ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে প্রতিভাবান নির্মাতাদের একজন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি নতুন নতুন চমক উপহার দিচ্ছেন সিনেমার দর্শকদেরকে। বলা হচ্ছে সদ্য প্রয়াত ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তী নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল এর কথা। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রয়াত হন এই নির্মাতা। তার মৃত্যুতে সিনেমা জগতে শোকের ছায়া।
নির্মাতার বিদায়লগ্নে বার বারই উচ্চারিত হচ্ছে তার সৃষ্টিকর্ম। বিশেষ করে তার নির্মিত পৃথিবীব্যাপী আলোচিত ছবিগুলো নিয়েই কথা বলছেন সকলে। যারা শ্যাম বেনেগালের বহুল আলোচিত ছবিগুলো দেখেননি, তারা দেখে নিতে পারেন তার নির্মিত দশটি আলোচিত ছবি-
অঙ্কুর (১৯৭৪): হায়দরাবাদের এক সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে এই ছবি। অভিনয় করেছেন অনন্ত নাগ ও শাবানা আজমি। তিনটি জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছিল এই ছবি।
নিশান্ত (১৯৭৫): এই ছবিও জিতে নিয়েছিল জাতীয় পুরস্কার। ভারতের গ্রামাঞ্চলের সামন্ততান্ত্রিক অত্যাচার, ফ্যাসিবাদ এবং যৌন শোষণ তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। অভিনয় করেছেন গিরিশ কর্নদ, শাবানা আজমি, অমরিশ পুরি, নাসিরুদ্দিন শাহ, অনন্ত নাগ এবং স্মিতা পাতিল।
মন্থন (১৯৭৬): ভারতের ‘শ্বেত বিপ্লব’-এর প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে ছবির গল্প। অভিনয় করেছেন স্মিতা পাতিল, গিরিশ কর্নদ, নাসিরুদ্দিন শাহ, অমরিশ পুরি।
ভূমিকা (১৯৭৭): মারাঠি অভিনেত্রী হাঁসা ওয়াদকরের জীবন নিয়ে তৈরি হয়েছে এই ছবি। কিশোরী থেকে পূর্ণ বয়স্ক মহিলা হয়ে ওঠার মাঝে তার জীবনে নানা পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক এবং আঘাত থেকে শিক্ষা পাওয়ার ঘটনাগুলো দেখানো হয়েছে ছবিতে। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্মিতা পাতিল। ছবিটি দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নিয়েছিল।অনলাইন ফিল্ম স্ট্রিমিং পরিষেবা
ত্রিকাল (১৯৮৫): খ্রিষ্টান এক পরিবারের পর্তুগিজ শাসিত গোয়ায় বসবাসের গল্প নিয়ে গড়ে উঠেছে ছবির কাহিনী। এই ছবির অসাধারণ সিনেমাটোগ্রাফি দর্শকের মন কেড়ে নিয়েছিল। অভিনয় করেছেন লীলা নাইদু, নাসিরুদ্দিন শাহ, নিনা গুপ্তা।
জুনুন (১৯৭৮): ভারতীয় পুরুষ এবং ব্রিটিশ নারীর নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প নিয়ে ছবির কাহিনী। এই ছবিতে শাবানা আজমির অভিনয় স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন, নাফিসা আলি, জেনিফার কেন্ডল, নাসিরুদ্দিন শাহ।
মান্ডি (১৯৮৩): হায়দরাবাদের এক যৌনপল্লিকে ঘিরে ছবির ঘটনা। যৌনকর্মীদের জীবনব্যবস্থা তুলে ধরা হয়েছে কৌতুকের মাধ্যমে। ছবিটি তৎকালীন সময়ে জাতীয় পুরস্কার জিতে নেয়। অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি, স্মিতা পাতিল, নাসিরুদ্দিন শাহ।
সুসমান (১৯৮৭): অন্ধ্র প্রদেশের গ্রামাঞ্চলের তাঁতিদের জীবনের নানা সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠেছে এই ছবিতে। অভিনয় করেছেন শাবানা আজমি, ওম পুরি, কুলভূষণ খরবান্দা, নীনা গুপ্ত।
কলিযুগ (১৯৮১): একটি ষড়যন্ত্রের গল্প এবং দুটি পরিবারের লড়াইয়ের গল্প। অভিনয় করেছেন শশী কাপুর, রেখা, রাজ বাব্বর, সুপ্রিয়া পাঠক, অনন্ত নাগ, কুলভূষণ খরবান্দা, সুষমা শেঠ, আকাশ খুরানা, ভিক্টর ব্যানার্জি, রিমা লাগু, এবং এ.কে. হাঙ্গাল।
সুরজ কা সত্বন ঘোড়া (১৯৯২): একজন পুরুষের জীবনে বিভিন্ন সময়ে আসা তিনজন নারীর গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবিটি। অভিনয় করেছেন রজিত কাপুর, নিনা গুপ্তা, রাজেশ্বরি সাচদেব, অমরিশ পুরি।