ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোংলায় বিএনপি সমর্থিত শ্রমিকদের হামলায় এনসিপি’র শ্রমিক সমাবেশ পন্ড, আহত ১০ 

মোংলায় এনসিপি’র শ্রমিক সংঘঠনের ডাকা পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ বিএনপি সমর্থিত শ্রমকিদের হামলায় পন্ড হয়ে গেছে। সমাবেশ স্থলে পৌছানোর আগেই পৌর শহরের শাহাদাৎ মোড় চত্বরে তাদের উপর আকস্মিক হামলা হয়।গতকাল  মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৬টায় এ ঘটনা ঘটে।
এনসিপি’র শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের সমর্থিত স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে এ সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সমাবেশ স্থলে না পৌছে প্রাঁণ বাঁচাতে দিকবিদিক ছুটে রক্ষা পেয়েছেন তারা। এ হামলায় এনসিপি’র শ্রমিক সংগঠনের এক নারী নেত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা রাত সাড়ে ৮ টায় মোংলা ত্যাগ করেন। এনসিপি’র শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, জিয়ার সৈনিক, এক হও শ্লোগান দিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন দূর্স্কৃতকারীরা তাদের উপর ন্যাক্কার জনক হামলা চালায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনসিপি’র শ্রমিক উইং মোংলা বন্দরে জাহাজে কর্মরত মজুরী ভিত্তিক শ্রমিক নিয়ে পূর্ব ঘোষিত শ্রমিক সংঘ চত্বরে (মাঠে) মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের তলবী সাধারণ সভার আয়েজন করে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায়। কিন্তু এনসিপি’র কেন্দ্রীয় শ্রমিক উইং নেতারা আসতে বিলম্ব করায় পৌনে ৬টায় সামবেশ স্থালে যাত্রা করলে শ্রমিক সংঘ সংলগ্ন শাহাদাৎ মোড়ে পৌছেলে তাদের মিছিল ও যাত্রা রোধ করে সেখানে আগ থেকে জড়ো হওয়া শ্রমকদের একাংশ ও বিএনপি সমর্থিতরা। তখনই ঘটে হামলা ও মারধরের ঘটনা। এর আগে সোমবার দুপুরে শ্রমিক সংঘ চত্বরে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশস্থল দেখতে  গিয়ে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক ও শ্রমিক উইং এর স্থানীয় নেতা মোঃ তিতুমীর চোকদারসহ ৩/৪ জন শ্রমিক হামলা ও মারধরের শিকার শিকার হয়। এ ঘটানায় মোংলা বন্দরে শ্রমিক সংগঠন দখল নিয়ে বিএনপি ও এনসিপি মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
এনসিপির এ কর্মসূচির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি সমর্থিত শ্রমিক নেতারা। এ সময় লিখিত বক্তব্য নিজেদের অবস্থান ব্যাখা করেন তারা। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পতিত আ’লীগ দোসর চক্র এনসিপির উপর ভর করে মোংলা সমুদ্র বন্দরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃস্টি করছে। সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সদস্য ও মোংলা পৌর ভার সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ আলাউদ্দিন নিজেকে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারি সংঘের সভাপতি দাবি করে বলেন, বিগত ১৭ বছর আ’লীগ সমর্থিক শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি সহ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে এনসিপি সমর্থিত শ্রমিক নেতা তিতুমিরকে আ’লীগের দোসর হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিএনপির এ সংবাদ সম্মেলন ও ঢাকায় এনসিপি’র বিক্ষোভ মিছিল এবং মঙ্গলবার বিকেলে মোংলায় শ্রমিক উইং’এর সমাবেশ ঘিরে দুপুর থেকে শহর জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিকাল ৩ থেকে  শ্রমিক সংঘ চত্বর ও আশপাশে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। অপরদিকে দুপুর থেকে মোংলা শহরের বিএনপি সমর্থিত শ্রমিকদের একাংশের বিক্ষোভ মিছিল ও মহড়ায় শহর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রাচীর ভেদ করে শ্রমিকদের কোন পক্ষ সভাস্থালে পৌছাতে পারেনি। আর দ্বিধাবিভক্ত  শ্রমিকদের হামলা ও পাল্টা হামলায় পন্ড হয় এনসিপি’র শ্রমিক সংগঠনের  সমাবেশ।
এ প্রসঙ্গ এনসিপি’র শ্রমিক উয়ং কেন্দ্রীয় শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী মোশারফ হোসেন স্বপন অভিযোগ করে বলেন, বিগত আ’লীগ আমলে বন্দরের শ্রমকি সংগঠন অকার্যকর রেখে সাধারণ শ্রমকিদের উপর জুলুম করা হয়েছিল। এ সংঘঠনের নির্বাচন ও তলবী সাধারণ সভায় অথিতি হিসেবে তিনিসহ কেন্দ্রীয় নারী নেত্রী সহ ৮নেতা যোগ দিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা জিয়ার সৈনিক হিসেবে শ্লোগান দিয়ে এ হামলায় অংশ নেয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এনসিপি’র শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
এ বিষয় মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে শ্রমকিদের দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। তবে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পৌর শহরের আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে মোংলা বন্দর কর্তপক্ষের মঙ্গলবার রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে জানানো হয়, মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ রেজি নং-২১৪৩ শাব্দিক অর্থে মোংলা বন্দরের শ্রমিক মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি স্টিভেডর নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত সংগঠন। এই শ্রমিকগণ স্টিভেডরদের নিয়ন্ত্রণে বন্দরে আগত সকল বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস-বোঝাই এর কাজ করে থাকে। মোংলা বন্দরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্টিভেডরগণ এ সকল শ্রমিকদের নিয়োগ, পরিচালনা ও সকল পাওনাদি পরিশোধ করে থাকেন। মোংলা বন্দর কোন শ্রমিক নিয়োগ/পরিচালনা করে না। মোংলা বন্দরের শ্রমিক নেতাদের উপর হামলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি মূলতঃ স্টিভেডর শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

ভারত ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাবে!

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় বিএনপি সমর্থিত শ্রমিকদের হামলায় এনসিপি’র শ্রমিক সমাবেশ পন্ড, আহত ১০ 

আপডেট সময় ১১:৪০:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
মোংলায় এনসিপি’র শ্রমিক সংঘঠনের ডাকা পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ বিএনপি সমর্থিত শ্রমকিদের হামলায় পন্ড হয়ে গেছে। সমাবেশ স্থলে পৌছানোর আগেই পৌর শহরের শাহাদাৎ মোড় চত্বরে তাদের উপর আকস্মিক হামলা হয়।গতকাল  মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৬টায় এ ঘটনা ঘটে।
এনসিপি’র শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের সমর্থিত স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে এ সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সমাবেশ স্থলে না পৌছে প্রাঁণ বাঁচাতে দিকবিদিক ছুটে রক্ষা পেয়েছেন তারা। এ হামলায় এনসিপি’র শ্রমিক সংগঠনের এক নারী নেত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা রাত সাড়ে ৮ টায় মোংলা ত্যাগ করেন। এনসিপি’র শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, জিয়ার সৈনিক, এক হও শ্লোগান দিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন দূর্স্কৃতকারীরা তাদের উপর ন্যাক্কার জনক হামলা চালায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এনসিপি’র শ্রমিক উইং মোংলা বন্দরে জাহাজে কর্মরত মজুরী ভিত্তিক শ্রমিক নিয়ে পূর্ব ঘোষিত শ্রমিক সংঘ চত্বরে (মাঠে) মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘের তলবী সাধারণ সভার আয়েজন করে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায়। কিন্তু এনসিপি’র কেন্দ্রীয় শ্রমিক উইং নেতারা আসতে বিলম্ব করায় পৌনে ৬টায় সামবেশ স্থালে যাত্রা করলে শ্রমিক সংঘ সংলগ্ন শাহাদাৎ মোড়ে পৌছেলে তাদের মিছিল ও যাত্রা রোধ করে সেখানে আগ থেকে জড়ো হওয়া শ্রমকদের একাংশ ও বিএনপি সমর্থিতরা। তখনই ঘটে হামলা ও মারধরের ঘটনা। এর আগে সোমবার দুপুরে শ্রমিক সংঘ চত্বরে পূর্ব ঘোষিত সমাবেশস্থল দেখতে  গিয়ে এনসিপি’র কেন্দ্রীয় সংগঠক ও শ্রমিক উইং এর স্থানীয় নেতা মোঃ তিতুমীর চোকদারসহ ৩/৪ জন শ্রমিক হামলা ও মারধরের শিকার শিকার হয়। এ ঘটানায় মোংলা বন্দরে শ্রমিক সংগঠন দখল নিয়ে বিএনপি ও এনসিপি মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
এনসিপির এ কর্মসূচির প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে মোংলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি সমর্থিত শ্রমিক নেতারা। এ সময় লিখিত বক্তব্য নিজেদের অবস্থান ব্যাখা করেন তারা। এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, পতিত আ’লীগ দোসর চক্র এনসিপির উপর ভর করে মোংলা সমুদ্র বন্দরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃস্টি করছে। সংবাদ সম্মেলনে বাগেরহাট জেলা যুবদলের সদস্য ও মোংলা পৌর ভার সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ আলাউদ্দিন নিজেকে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারি সংঘের সভাপতি দাবি করে বলেন, বিগত ১৭ বছর আ’লীগ সমর্থিক শ্রমিক নেতারা সাধারণ শ্রমিকদের জিম্মি সহ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে এনসিপি সমর্থিত শ্রমিক নেতা তিতুমিরকে আ’লীগের দোসর হিসেবে উল্লেখ করেন।
বিএনপির এ সংবাদ সম্মেলন ও ঢাকায় এনসিপি’র বিক্ষোভ মিছিল এবং মঙ্গলবার বিকেলে মোংলায় শ্রমিক উইং’এর সমাবেশ ঘিরে দুপুর থেকে শহর জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিকাল ৩ থেকে  শ্রমিক সংঘ চত্বর ও আশপাশে পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। শহরের মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। অপরদিকে দুপুর থেকে মোংলা শহরের বিএনপি সমর্থিত শ্রমিকদের একাংশের বিক্ষোভ মিছিল ও মহড়ায় শহর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রাচীর ভেদ করে শ্রমিকদের কোন পক্ষ সভাস্থালে পৌছাতে পারেনি। আর দ্বিধাবিভক্ত  শ্রমিকদের হামলা ও পাল্টা হামলায় পন্ড হয় এনসিপি’র শ্রমিক সংগঠনের  সমাবেশ।
এ প্রসঙ্গ এনসিপি’র শ্রমিক উয়ং কেন্দ্রীয় শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী মোশারফ হোসেন স্বপন অভিযোগ করে বলেন, বিগত আ’লীগ আমলে বন্দরের শ্রমকি সংগঠন অকার্যকর রেখে সাধারণ শ্রমকিদের উপর জুলুম করা হয়েছিল। এ সংঘঠনের নির্বাচন ও তলবী সাধারণ সভায় অথিতি হিসেবে তিনিসহ কেন্দ্রীয় নারী নেত্রী সহ ৮নেতা যোগ দিতে এসেছিলেন। কিন্তু তাদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা জিয়ার সৈনিক হিসেবে শ্লোগান দিয়ে এ হামলায় অংশ নেয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এনসিপি’র শ্রমিক উইং কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করা হবে।
এ বিষয় মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে শ্রমকিদের দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। তবে কেউ লিখিত কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পৌর শহরের আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে মোংলা বন্দর কর্তপক্ষের মঙ্গলবার রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিঞ্জপ্তিতে জানানো হয়, মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ রেজি নং-২১৪৩ শাব্দিক অর্থে মোংলা বন্দরের শ্রমিক মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি স্টিভেডর নিয়ন্ত্রিত শ্রমিক দ্বারা পরিচালিত সংগঠন। এই শ্রমিকগণ স্টিভেডরদের নিয়ন্ত্রণে বন্দরে আগত সকল বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাস-বোঝাই এর কাজ করে থাকে। মোংলা বন্দরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্টিভেডরগণ এ সকল শ্রমিকদের নিয়োগ, পরিচালনা ও সকল পাওনাদি পরিশোধ করে থাকেন। মোংলা বন্দর কোন শ্রমিক নিয়োগ/পরিচালনা করে না। মোংলা বন্দরের শ্রমিক নেতাদের উপর হামলার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদটি মূলতঃ স্টিভেডর শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ।