ঢাকা ০৭:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন : শামসুজ্জামান দুদু দর্শনায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা; নিহত ৩৮

টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম

স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। ছবি : সংগৃহীত

টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় এ বছর স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। গতকাল বুধবার ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিনটি।

মেরিনা তাবাসসুমের ব্যক্তিত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে বলা হয়, সাধারণত পুরস্কার অর্জনকারী স্থপতিদের বেলায় পরার্থবাদিতার প্রসঙ্গটিকে তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না, তবে এটি এমন একটি পেশা যাতে স্বতন্ত্রভাবে অনন্য হয়ে ওঠা একটি সাধারণ বিষয়। তবে মেরিনা তাবাসসুম সাধারণ নন। তিনি চর্চার ক্ষেত্রে এমন একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে এই ধরণী যে বিপদাপন্ন পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে, তার সঙ্গে তুলনা করে অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন।

মেরিনা তাবাসসুমের পরার্থবাদ তার সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাঁর সৃষ্টিশীলতা ও সৃষ্টির জন্য আমাদের পৃথিবীর যে সম্পদ রয়েছে তার বিষয়ে খুবই যত্নবান। এক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থিত তাঁর বাইত উর রউফ মসজিদ হয়ে আছে এক অনন্য উদাহরণ; যার জন্য তিনি মর্যাদাপূর্ণ আগা খান পুরস্কার পেয়েছেন। মেরিনার ভাষায়- একটি স্থাপনাকে কোনো কৃত্রিমতা ছাড়াই নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

জলবায়ু সংকটের কারণে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি কম খরচে ও সহজে সরিয়ে নেওয়া যায় এমন বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁর মতে একটি বাড়িকে কেবল নিঃশ্বাসই নিতে দিতে হবে না বরং তাকে তার পা যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।

যদিও তিনি স্থানীয়ভাবে তার কাজের চর্চা করেন, শেখান, বক্তৃতা দেন কিন্তু তারপরেও তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর এর মূল কথাই হলো স্থাপত্যবিদ্যার প্রয়োগ কোনো একক ও অনন্য বিষয় নয় বরং তা সম্মিলিত ও বৈশ্বিক ভাষার বহিঃপ্রকাশ।

আরো পড়ুন : দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী

ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

মোংলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা সহ আহত-৩

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

টাইমের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় মেরিনা তাবাসসুম

আপডেট সময় ০২:১২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় এ বছর স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশের স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। গতকাল বুধবার ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এই তালিকা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিনটি।

মেরিনা তাবাসসুমের ব্যক্তিত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে টাইম ম্যাগাজিনে বলা হয়, সাধারণত পুরস্কার অর্জনকারী স্থপতিদের বেলায় পরার্থবাদিতার প্রসঙ্গটিকে তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না, তবে এটি এমন একটি পেশা যাতে স্বতন্ত্রভাবে অনন্য হয়ে ওঠা একটি সাধারণ বিষয়। তবে মেরিনা তাবাসসুম সাধারণ নন। তিনি চর্চার ক্ষেত্রে এমন একটি বিষয়ের অবতারণা করেছেন যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে এই ধরণী যে বিপদাপন্ন পরিবেশের মুখোমুখি হচ্ছে, তার সঙ্গে তুলনা করে অগ্রাধিকার প্রদান করেছেন।

মেরিনা তাবাসসুমের পরার্থবাদ তার সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি তাঁর সৃষ্টিশীলতা ও সৃষ্টির জন্য আমাদের পৃথিবীর যে সম্পদ রয়েছে তার বিষয়ে খুবই যত্নবান। এক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থিত তাঁর বাইত উর রউফ মসজিদ হয়ে আছে এক অনন্য উদাহরণ; যার জন্য তিনি মর্যাদাপূর্ণ আগা খান পুরস্কার পেয়েছেন। মেরিনার ভাষায়- একটি স্থাপনাকে কোনো কৃত্রিমতা ছাড়াই নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

জলবায়ু সংকটের কারণে বন্যার ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি কম খরচে ও সহজে সরিয়ে নেওয়া যায় এমন বাড়ি তৈরি করেছেন। তাঁর মতে একটি বাড়িকে কেবল নিঃশ্বাসই নিতে দিতে হবে না বরং তাকে তার পা যাতে না ভিজে যায় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে হবে।

যদিও তিনি স্থানীয়ভাবে তার কাজের চর্চা করেন, শেখান, বক্তৃতা দেন কিন্তু তারপরেও তিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর এর মূল কথাই হলো স্থাপত্যবিদ্যার প্রয়োগ কোনো একক ও অনন্য বিষয় নয় বরং তা সম্মিলিত ও বৈশ্বিক ভাষার বহিঃপ্রকাশ।

আরো পড়ুন : দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ : প্রধানমন্ত্রী