ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আগামী নির্বাচন হবে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন: তারেক রহমান

ফাইল ফটো

আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, এ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করা গেলে সব যড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‌‘বিএনপিতে মানুষ আস্থা রাখতে চায়। যে কাজ করলে দেশ ও মানুষ উপকৃত হবে তা বিএনপিরা করছে। অন্তর্বতী সরকারঘোষিত ফেব্রুয়ারিতে ভোটের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তারা দেশের স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন। তারা যখন দেশ লুটপাট করছিলেন, রাষ্ট্র মেরামতে তখন বিএনপি ৩১ দফা দাবি ঘোষণা করে। যারা এখন সংস্কার সংস্কার বলে দাবি তুলছেন, বিএনপি আড়াই বছর আগে সংস্কারের দাবি তুলেছিল।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির দেশ পরিচালনা অভিজ্ঞতা আছে। কীভাবে ফসল উৎপাদন করতে হয়, কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়, নারী শিক্ষা কীভাবে উন্নয়ন করা যায় এবং শিল্প-কলকারখানা করা যায় তা বিএনপি জানে।’

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

এসময় নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম রেজাউল ইসলাম রেজুর সভাপতিত্বে রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সামসুজ্জোহা খান, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাসহ অন্যরা বক্তব্য রাখে।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক পদে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এ তিনটি পদে মোট ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে ২০১০ সালে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন।

২০১৫ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে আর কোনো কমিটি গঠন হয়নি। সবশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য অনুমোদিত হয়।

৫ আগস্ট দেশের মানুষ বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে : তারেক রহমান

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামী নির্বাচন হবে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন: তারেক রহমান

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

আগামী নির্বাচন হবে সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন: তারেক রহমান

আপডেট সময় ০৭:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫

আগামী নির্বাচন সবচেয়ে কঠিন নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, এ নির্বাচন ঘিরে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তবে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অর্জন করা গেলে সব যড়যন্ত্র মোকাবিলা করা সম্ভব।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‌‘বিএনপিতে মানুষ আস্থা রাখতে চায়। যে কাজ করলে দেশ ও মানুষ উপকৃত হবে তা বিএনপিরা করছে। অন্তর্বতী সরকারঘোষিত ফেব্রুয়ারিতে ভোটের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে নির্বাচিত করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বৈরাচার সরকার মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তারা দেশের স্বার্থ চিন্তা না করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন। তারা যখন দেশ লুটপাট করছিলেন, রাষ্ট্র মেরামতে তখন বিএনপি ৩১ দফা দাবি ঘোষণা করে। যারা এখন সংস্কার সংস্কার বলে দাবি তুলছেন, বিএনপি আড়াই বছর আগে সংস্কারের দাবি তুলেছিল।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির দেশ পরিচালনা অভিজ্ঞতা আছে। কীভাবে ফসল উৎপাদন করতে হয়, কর্মসংস্থান বাড়ানো যায়, নারী শিক্ষা কীভাবে উন্নয়ন করা যায় এবং শিল্প-কলকারখানা করা যায় তা বিএনপি জানে।’

সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

এসময় নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম রেজাউল ইসলাম রেজুর সভাপতিত্বে রাজশাহী বিভাগ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সামসুজ্জোহা খান, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশাসহ অন্যরা বক্তব্য রাখে।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর নওগাঁ জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সাংগঠনিক পদে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। এ তিনটি পদে মোট ২০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে ২০১০ সালে নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সামসুজ্জোহা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রহমান রিপন।

২০১৫ সালে ওই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর সম্মেলনের মাধ্যমে আর কোনো কমিটি গঠন হয়নি। সবশেষ ২০২২ সালে আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়। সেখানে আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক নান্নু ও বায়েজিদ হোসেন পলাশকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য অনুমোদিত হয়।

৫ আগস্ট দেশের মানুষ বুক ভরে শ্বাস নিতে পেরেছে : তারেক রহমান