ঢাকা ০৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেমালে ক্ষতিগ্রস্থদের ঋণের কিস্তি স্থগিত ও সুদ মওকুফের দাবিতে মানববন্ধন

মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় মোংলাসহ সুন্দরবন উপকূলের মানুষের ঘরবাড়ি। ভেসে যায় কয়েক হাজার মাছের ঘের। পানিতে তলিয়ে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ অবস্থায় মৎস্য চাষি ও প্রান্তিক কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থের মুখে পড়েছেন। কারণ প্রায় সবাই ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ফসল ও মাছ চাষের পেছনে লগ্নি করেন। কিন্তু প্রলয়ংকারি ঝড়ে সব ভেসে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

এ অবস্থায় ঋণের কিস্তির টাকা আদায়ে ছয় মাসের স্থগিতের দাবিতে সোমবার (৩ জুন) সকালে তারা মানববন্ধন করেন। মোংলা উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সত্যজিৎ মন্ডল, জামাল হোসেন, এনামুল সরদার, এরশাদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকে বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মৎস্য ও কৃষি চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় রেমালে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সব। রেমালের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে যায় কয়েক তিন হাজেরর বেশি মাছের ঘের, ফসলি জমি পানিতে ভেসে যায়। একই সাথে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ অবস্থায় চরম দূর্দাশার কথা চিন্তা করে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তি ছয় মাস স্থগিতের দাবি করেন তারা। এছাড়া তারা লোন নেওয়া টাকার সুদও মওকূফেরও দাবি জানান।
পরে ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষক ও মাছ চাষিদের দাবির প্রতি একাত্নতা প্রকাশ করে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ শরিফুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন ও সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যন ইকরাম ইজারদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ তরিকুল ইসলাম ইউএনও’র পক্ষে এই স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রেমালে ক্ষতিগ্রস্থদের ঋণের কিস্তি স্থগিত ও সুদ মওকুফের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৬:০০:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪
মাসুদ রানা, মোংলা প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় মোংলাসহ সুন্দরবন উপকূলের মানুষের ঘরবাড়ি। ভেসে যায় কয়েক হাজার মাছের ঘের। পানিতে তলিয়ে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ অবস্থায় মৎস্য চাষি ও প্রান্তিক কৃষকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থের মুখে পড়েছেন। কারণ প্রায় সবাই ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ফসল ও মাছ চাষের পেছনে লগ্নি করেন। কিন্তু প্রলয়ংকারি ঝড়ে সব ভেসে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

এ অবস্থায় ঋণের কিস্তির টাকা আদায়ে ছয় মাসের স্থগিতের দাবিতে সোমবার (৩ জুন) সকালে তারা মানববন্ধন করেন। মোংলা উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন করার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সত্যজিৎ মন্ডল, জামাল হোসেন, এনামুল সরদার, এরশাদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকে বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মৎস্য ও কৃষি চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় রেমালে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সব। রেমালের প্রভাবে পানিতে তলিয়ে যায় কয়েক তিন হাজেরর বেশি মাছের ঘের, ফসলি জমি পানিতে ভেসে যায়। একই সাথে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ অবস্থায় চরম দূর্দাশার কথা চিন্তা করে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তি ছয় মাস স্থগিতের দাবি করেন তারা। এছাড়া তারা লোন নেওয়া টাকার সুদও মওকূফেরও দাবি জানান।
পরে ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক কৃষক ও মাছ চাষিদের দাবির প্রতি একাত্নতা প্রকাশ করে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর মোঃ শরিফুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন ও সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যন ইকরাম ইজারদার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ তরিকুল ইসলাম ইউএনও’র পক্ষে এই স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
আরো পড়ুন : মোংলায় বন্যা দুর্গতদের সহায়তা দিলেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাজেদা ফাউন্ডেশন