মোংলায় প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে পাটের পলিথিন বিতরণ, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, র্যালি, বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ জুন বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিশ্ব পরিবেশ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিশ্ব পরিবেশ দিবসের কর্মসূচি পালনের সহ আয়োজক ছিলো ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, কোডেক, ডিএসকে, ব্রাক, বাদাবন সংঘ, ফ্রেন্ডশীপ, রূপান্তর, সিএনআরএস, বেড্স, ওয়াইল্ড টিম, বিডি ক্লিন ও ইয়ুথ ফর সুন্দরবনস।
বুধবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ”বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আহ্বান, প্লাস্টিক দূষণের অবসান” শ্লোগানে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী। আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপজেলা কৃষি অফিসার প্রশান্ত কুমার হাওলাদার, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী পরিবেশযোদ্ধা মোঃ নূর আলম শেখ, উপজেলা সমজসবা অফিসার মোঃ মাসুদ হোসেন, কোডেক’র সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্রাক’র তৃপ্তি সরদার, রূপান্তরের সুনীতি রায়, সিএনআরএস’র নুসরাত জাহান, বেডস’র নাজমুস সাদাত, বিডি ক্লিন’র আবু হাসান, ইয়ুথ ফর সুন্দরবনস’র মোহাম্মদ শাহীন খলিফা প্রমূখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন প্লাস্টিক দূষণে সুন্দরবন, পশুর নদীসহ উপকূলীয় এলাকা বিপর্যন্ত। গবেষণায় সুন্দরবনের মাছসহ সামুদ্রিক মাছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। গবেষণায় মেঘনার ইলিশের দেহে, মায়ের দুধে এমন কী বৃষ্টির পানিকেও প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। কর্ণফুলি নদীর তলদেশে ৫ থেকে ৬ ফুট পলিথিনের স্তর থাকায় খনন কাজ ব্যাহত হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণের দুর্যোগে কবলিত আমরা। সুন্দরবন-নদ-নদী-প্রাণ-প্রকৃতি বাঁচাতে এখনই প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণকে না বলতে হবে। বক্তারা সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক বন্ধে বিশেষ জোর দেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সুমী বলেন পরিবেশবান্ধব বর্তমান সরকার প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ বন্ধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাটের পলিথিনসহ বিকল্প ব্যাগ ব্যবহারে সরকার উৎসাহ ও প্রণোদনা দিচ্ছে। আসুন আমরা সবাই মিলে প্লাস্টিক দূষণকে না বলি। আলোচনা সভার আগে বিশ্ব পরিবেশ উপলক্ষে উপজেলা চত্বরে বৃক্ষরোপণ করা হয়। এছাড়া র্যালি এবং প্রতীকী প্লাস্টিক-পলিথিন পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি পালন করা হয়।