পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট বাজারে নাইটগার্ড রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামী আরমান ইসলাম আমজাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পুলিশের চৌকস দল এ অভিযান পরিচালনা করে।
গত ০৪ আগস্ট দিবাগত রাতে সদর থানার কামাত-কাজলদিঘী ইউনিয়নের টুনিরহাট বাজারে জনৈক মাহাবুব আলম প্রধানের কাঠের স মিলের বারান্দায় নাইটগার্ড রফিকুল ইসলামকে গলা কেটে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এর নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টিম তদন্তে নামে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত প্রধান আসামী আরমান ইসলাম আমজাদ (২৬), পিতা- রফিকুল ইসলাম, সাং- টুনিরহাট প্রধানপাড়া, থানা- সদর, জেলা- পঞ্চগড়কে গত ০১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় হাড়িভাসা ইউনিয়নের সাহেববাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আসামী হত্যার দায় স্বীকার করে জানায়, ঘটনার দিন রাতে টুনিরহাট বাজারের বিআরটিসি কাউন্টারের পাশে কাঠের স মিলের ঘরে বসে তারা তাস (রামী) খেলছিল। খেলায় টাকা নিয়ে বিরোধের একপর্যায়ে নিহত রফিকুল ইসলাম আসামীর পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামী অস্ত্রটি কেড়ে নিয়ে রফিকুলের গলায় আঘাত করে এবং পরে জবাই করে হত্যা নিশ্চিত করে।
পরবর্তীতে আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পুলিশ ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করেছে। অবশেষে প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।”