ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজ বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল উদ্বোধন করাচি টু চট্টগ্রাম রুটে চালু হলো কনটেইনার জাহাজ হোয়াইট হাউসে নববির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানালেন বাইডেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বইমেলা : ফারুকী শেখ মুজিবকে ‘জাতির পিতা’ বলা মূল সংবিধানের পরিপন্থী : অ্যাটর্নি জেনারেল অনলাইনে আয়কর পরিশোধের চার্জ নির্ধারণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে ভারত : ফখরুল নাহিদ ইসলামকে ঘিরে হ্যাশট্যাগ ‘উই আর নাহিদ’ পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’ ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ট্রাম্প প্রশাসনে পদ পাচ্ছেন ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী

মোংলায় যৌতুক দিতে না পারায় দুই সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন অসহায় নারী 

মোংলায় যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে দুই কন্যা সন্তানসহ বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছেন স্বামী। এরপর থেকে ওই নারী সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ীতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দুই বছর ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের খোজ খবর নেন না, দেন না কোন খোরাকিও। স্ত্রী তার স্বামীর হীন কর্মকান্ডের বিচার ও প্রতিকার চেয়ে এখন পথে পথে ঘুরছেন। এ নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও ভুক্তভোগীর কোন প্রতিকার মিলছেনা।
বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, শহরতলীর পশ্চিম কাইনমারী এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে মোক্তার হোসেন একই এলাকার মালেকের মেয়ে রোকেয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৮বছর আগে বিয়ে করেন। মোক্তার তার প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন রেখেই রোকেয়াকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
এরপর ভাড়া বাড়ীতে তাদের সংসারও চলছিলো বেশ। এরই মধ্যে তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যাদের একজনের বয়স এখন ৬, আর অপরজনের ৪বছর।
বিগত তিন বছর আগে শেহলাবুনিয়া এলাকার গোলদারের মেয়ে লাবনীকে তৃতীয় বিয়ে করেন মোক্তার। তৃতীয় বিয়ের এক বছর পর দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়াকে ছেড়ে দেয়ার তালবাহানা শুরু করেন মোক্তার। কৌশল করে মোক্তার বিদেশী জাহাজে  নাবিকের চাকুরী নিবেন বলে রোকেয়ার পরিবারের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। দাবী মেটাতে রোকেয়ার পরিবার জমি বিক্রি করে এক দফায় ৮০হাজার টাকা দেন মোক্তারকে। এরপর আবারো ৫০হাজার টাকা দাবী করেন। দ্বিতীয় বার যৌতুকের চাহিদা মিটাতে না পারলে নির্যাতন করে ভাড়ী বাড়ী থেকে নামিয়ে দেন স্ত্রী ও কন্যাদের। সেই থেকে তারা পথে পথে ঘুরছেন।
মোক্তার প্রভাবশালী হওয়াতে যেখানে যে অভিযোগ হোক না কেন তা ম্যানেজ করে ফেলেন। এখন রোকেয়া দুই সন্তানের খোরাকীও ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন। এর প্রতিকারের আশায় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তার কোন সুরাহ পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানতে মোক্তারের ফোনে কল করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

মোংলায় যৌতুক দিতে না পারায় দুই সন্তান নিয়ে পথে পথে ঘুরছেন অসহায় নারী 

আপডেট সময় ০৮:২১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
মোংলায় যৌতুক দিতে না পারায় স্ত্রীকে দুই কন্যা সন্তানসহ বাড়ী থেকে বের করে দিয়েছেন স্বামী। এরপর থেকে ওই নারী সন্তানদের নিয়ে বাপের বাড়ীতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দুই বছর ধরে স্ত্রী ও সন্তানদের খোজ খবর নেন না, দেন না কোন খোরাকিও। স্ত্রী তার স্বামীর হীন কর্মকান্ডের বিচার ও প্রতিকার চেয়ে এখন পথে পথে ঘুরছেন। এ নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলেও ভুক্তভোগীর কোন প্রতিকার মিলছেনা।
বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, শহরতলীর পশ্চিম কাইনমারী এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে মোক্তার হোসেন একই এলাকার মালেকের মেয়ে রোকেয়াকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৮বছর আগে বিয়ে করেন। মোক্তার তার প্রথম স্ত্রী থাকার বিষয়টি গোপন রেখেই রোকেয়াকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।
এরপর ভাড়া বাড়ীতে তাদের সংসারও চলছিলো বেশ। এরই মধ্যে তাদের সংসারে দুইটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যাদের একজনের বয়স এখন ৬, আর অপরজনের ৪বছর।
বিগত তিন বছর আগে শেহলাবুনিয়া এলাকার গোলদারের মেয়ে লাবনীকে তৃতীয় বিয়ে করেন মোক্তার। তৃতীয় বিয়ের এক বছর পর দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়াকে ছেড়ে দেয়ার তালবাহানা শুরু করেন মোক্তার। কৌশল করে মোক্তার বিদেশী জাহাজে  নাবিকের চাকুরী নিবেন বলে রোকেয়ার পরিবারের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেন। দাবী মেটাতে রোকেয়ার পরিবার জমি বিক্রি করে এক দফায় ৮০হাজার টাকা দেন মোক্তারকে। এরপর আবারো ৫০হাজার টাকা দাবী করেন। দ্বিতীয় বার যৌতুকের চাহিদা মিটাতে না পারলে নির্যাতন করে ভাড়ী বাড়ী থেকে নামিয়ে দেন স্ত্রী ও কন্যাদের। সেই থেকে তারা পথে পথে ঘুরছেন।
মোক্তার প্রভাবশালী হওয়াতে যেখানে যে অভিযোগ হোক না কেন তা ম্যানেজ করে ফেলেন। এখন রোকেয়া দুই সন্তানের খোরাকীও ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন। এর প্রতিকারের আশায় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও তার কোন সুরাহ পাচ্ছেন না।
এ বিষয়ে জানতে মোক্তারের ফোনে কল করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো পড়ুন : জীবনের ঝুঁকি ও ঋণের বোঝা নিয়ে মৎস্য আহরণে সমুদ্রে যাত্রা করছে জেলেরা