কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় নতুন সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে । দু’ তিন জায়গায় দেখা দিয়েছে ফাটল। স্থানীয়দের এমন অভিযোগে সেই সড়ক পরিদর্শন করেছেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুজ্জামান।
৬ মে মঙ্গলবার তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এ সড়ক পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী হাসান আলী, উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক এবং প্রকল্পের কনসালটেন্ট আল আমিন।
স্থানীয় সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে ১৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যায়ে ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিলখুড়ির ধলডাঙ্গা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কটি পাকাকরণ করা হচ্ছে। কাজটি করছে আরএবি-আরসি-বিসি-এইচটি জেভি নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বাস্তবায়নে রয়েছেন স্থানীয় ঠিকাদার বেলাল হোসেন।
স্থানীয়রা জানান, সড়ক নির্মাণের তিন দিনের মধ্যেই ফাটল দেখা দেয় এবং কার্পেটিং উঠে যেতে শুরু করে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী সম্প্রতি কাজ বন্ধ করে দেয়।
পরিদর্শন শেষে, নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুজ্জামান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে থিকনেস চেক করা হয়েছে বিটুমিন কনটেন্ট সহ সবি সঠিক পাওয়া গেছে। যেটা জেনেছি ঠিকাদারের সাথে কারো শত্রুতা থাকতে পারে এলাকাবাসী অজ্ঞাত কারণে শাবল দিয়ে ও হাত দিয়ে রাস্তার ১০মিটার তুলে ফেলেছে। কার্পেটিং উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন “বিটুমিন ভালোভাবে জমাট বাঁধার সময় না দেয়ার কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
উপজেলা প্রকৌশলী ইনছাফুল হক বলেন, কাজ চলাকালীন সময়ে কিছু ত্রুটি হতেই পারে সেগুলো আমি কনসালটেনসহ পরিদর্শন করে সমাধান করেছি। কেউ যদি বিক্ষুব্ধভাবে কার্পেটিং তুলে ফেলে আমার কিছু বলার নেই। কার্পেটিং জমার ন্যূনতম সময় সাত দিন। আগের দিন কাজ করা হয়েছে পরের দিন সেখানে প্রথমে শাবল দিয়ে পরে হাত দিয়ে কার্পেটিং উঠানো হয়েছে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক ইয়াকুব রহমান শ্রাবণ বলেন, কাজের গুণগত মানে এলাকাবাসীর সন্তুষ্ট না হওয়ায় হাত দিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলেছে। আজকে এখানে এসে যেটা দেখতে পাই কুড়িগ্রাম থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসেছেন দুই জায়গায় থিকনেস চেক করা হয়েছে সেখানে এক জায়গায় ৫০ মি.মি আরেক জায়গায় ৫৫ মি.মি. পাওয়া গেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যেখানে সমস্যা হবে যেমন ফাটল ধরেছে বা পানি জমে আছে এলাকাবাসী নিজ দায়িত্বে কাজ বুঝে নিবে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী বেলাল হোসেন বলেন, প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। পাগলাহাট হয়ে দেবিবাড়ী স্কুলের পাশে কতিপয় ব্যক্তি শত্রুতামূলকভাবে রাস্তাটি খুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় আমি অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।