ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরাজিত হয়েও নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের অঙ্গীকার করলেন আবিদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পরাজিত হলেও নিজেদের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের অঙ্গীকার করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) ভোটে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী সাদিক কায়েমের কাছে পরাজিত হয়ে বুধবার (১০) ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে আবিদ এ অঙ্গীকার করেন।

এ ছাত্রনেতা জানান, তিনি তার ক্ষুদ্র জীবনে যে এতদূর আসবেন তা কোনোদিন ভাবেননি। নির্বাচনের আগের রাতে সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিনের অনুষ্ঠানে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান? তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি আসলে কোনোদিনই জানতেন না নিজেকে কোথায় দেখতে হবে, কোথায় দেখা উচিত। একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রাম এসেছে, নিজেকে রাজপথে সঁপে দিয়েছেন। সেই পথ আজ তাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।

ভোটের দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আবিদ বলেন, ‘এ নির্বাচনে আমার দিনটা শুরু হয় মিডিয়ার অপপ্রচার দিয়ে। দুপুর থেকেই আমি ভোটে বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক সমস্যা খুঁজে পেয়েছি, সারাটা দিন সেসব নিয়ে কথা বলেছি। এসব অভিযোগের একটি সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসবে বলে এখনো আশা রাখি।’

নিজের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে ছাত্রদলের এ নেতা বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমরা কেউ পরিপূর্ণ না। আমি জানি, আমি আপনাদের জন্য যথেষ্ট কাজ করতে পারিনি। সত্যি বলতে জীবন আমাকে সেই সুযোগটুকুও দেয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ভাই-বোনকে ভোট দিতে আসার জন্য আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানাই। মাত্র ২০ দিনের ক্যাম্পেইনে আমি চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রের কাছে ছুটে যেতে। অনেকটুকু কাছাকাছি গিয়েছি, কিন্তু সবাইকে হয়তো স্পর্শ করতে পারিনি।’

নির্বাচনে পরাজিত হলেও সহপাঠীদের আশ্বস্ত করে আবিদ বলেন, ‘আমার যাত্রা এখানেই শেষ নয়, আমার যাত্রা আরও অনেক দীর্ঘ। আমি এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন ছাত্রনেতা। কথা দিচ্ছি, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে যা কিছু ছিল, তা একজন ছাত্রনেতা হিসেবেই প্রশাসনের কাছ থেকে আদায় করে নিতে যা যা করা দরকার তা আমি করবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির নতুন শুরুটা আমাদের হাত ধরেই হবে। আমরা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাজপথ পাহারা দেবো, নিজেদের সবটুকু দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো। ইনশা-আল্লাহ, এর প্রতিফলন আপনারা পরবর্তী ডাকসুতে দেখতে পাবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কখনো ছেড়ে যাবেন না উল্লেখ করে আবিদ তার পোস্ট শেষ করেন মার্কিন অধিকারকর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের এক বাণী দিয়ে। তা হলো- ‘আমাদের অবশ্যই সীমিত হতাশাকে মেনে নিতে হবে, কিন্তু কখনই অসীম আশা হারানো যাবে না।’

রাজনৈতিক জীবনে এটাই প্রথম পরাজয়: হামিম

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

পরাজিত হয়েও নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের অঙ্গীকার করলেন আবিদ

আপডেট সময় ০৫:৪৬:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে পরাজিত হলেও নিজেদের দেওয়া নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের অঙ্গীকার করেছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবারের (৯ সেপ্টেম্বর) ভোটে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্রার্থী সাদিক কায়েমের কাছে পরাজিত হয়ে বুধবার (১০) ফেসবুকে নিজের প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে আবিদ এ অঙ্গীকার করেন।

এ ছাত্রনেতা জানান, তিনি তার ক্ষুদ্র জীবনে যে এতদূর আসবেন তা কোনোদিন ভাবেননি। নির্বাচনের আগের রাতে সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিনের অনুষ্ঠানে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল- ৫ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান? তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। তিনি আসলে কোনোদিনই জানতেন না নিজেকে কোথায় দেখতে হবে, কোথায় দেখা উচিত। একের পর এক আন্দোলন-সংগ্রাম এসেছে, নিজেকে রাজপথে সঁপে দিয়েছেন। সেই পথ আজ তাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।

ভোটের দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে আবিদ বলেন, ‘এ নির্বাচনে আমার দিনটা শুরু হয় মিডিয়ার অপপ্রচার দিয়ে। দুপুর থেকেই আমি ভোটে বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক সমস্যা খুঁজে পেয়েছি, সারাটা দিন সেসব নিয়ে কথা বলেছি। এসব অভিযোগের একটি সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে আসবে বলে এখনো আশা রাখি।’

নিজের সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করে ছাত্রদলের এ নেতা বলেন, ‘মানুষ হিসেবে আমরা কেউ পরিপূর্ণ না। আমি জানি, আমি আপনাদের জন্য যথেষ্ট কাজ করতে পারিনি। সত্যি বলতে জীবন আমাকে সেই সুযোগটুকুও দেয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ভাই-বোনকে ভোট দিতে আসার জন্য আমি মন থেকে ধন্যবাদ জানাই। মাত্র ২০ দিনের ক্যাম্পেইনে আমি চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রের কাছে ছুটে যেতে। অনেকটুকু কাছাকাছি গিয়েছি, কিন্তু সবাইকে হয়তো স্পর্শ করতে পারিনি।’

নির্বাচনে পরাজিত হলেও সহপাঠীদের আশ্বস্ত করে আবিদ বলেন, ‘আমার যাত্রা এখানেই শেষ নয়, আমার যাত্রা আরও অনেক দীর্ঘ। আমি এখনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন ছাত্রনেতা। কথা দিচ্ছি, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে যা কিছু ছিল, তা একজন ছাত্রনেতা হিসেবেই প্রশাসনের কাছ থেকে আদায় করে নিতে যা যা করা দরকার তা আমি করবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতির নতুন শুরুটা আমাদের হাত ধরেই হবে। আমরা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাজপথ পাহারা দেবো, নিজেদের সবটুকু দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবো। ইনশা-আল্লাহ, এর প্রতিফলন আপনারা পরবর্তী ডাকসুতে দেখতে পাবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কখনো ছেড়ে যাবেন না উল্লেখ করে আবিদ তার পোস্ট শেষ করেন মার্কিন অধিকারকর্মী মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের এক বাণী দিয়ে। তা হলো- ‘আমাদের অবশ্যই সীমিত হতাশাকে মেনে নিতে হবে, কিন্তু কখনই অসীম আশা হারানো যাবে না।’

রাজনৈতিক জীবনে এটাই প্রথম পরাজয়: হামিম