বাগেরহাট-০৪ আসন বিলুপ্তি ও বাগেরহাট-০৩ আসন বিভাজনের প্রতিবাদে মোংলায় শুরু হয়েছে সর্বাত্মক অবরোধ। রবিবার ভোর ৫টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এর ফলে সড়ক ও নৌপথে সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে ইপিজেড, শিল্পকলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, খেয়া ও ফেরী পারাপার। বন্ধ রয়েছে বন্দর জেটির কার্যক্রম ও সড়ক পথে এ বন্দরের পণ্য পরিবহনও।
আসন পুনবহালের দাবীতে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের দিগরাজ ও কাটাখালীসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বেরিকেড দিয়ে চলছে সর্বদলীয় সর্বাত্মক অবরোধ। অবরোধ সফল করতে ভোর থেকেই রাস্তায় নেমে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। অবরোধে ফলে ভোর থেকেই দূরপাল্লার কোন গাড়ী ছেড়ে যায়নি। চলছেনা অভ্যন্তরীণ যানও।
মোংলা পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ জুলফিকার আলী বলেন, অবরোধ সফল করতে ভোর থেকেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মোংলা নদীর খেয়া পারাপার ও ফেরি চলাচল। এতে এমনিতেই বন্ধ হয়ে গেছে ইপিজেড। আর সকড় পথে সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে সকল শিল্পকলকারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র জরুরী সেবা চালু রয়েছে। আসন ফিরে পাওয়ার দাবীতে বাগেরহাটের সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি সর্বাত্মক এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে। তিনি বলেন, বন্ধের আওতায় থাকছে মোংলা বন্দরও। তিনি আরো বলেন, এ অবরোধে বাগেরহাট থেকে খুলনা-মাওয়া-ঢাকা রুট অচল হয়ে পড়েছে। এতে কার্যত সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বাগেরহাট।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ইসির এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আমরা আপত্তি দাখিল করেছি। এ ইস্যুতে সোমবার ইসি কার্যালয়ের সামনে বাগেরহাটবাসীর অবস্থান কর্মসূচি রয়েছে। আশা করছি ইসি তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে আমাদের যৌক্তিক দাবী ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম বলেন, ইসি রাতের অন্ধকারে বাগেরহাটবাসীর মতামত ছাড়া আসন বিলুপ্তি ও বিভাজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা কোনভাবে মেনে নিবন্ধন না বাগেরহাটবাসী। আমরা আসন পুনবহালের দাবীতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। ইসি যদি তার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবো।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই ইসি বাগেরহাট-০৪ আসনের বিলুপ্তি ও বাগেরহাট-০৩ আসনেকে বিভাজনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা দেন। বাগেরহাটের একটি আসন কেটে গাজীপুরে আরেকটি আসন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। ইসির এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ও আসন পুনবহালের দাবীতে ৩০ জুলাই’র পর থেকে বাগেরহাট জুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি।