ঢাকা ০৬:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোংলায় বিএনপির কমিটি গঠনে নেতাকর্মীর উপর হামলা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই  

মোংলায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারধরে ঘটনা ঘটিয়েছে যুবদলের বেশ কিছু উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা। এতে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি প্রার্থী কামাল সহ ৪ জন রক্কাক্ত জখম হয়েছে। পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রশাসন ও নির্বাচন পরিনচালনা কমিটির সামনে থেকে ফ্লিম ষ্টাইলে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
 শনিবার (২৫ জানুয়ারী) পৌর শহরের কবরস্থান রোডের দিগন্ত মসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহত ৪জনকে মোংরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্তি করা হয়েছে।ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। শহরে জোরদার করা হয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যদের টহল।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায় কমিটি গঠন করার ঘোষনা আসে স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে। সে অনুয়ায়ী মোংলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল ওয়ার্ড পর্যায় কমিটি গঠন করার উদ্দ্যোগ নেয় বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। ২৫ জানুয়ারী শনিবার মোংরা পোর্ট পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়রে ভোট গ্রহনের দিন ধার্যচিল। তাই ৯টি ওয়ার্ডের ৬টিতে বিনা প্রতিদন্ধীতায় নেতা নির্বাচিত হলেও ৩টিতে নির্বাচনের দাবী জানানো হয়। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌর সভার ১,২ ও ৬ নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করার জন্য ওয়ার্ডের তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যাবস্থা করেণ জেলা নেতৃবৃন্দরা। কিন্ত ভোট গ্রহন শুরু থেকেই তা ব্যাঘাত সৃষ্টি করার পায়তারা করছিল পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এম এ কাশেম সহ বেশ কিছু উশৃংঙ্খল নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুর হতে না হতেই হঠাৎ যুবদল নেতা কাশেমের নেতৃত্বে ১০/১৫টি মোটরসাইকেল যোগে বেশ কিছু যুবদলের সদস্যরা দিগন্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও প্রশাসনের সামনে থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এম এ কাশেম সহ যুবদলের মঞ্জু, কামরুল, মাছুম, শামিম, বাবু, ছগির, ইউনুস, সোহেল, হোসাইন মোল্লা, হাসান মেহেদী, সেলিম রেজা, ওয়াসিম ও মিরাজ সহ প্রায় ২০/২৫ জন পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা।
এর আগে একই ব্যাক্তিরা ২ নং ওয়ার্ডের ইসলামী আদর্শ একাডেমী স্কুল কেন্দ্রে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটায়। এতে বাধা দিলে কয়েকজনকে মেরে রক্তাক্ত যখম করে তারা। তাদের হামলা ও মারধরে বিএনপির ২নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি প্রার্থী হাজী কামাল, তার ছেলে কলেজ ছাত্র আঃ আহাদ নুর, মোঃ ফিরোজ আহাম্মেদ ও বাহাদুর গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছুটে আসলে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ, নৌবাহিনী সহ অন্যান্য প্রশাসন ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সহ যৌথ বাহিনীর সদস্যদের।
এ ব্যাপারে মোংলা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এম এ কাশেম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভড করেন নি। তবে অভিযুক্তরা অনেকেই ব্যালট বাক্স ছিনতাই না, আওয়ামী দোসরদের সদস্য বানিয়ে ভোট গ্রহনের ফলে ৬নং ওয়ার্ডের ভোটার বাক্স ত্যাগিরা নিয়ে চলে যায় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নির্বাচন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম গোরা ও জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নাছির আহাম্মেদ মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় ঘোষনা অনুযায়ী মোংলা  উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনে ব্যাবস্তা নেয়া হয়। কিন্ত যুবদলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা সেই নির্বাচন ভাংচাল করার চেষ্টা করেছে। এবং ৬ নং ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছে। ফলে সেই ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থাগীত করা হয়েছে। এবং পুনরায় তফসিল ঘোষনা করে পুনরায় ভোট গ্রহন করা হবে। এছাড়া যারা এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরে সাথে আলোচনা করে দলীয় সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানায় জেলা নেতৃবৃন্দরা।
মোংলা পোর্ট পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি তেই বিনা প্রতিদন্ধীতায় নেতা নির্বাচিত হলেও ৩টিতে চলছিল ভোট গ্রহন। তার মধ্যে ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন স্থাগিত করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় বিএনপির কমিটি গঠনে নেতাকর্মীর উপর হামলা, ব্যালট বাক্স ছিনতাই  

আপডেট সময় ০৬:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
মোংলায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হামলা ও মারধরে ঘটনা ঘটিয়েছে যুবদলের বেশ কিছু উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা। এতে ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি প্রার্থী কামাল সহ ৪ জন রক্কাক্ত জখম হয়েছে। পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে প্রশাসন ও নির্বাচন পরিনচালনা কমিটির সামনে থেকে ফ্লিম ষ্টাইলে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
 শনিবার (২৫ জানুয়ারী) পৌর শহরের কবরস্থান রোডের দিগন্ত মসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আহত ৪জনকে মোংরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্তি করা হয়েছে।ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। শহরে জোরদার করা হয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যদের টহল।
পুলিশ ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায় কমিটি গঠন করার ঘোষনা আসে স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে। সে অনুয়ায়ী মোংলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার সকল ওয়ার্ড পর্যায় কমিটি গঠন করার উদ্দ্যোগ নেয় বাগেরহাট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। ২৫ জানুয়ারী শনিবার মোংরা পোর্ট পৌরসভার ওয়ার্ড পর্যায়রে ভোট গ্রহনের দিন ধার্যচিল। তাই ৯টি ওয়ার্ডের ৬টিতে বিনা প্রতিদন্ধীতায় নেতা নির্বাচিত হলেও ৩টিতে নির্বাচনের দাবী জানানো হয়। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌর সভার ১,২ ও ৬ নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করার জন্য ওয়ার্ডের তালিকা অনুযায়ী নির্বাচনের ব্যাবস্থা করেণ জেলা নেতৃবৃন্দরা। কিন্ত ভোট গ্রহন শুরু থেকেই তা ব্যাঘাত সৃষ্টি করার পায়তারা করছিল পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এম এ কাশেম সহ বেশ কিছু উশৃংঙ্খল নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুর হতে না হতেই হঠাৎ যুবদল নেতা কাশেমের নেতৃত্বে ১০/১৫টি মোটরসাইকেল যোগে বেশ কিছু যুবদলের সদস্যরা দিগন্ত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও প্রশাসনের সামনে থেকে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করে নিয়ে যায় পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এম এ কাশেম সহ যুবদলের মঞ্জু, কামরুল, মাছুম, শামিম, বাবু, ছগির, ইউনুস, সোহেল, হোসাইন মোল্লা, হাসান মেহেদী, সেলিম রেজা, ওয়াসিম ও মিরাজ সহ প্রায় ২০/২৫ জন পৌর যুবদলের নেতাকর্মীরা।
এর আগে একই ব্যাক্তিরা ২ নং ওয়ার্ডের ইসলামী আদর্শ একাডেমী স্কুল কেন্দ্রে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটায়। এতে বাধা দিলে কয়েকজনকে মেরে রক্তাক্ত যখম করে তারা। তাদের হামলা ও মারধরে বিএনপির ২নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি প্রার্থী হাজী কামাল, তার ছেলে কলেজ ছাত্র আঃ আহাদ নুর, মোঃ ফিরোজ আহাম্মেদ ও বাহাদুর গুরুতর আহত হয়। এসময় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা ছুটে আসলে ওই এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ, নৌবাহিনী সহ অন্যান্য প্রশাসন ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সহ যৌথ বাহিনীর সদস্যদের।
এ ব্যাপারে মোংলা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব এম এ কাশেম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভড করেন নি। তবে অভিযুক্তরা অনেকেই ব্যালট বাক্স ছিনতাই না, আওয়ামী দোসরদের সদস্য বানিয়ে ভোট গ্রহনের ফলে ৬নং ওয়ার্ডের ভোটার বাক্স ত্যাগিরা নিয়ে চলে যায় বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নির্বাচন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম গোরা ও জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নাছির আহাম্মেদ মালেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেন্দ্রীয় ঘোষনা অনুযায়ী মোংলা  উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ওয়ার্ড কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনে ব্যাবস্তা নেয়া হয়। কিন্ত যুবদলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীরা সেই নির্বাচন ভাংচাল করার চেষ্টা করেছে। এবং ৬ নং ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছে। ফলে সেই ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থাগীত করা হয়েছে। এবং পুনরায় তফসিল ঘোষনা করে পুনরায় ভোট গ্রহন করা হবে। এছাড়া যারা এমন ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরে সাথে আলোচনা করে দলীয় সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানায় জেলা নেতৃবৃন্দরা।
মোংলা পোর্ট পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬টি তেই বিনা প্রতিদন্ধীতায় নেতা নির্বাচিত হলেও ৩টিতে চলছিল ভোট গ্রহন। তার মধ্যে ৬ নং ওয়ার্ডের ভোট গ্রহন স্থাগিত করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।