বলিউডের নায়ক শাহরুখ খানের আগামী সিনেমা ‘কিং খান’র দৃশ্যধারণের মাঝামাঝিতে এর পরিচালক বদলে গিয়েছে।
পরিচালক সুজয় ঘোষের জায়গায় এ সিনেমা তৈরির দায়িত্ব পড়েছে শাহরুখের সুপারহিট সিনেমা ‘পাঠান’ এর পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের কাঁধে।
আচমকা এই সিনেমা থেকে কেন সুজয়কে সরানো হল সেই প্রশ্নের উত্তরে ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, এই পরিচালক সিনেমাটির সঙ্গে ‘একাত্মবোধ করেতে পারছিলেন না’।
সুজয় সিনেমার গল্পকে যেভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন, সিনেমটি নাকি আর সেই জায়গায় নেই।
অ্যাকশন, ড্রামা, প্রেমসহ সব রকম উপাদান মিশিয়ে এই সিনেমা যে তারে বাঁধা হয়েছে ‘সেই উচ্চতা ছোঁয়ার’ উপযুক্ত মানুষ হিসেব সিদ্ধার্থ আনন্দকে মনে করা হচ্ছে।
তবে কোনো মন কষাকষি করে নয়, বরং সবার সম্মতিতে সুজয় ‘কিং খান’ নির্মাণ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
এ সিনেমার চিত্রনাট্যে দেখানো হয়েছে, শহরের অপরাধ জগত পরিচালিত হয় এক কুখ্যাত ডনের ইশারা এবং সিদ্ধান্তে। সেই ডনের একজন শিষ্যা আছেন, যিনি অক্ষরে অক্ষরে গুরুর কথা মেনে চলেন।
‘কিং খান’ সিনেমায় গুরু-শিষ্যার এই চরিত্রটি করেছেন বাবা-মেয়ে শাহরুখ খান ও সুহানা খান।
মূল চরিত্রে শাহরুখ-সুহানা ছাড়া খল চরিত্রে আসছেন অভিষেক বচ্চন। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন অভয় ভার্মা।
সিনেমার সংলাপ লিখছেন আব্বাস টায়ারওয়ালা। সংগীত পরিচালনায় থাকবেন দক্ষিণের পরিচালক অনিরুদ্ধ রবিচন্দর; যিনি ‘জওয়ান’র সংগীত পরিচালনা করেছেন।
তবে আগামী বছরে নয়, শাহরুখ-সুহানার ‘কিং খান’ প্রেক্ষাগৃহে আসতে আসতে ২০২৬ সালেরও ছয় মাস পেরিয়ে যাবে।