ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনসিপি নেতার ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এক নারীর কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য মো. ইমামুর রশিদ। এরই মধ্যে এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে এনসিপি নেতা ইমামুর রশিদ জানিয়েছেন, ওই নারী এনসিপির তহবিলে ‘ডোনেশন’ বাবদ ওই টাকা দিয়েছেন। পরে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে ‘ব্যক্তিগত অনৈতিক সুবিধা’ না পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ধারণ করা ভিডিওটি অন্যকে দিয়ে ছড়িয়েছেন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং শিক্ষাবিদ ড. এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এনসিপি নেতা ইমামুর রশিদের সাত লাখ টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটি পোস্ট করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওর বর্ণনায় এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান লেখেন, ‘এই ভিডিওটির মেটা ডাটা বলছে: গত ১৪ মে ২০২৫, রাত ৯.২১ মিনিটে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এটি ধারণ করা হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে- জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন একজন নারীর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা গ্রহণ করছেন। কোন এক ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য, কিন্তু উনি দিয়েছেন ৭ লক্ষ। ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ওই নারী জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ দেয়ার আশ্বাসে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা চাঁদা প্রদান করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে কোন কাজ বা প্রজেক্ট কিছুই দেয়া হয়নি।

ঘটনাটি যে দিনের সেদিন সন্ধ্যায় সেই মহিলা পার্টি ফান্ডে ১০ লক্ষ টাকা দিবে বলে পার্টির পক্ষ থেকে একজনকে পাঠাতে বলে। পার্টির পক্ষ থেকে সেই ফান্ড সংগ্রহের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। আমি আমার দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে ফান্ডটি কালেক্ট করে কোষাধ্যক্ষের কাছে জমা দেই। আমি পার্টির একজন সদস্য হিসেবে শুধুমাত্র আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি, এর বেশি কিছুই নয়।’

ইমামুর রশিদ লেখেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে যে কেউ আর্থিক অনুদান দিতে পারে যা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। যতটুকু জানতে পেরেছি, পরবর্তীতে সেই মহিলা আমাদের পার্টির টপ লিডারদের কাছে তার ব্যক্তিগত কিছু অনৈতিক সুবিধা চেয়েছেন। পার্টির টপ লিডাররা মহিলাটিকে ব্যক্তিগত সুবিধা দিতে রাজি না হলে টপ লিডারদের সাথে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে তিনি এই ভিডিওটা অন্যকে দিয়ে ছড়িয়েছেন। এখন আমরা বুঝতে পারছি যে তার উদ্দেশ্য আসলেই অসৎ ছিল এবং তিনি কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তা নাহলে তিনি কেন ডোনেশন দেওয়ার ভিডিওটি গোপনে ধারণ করেছিলেন?’

‘আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে তাকে কখনোই আগে এপ্রোচ করা হয়নি বরং তিনি নিজে থেকেই ডোনেশনের জন্য পার্টিকে এপ্রোচ করেছেন এবং তিনি যা ডোনেশন দিবেন এই সংখ্যাটাও তার নিজের নির্ধারণ করে দেওয়া, আমরা তাকে কোনকিছুই বলিনি। আরেকটি বিষয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি কখনোই ডোনেশনের বিনিময়ে কোন কিছু সহযোগিতা করার কমিটমেন্ট করেনি। এই অভিযোগটি মিথ্যা এবং তিনি যে ৪৮ লক্ষ টাকা ডোনেশনের কথা উল্লেখ করেছেন সেই সংখ্যাটাও মিথ্যা।’

ইমামুর রশিদ লেখেন, ‘আমি মনে করি আমার সর্বোচ্চ যোগ্যতা হল আমার সততা। সেই সততাকে বিসর্জন দিয়ে আমি কোন অনৈতিক কাজ করেছি এর প্রমাণ দিতে পারলে আমি স্বেচ্ছায় যে-কোন শাস্তি মাথা পেতে নিবো।’

ভিডিও ভাইরালের পর এনসিপির ফান্ড পলিসি এবং ডোনেশন ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ইমামুর রশিদ।

‘নৌকা’ বাদ দিয়ে ‘শাপলা’র তালিকাভুক্তি চায় এনসিপি

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

এনসিপি নেতার ৭ লাখ টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

আপডেট সময় ১২:২০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এক নারীর কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য মো. ইমামুর রশিদ। এরই মধ্যে এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে এনসিপি নেতা ইমামুর রশিদ জানিয়েছেন, ওই নারী এনসিপির তহবিলে ‘ডোনেশন’ বাবদ ওই টাকা দিয়েছেন। পরে দলের শীর্ষ নেতাদের কাছ থেকে ‘ব্যক্তিগত অনৈতিক সুবিধা’ না পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ধারণ করা ভিডিওটি অন্যকে দিয়ে ছড়িয়েছেন।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং শিক্ষাবিদ ড. এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে এনসিপি নেতা ইমামুর রশিদের সাত লাখ টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ভিডিওটি পোস্ট করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিওর বর্ণনায় এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান লেখেন, ‘এই ভিডিওটির মেটা ডাটা বলছে: গত ১৪ মে ২০২৫, রাত ৯.২১ মিনিটে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এটি ধারণ করা হয়েছে। এখানে দেখা যাচ্ছে- জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য ইমামুর রশিদ ইমন একজন নারীর কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা গ্রহণ করছেন। কোন এক ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা দেয়ার জন্য, কিন্তু উনি দিয়েছেন ৭ লক্ষ। ভুক্তভোগী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ওই নারী জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ দেয়ার আশ্বাসে তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টিকে বিভিন্ন সময় প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা চাঁদা প্রদান করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁকে কোন কাজ বা প্রজেক্ট কিছুই দেয়া হয়নি।

ঘটনাটি যে দিনের সেদিন সন্ধ্যায় সেই মহিলা পার্টি ফান্ডে ১০ লক্ষ টাকা দিবে বলে পার্টির পক্ষ থেকে একজনকে পাঠাতে বলে। পার্টির পক্ষ থেকে সেই ফান্ড সংগ্রহের দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়। আমি আমার দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে ফান্ডটি কালেক্ট করে কোষাধ্যক্ষের কাছে জমা দেই। আমি পার্টির একজন সদস্য হিসেবে শুধুমাত্র আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছি, এর বেশি কিছুই নয়।’

ইমামুর রশিদ লেখেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে যে কেউ আর্থিক অনুদান দিতে পারে যা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। যতটুকু জানতে পেরেছি, পরবর্তীতে সেই মহিলা আমাদের পার্টির টপ লিডারদের কাছে তার ব্যক্তিগত কিছু অনৈতিক সুবিধা চেয়েছেন। পার্টির টপ লিডাররা মহিলাটিকে ব্যক্তিগত সুবিধা দিতে রাজি না হলে টপ লিডারদের সাথে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে তিনি এই ভিডিওটা অন্যকে দিয়ে ছড়িয়েছেন। এখন আমরা বুঝতে পারছি যে তার উদ্দেশ্য আসলেই অসৎ ছিল এবং তিনি কোন গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য আমাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। তা নাহলে তিনি কেন ডোনেশন দেওয়ার ভিডিওটি গোপনে ধারণ করেছিলেন?’

‘আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে তাকে কখনোই আগে এপ্রোচ করা হয়নি বরং তিনি নিজে থেকেই ডোনেশনের জন্য পার্টিকে এপ্রোচ করেছেন এবং তিনি যা ডোনেশন দিবেন এই সংখ্যাটাও তার নিজের নির্ধারণ করে দেওয়া, আমরা তাকে কোনকিছুই বলিনি। আরেকটি বিষয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি কখনোই ডোনেশনের বিনিময়ে কোন কিছু সহযোগিতা করার কমিটমেন্ট করেনি। এই অভিযোগটি মিথ্যা এবং তিনি যে ৪৮ লক্ষ টাকা ডোনেশনের কথা উল্লেখ করেছেন সেই সংখ্যাটাও মিথ্যা।’

ইমামুর রশিদ লেখেন, ‘আমি মনে করি আমার সর্বোচ্চ যোগ্যতা হল আমার সততা। সেই সততাকে বিসর্জন দিয়ে আমি কোন অনৈতিক কাজ করেছি এর প্রমাণ দিতে পারলে আমি স্বেচ্ছায় যে-কোন শাস্তি মাথা পেতে নিবো।’

ভিডিও ভাইরালের পর এনসিপির ফান্ড পলিসি এবং ডোনেশন ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে বলে জানান ইমামুর রশিদ।

‘নৌকা’ বাদ দিয়ে ‘শাপলা’র তালিকাভুক্তি চায় এনসিপি