাফন কোথায় ও কখন হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি রবিন মন্ডল। শুধু জানিয়েছেন, অভিনেতার এক ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। আগামী ১৩ তারিখে তার দেশে আসার কথা। এখন তিনি কখন বা কবে আসবেন সেটা জানি না। তার সিদ্ধান্তের উপরই সব নির্ভর করছে। তবে তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে মনে হয় সেখানেই দাফন করা হবে তাকে।
দীর্ঘদিন ধরে অভিনয় থেকে দূরে আছেন গুণী অভিনেতা মাসুদ আলী খান। বয়সের ভারে ঠিকমত হাঁটাচলাও করতে পারতেন না এই অভিনেতা। হুইল চেয়ারই ছিল তাঁর ভরসা। এ কারণে বেশির ভাগ সময় ঘরের ভেতরেই কাটাতে হতো মাসুদ আলী খানকে।
১৯৫৬ সালে এ দেশের প্রথম নাটকের দল ড্রামা সার্কেলের সঙ্গে যুক্ত হন মাসুদ আলী খান। সেই থেকে অভিনয়ে ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ৫ দশকেরও বেশি সময় টানা অভিনয় করেছেন তিনি।
তার অভিনীত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হচ্ছে ‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।