ঢাকা ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জনজীবন

দেশের তিনদিকে  সীমান্ত বেষ্টিত  একমাত্র  উত্তরের  জনপদ কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা। হিমালয়ের পাদদেশ ছোঁয়া হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে কাঁবু হয়ে পড়েছে ভূরুঙ্গামারীর সমগ্র  জনপদের মানুষ। একদিকে ঘন কুয়াশা অপরদিকে তীব্র শীত সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের অসহায়  শ্রমজীবী মানুষ। গত তিনদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় এবং হিমেল হাওয়ায় কমছে এই এলাকার তাপমাত্রা।
ঘন কুয়াশার দাপটে  হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সকল যানবাহন। আজ বৃহস্পতিরার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃহস্পতিরার বেলা বারার সাথে সাথে দুপুর ১২. ৩০ মিনিটের দিকে  সূর্যের আলো কিছুটা হলেও লক্ষ্য করা গেছে।  রাতে শরীরে পাতলা কাপড় জড়িয়ে জরাজরি করে  শুয়ে থাকলেও জীবিকার প্রয়োজনে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের কাজে না গেলেই নয়।
উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ইয়াকুব আলী (৭৫), মজিবর মিয়া (৬৯), আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের ময়েজ উদ্দিন (৮০) কান্দরি বেওয়া (৭০) সহ অনেকেই জানান, ‘কি ঠান্ডা ‘। ঠান্ডা বাতাসে হাত, পাও গড় গড় করি কাপে। বুড়া হাড্ডিত জ্বার খুবই কাহিল নাগছে। পাতলা কাপড়ে ঠান্ডায় রাত-দিন কাটছে না। কেমন করি বাচমো কনতো।
ভেনগাড়ি চালক আজিজুল মিয়া জানান, গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বাইর হইছি; কিন্তু ভাড়া পাচ্ছি না। গত তিনদিন থেকে পরিবারের জন্য খাবার কিনতে কষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দুই ধাপে ৯০০ কম্বল ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দ ৬ লাখ টাকা দিয়ে ১ হাজার ৪০০ কম্বল ক্রয় করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ চলমান আছে।
কুড়িগ্রাম জেলা রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বছরের জানুয়ারি মাস হচ্ছে সবচেয়ে শীততম মাস। তাই আগামীতে আরো তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্যাগস

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

ভূরুঙ্গামারীতে তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে জনজীবন

আপডেট সময় ০৫:১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
দেশের তিনদিকে  সীমান্ত বেষ্টিত  একমাত্র  উত্তরের  জনপদ কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলা। হিমালয়ের পাদদেশ ছোঁয়া হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীতে কাঁবু হয়ে পড়েছে ভূরুঙ্গামারীর সমগ্র  জনপদের মানুষ। একদিকে ঘন কুয়াশা অপরদিকে তীব্র শীত সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কনকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের অসহায়  শ্রমজীবী মানুষ। গত তিনদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় এবং হিমেল হাওয়ায় কমছে এই এলাকার তাপমাত্রা।
ঘন কুয়াশার দাপটে  হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সকল যানবাহন। আজ বৃহস্পতিরার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃহস্পতিরার বেলা বারার সাথে সাথে দুপুর ১২. ৩০ মিনিটের দিকে  সূর্যের আলো কিছুটা হলেও লক্ষ্য করা গেছে।  রাতে শরীরে পাতলা কাপড় জড়িয়ে জরাজরি করে  শুয়ে থাকলেও জীবিকার প্রয়োজনে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের কাজে না গেলেই নয়।
উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের ইয়াকুব আলী (৭৫), মজিবর মিয়া (৬৯), আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের ময়েজ উদ্দিন (৮০) কান্দরি বেওয়া (৭০) সহ অনেকেই জানান, ‘কি ঠান্ডা ‘। ঠান্ডা বাতাসে হাত, পাও গড় গড় করি কাপে। বুড়া হাড্ডিত জ্বার খুবই কাহিল নাগছে। পাতলা কাপড়ে ঠান্ডায় রাত-দিন কাটছে না। কেমন করি বাচমো কনতো।
ভেনগাড়ি চালক আজিজুল মিয়া জানান, গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বাইর হইছি; কিন্তু ভাড়া পাচ্ছি না। গত তিনদিন থেকে পরিবারের জন্য খাবার কিনতে কষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দুই ধাপে ৯০০ কম্বল ও ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বরাদ্দ ৬ লাখ টাকা দিয়ে ১ হাজার ৪০০ কম্বল ক্রয় করা হয়েছে। কম্বল বিতরণ চলমান আছে।
কুড়িগ্রাম জেলা রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বছরের জানুয়ারি মাস হচ্ছে সবচেয়ে শীততম মাস। তাই আগামীতে আরো তাপমাত্রা কমে শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।