ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ

অন্তর্বর্তী সরকারের ৯টি অগ্রাধিকারের কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এছাড়াও ৫টি রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এসব অগ্রাধিকার তালিকার কথা জানান তিনি।

‘আমাদের এখনকার অগ্রাধিকার’ শিরোনামের ওই পোস্টে মাহফুজ আলম সরকারের যে ৯টি অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন, তা নিচে তুলে ধরা হলো-

জুলাই শহিদ-আহতদের তালিকা প্রণয়ণ, চিকিৎসা প্রদান। আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের অর্থসহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন; জুলাই গণহত্যার বিচার ও সে লক্ষ্যে যথাযথ মামলা ও সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা; গত ১৬ বছরের গুম খুন ও অর্থনৈতিক লুটপাটের বিচার। লুট হওয়া অর্থ ফেরত আনা; জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা; জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের বিবিধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাস্তবসম্মত সংস্কার নিশ্চিত করা; শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি ও আবাসনসহ সকল জনগুরুত্বপূর্ণ খাত ঢেলে সাজানো; তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরি ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা বৃদ্ধি করা; কথিত ‘উন্নয়ন অর্থনীতি’র বদলে জনগণ, প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের অনুকূল অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং সরকারের সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা।

রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে মাহফুজ আলম লিখেন, অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা।জাতীয় স্বার্থকে সকল ক্ষেত্রে সমুন্নত রাখা এবং বিগ কর্পোরেশন ও বিদেশি স্বার্থের বাইরে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রাণ প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রশ্নকে গুরুত্ব দেওয়া।

জাতীয় অগ্রাধিকার তথা জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য ধরে রাখা এবং জনগণের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ও খুনিদের ফেরত আসার পথরুদ্ধ করা। সংস্কারের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া তথা নির্বাচন ব্যবস্থা, সংস্কারসাপেক্ষে জনগণের রায়ের কাছে ছেড়ে দেওয়া।

সারা দেশের মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে (দায়িত্ব ও অধিকার বিষয়ে) শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলা।

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার কাজের তালিকা দিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ

আপডেট সময় ০১:৫৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের ৯টি অগ্রাধিকারের কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এছাড়াও ৫টি রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে এসব অগ্রাধিকার তালিকার কথা জানান তিনি।

‘আমাদের এখনকার অগ্রাধিকার’ শিরোনামের ওই পোস্টে মাহফুজ আলম সরকারের যে ৯টি অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন, তা নিচে তুলে ধরা হলো-

জুলাই শহিদ-আহতদের তালিকা প্রণয়ণ, চিকিৎসা প্রদান। আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের অর্থসহায়তা ও দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন; জুলাই গণহত্যার বিচার ও সে লক্ষ্যে যথাযথ মামলা ও সুষ্ঠু তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করা; গত ১৬ বছরের গুম খুন ও অর্থনৈতিক লুটপাটের বিচার। লুট হওয়া অর্থ ফেরত আনা; জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখা; জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রের বিবিধ প্রতিষ্ঠানগুলোর বাস্তবসম্মত সংস্কার নিশ্চিত করা; শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি ও আবাসনসহ সকল জনগুরুত্বপূর্ণ খাত ঢেলে সাজানো; তরুণ প্রজন্মের জন্য চাকরি ও উদ্যোগের ক্ষেত্রে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা বৃদ্ধি করা; কথিত ‘উন্নয়ন অর্থনীতি’র বদলে জনগণ, প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের অনুকূল অর্থনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ করা এবং সরকারের সকল কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা।

রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে মাহফুজ আলম লিখেন, অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করা।জাতীয় স্বার্থকে সকল ক্ষেত্রে সমুন্নত রাখা এবং বিগ কর্পোরেশন ও বিদেশি স্বার্থের বাইরে বাংলাদেশের জনগণ ও প্রাণ প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রশ্নকে গুরুত্ব দেওয়া।

জাতীয় অগ্রাধিকার তথা জাতীয় নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্য ধরে রাখা এবং জনগণের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা ও খুনিদের ফেরত আসার পথরুদ্ধ করা। সংস্কারের পক্ষে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া তথা নির্বাচন ব্যবস্থা, সংস্কারসাপেক্ষে জনগণের রায়ের কাছে ছেড়ে দেওয়া।

সারা দেশের মানুষ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে (দায়িত্ব ও অধিকার বিষয়ে) শিক্ষিত ও সচেতন করে তোলা।