ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উল্লাপাড়ার বড়হর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহায়ক তারিকুল ১ যুগ ধরে বহাল তবিয়তে!

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক তারিকুল ইসলাম দীর্ঘ এক যুগ ধরে একই কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এ কারনে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরী করে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ। অর্থ না দিলেই শুরু করেন খারাপ ব্যবহার। হতে হন হয়রানির শিকার। এতেও তিনি ক্ষ্যন্ত না হয়ে সেবাগ্রহীতাদের দেন হুমকি। উপজেলা ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে গড়ে তুলেছেন বিশেষ সখ্যতা।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১২ সালে ১৮ এপ্রিল তারিকুল ইসলাম উপজেলা বড়হর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে অফিস সহায়ক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি উপজেলার অসাধু কর্মকর্তা- কর্মচারীসহ অনেকের সাথে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। ভুমি অফিসটি নিজ এলাকায় হওয়ায় তিনি তার ইচ্ছামত অফিস করেন, প্রভাব খাটিয়ে অথবা কৌশলে সেবাগ্রহীতাদের থেকে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন অর্থ। তার সাথে অর্থনৈতিক ভাবে লেন দেন না হলেই হতে হয় হয়রানির শিকার। এমনকি অবৈধভাবে অর্থ নিয়ে অফিসের গোপন নথি দিয়ে দেন অন্যদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সেবাগ্রহীতা বলেন, ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক তারিকুল ইসলাম একটু চালাক এবং ধান্ধাবাজ প্রকৃতির মানুষ। সে কোন কাজে গেলে নায়েব সাহেবের সাথে কথা বলতে দিতে চায় না। তার কাছে সকল কাজের কাগজপত্র দিতে বলেন। ভুমি অফিসে খাজনা দিতে গেলেও হতে হয় হয়রানির শিকার। অনলাইনে ঢোকা যাচ্ছে না। কাজ হচ্ছে না বলে দিনের পর দিন হয়রানি করতে থাকেন। যদি খাজনার টাকার সাথে তাকে কিছু টাকা দেওয়া হয় দ্রুত কাজ করে দেন। অনলাইনে নামজারির আবেদন করে সরকারি ফি জমা দিলেও তাকে দিতে হয় আলাদা টাকা। টাকা না দিলেই করে হয়রানি। এমনকি তার কথার সাথে মিল না হলেই বিভিন্নজনকে দিয়ে দেন হুমকি।
তারা আরো বলেন, বড়হর ইউনিয়ন ভুমি অফিস বাড়ি থেকে অল্প দূরত্ব হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন যাবৎ একই কর্মস্থলে থাকায় তার সাথে এলাকার অসাধু মানুষের সম্পর্ক ভাল। কাজেই তিনি তার আধিপত্য দেখাতে চান ভুমি অফিসে সেবাগ্রহীতাদের সাথে।
ভুক্তভোগীরা ঘুষখোর অফিস সহাকারী তরিকুলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
বড়হর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন বলেন, এটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমি এ ব্যাপারে আপনাদের কিছুই বলবো না। তবে আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবগত করবো।
উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শারমিন সুলতানা রিমা বলেন, এবিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব। অতিরিক্ত অর্থ আদায় বা হয়রানির বিষয়টা দেখা হবে।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

উল্লাপাড়ার বড়হর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহায়ক তারিকুল ১ যুগ ধরে বহাল তবিয়তে!

আপডেট সময় ০৭:১৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক তারিকুল ইসলাম দীর্ঘ এক যুগ ধরে একই কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এ কারনে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরী করে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ। অর্থ না দিলেই শুরু করেন খারাপ ব্যবহার। হতে হন হয়রানির শিকার। এতেও তিনি ক্ষ্যন্ত না হয়ে সেবাগ্রহীতাদের দেন হুমকি। উপজেলা ভূমি অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে গড়ে তুলেছেন বিশেষ সখ্যতা।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১২ সালে ১৮ এপ্রিল তারিকুল ইসলাম উপজেলা বড়হর ইউনিয়ন ভুমি অফিসে অফিস সহায়ক হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি উপজেলার অসাধু কর্মকর্তা- কর্মচারীসহ অনেকের সাথে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। ভুমি অফিসটি নিজ এলাকায় হওয়ায় তিনি তার ইচ্ছামত অফিস করেন, প্রভাব খাটিয়ে অথবা কৌশলে সেবাগ্রহীতাদের থেকে অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন অর্থ। তার সাথে অর্থনৈতিক ভাবে লেন দেন না হলেই হতে হয় হয়রানির শিকার। এমনকি অবৈধভাবে অর্থ নিয়ে অফিসের গোপন নথি দিয়ে দেন অন্যদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক সেবাগ্রহীতা বলেন, ভুমি অফিসের অফিস সহায়ক তারিকুল ইসলাম একটু চালাক এবং ধান্ধাবাজ প্রকৃতির মানুষ। সে কোন কাজে গেলে নায়েব সাহেবের সাথে কথা বলতে দিতে চায় না। তার কাছে সকল কাজের কাগজপত্র দিতে বলেন। ভুমি অফিসে খাজনা দিতে গেলেও হতে হয় হয়রানির শিকার। অনলাইনে ঢোকা যাচ্ছে না। কাজ হচ্ছে না বলে দিনের পর দিন হয়রানি করতে থাকেন। যদি খাজনার টাকার সাথে তাকে কিছু টাকা দেওয়া হয় দ্রুত কাজ করে দেন। অনলাইনে নামজারির আবেদন করে সরকারি ফি জমা দিলেও তাকে দিতে হয় আলাদা টাকা। টাকা না দিলেই করে হয়রানি। এমনকি তার কথার সাথে মিল না হলেই বিভিন্নজনকে দিয়ে দেন হুমকি।
তারা আরো বলেন, বড়হর ইউনিয়ন ভুমি অফিস বাড়ি থেকে অল্প দূরত্ব হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন যাবৎ একই কর্মস্থলে থাকায় তার সাথে এলাকার অসাধু মানুষের সম্পর্ক ভাল। কাজেই তিনি তার আধিপত্য দেখাতে চান ভুমি অফিসে সেবাগ্রহীতাদের সাথে।
ভুক্তভোগীরা ঘুষখোর অফিস সহাকারী তরিকুলের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
বড়হর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন বলেন, এটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়। আমি এ ব্যাপারে আপনাদের কিছুই বলবো না। তবে আমি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবগত করবো।
উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শারমিন সুলতানা রিমা বলেন, এবিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিব। অতিরিক্ত অর্থ আদায় বা হয়রানির বিষয়টা দেখা হবে।
আরো  পড়ুন : শূন্য থেকে কোটিপতি হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ