ঢাকা ০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রায়গঞ্জে নও মুসলিমের বাড়িঘর দখল, হত্যা ও গুম চেষ্টার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাংগাসী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের নব মুসলিম ইসমাইল হোসেনের বাড়িঘর দখল ও মারপিট খুন গুম করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গেলে নও মুসলিম ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার ভায়রা ইয়াকুব আলী তার ছেলে ও স্বজনদের সাথে নিয়ে আমার বাড়িঘর দখল করার চেষ্টা করে। আমি তাতে বাধা দিলে আমাকে হত্যা করে টুকরো করে গুম করা হবে বলে হুমকি দিয়ে বীরত্বের সাথে চলে যায়। এবিষয়ে আমি এলাকার মুরুব্বিদের জানিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সিরাজগঞ্জ কোর্টে একটা মামলা দায়ের করি। এ অবস্থায় এখানে আমার আপনজন কেউ না থাকায় আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকমে বেচে আছি। আমি যদি কখনো মারা যাই তাহলে ওদের কারনেই মারা যাবো। আমি ওপেন হার্ড সার্জারী করা একজন অসহায় নও মুসলিম। তাই আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি আমাকে বাচান, আমি বাঁচতে চাই।

অন্য দিকে ইয়াকুব আলী বলেন যা শুনছেন তা সত্য নয়, আর আমরা জমির কোন টাকা পাইনি। আরও ঘটনার গভীরে গিয়ে জানা যায় নব মুসলিম ইসমাইল হোসেন ঢাকায় কোম্পানির চাকরি অবস্থায় মনোহরপুর গ্রামের ইয়াকুব এর ছোট শালিকাকে বিয়ে করেন এর পর ভায়রা ইয়াকুব আলী নও মুসলিম ইসমাইল হোসেনকে শশুরবাড়ি মনোহরপুর গ্রামে জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার বিভিন্ন প্রোলোভন দিয়ে ইয়াকুব আলীর নিকট থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে রাস্তার পাশে পাঁচ শতক জায়গা ক্রয় করে নও মুসলিম ইসমাইল হোসেন এর নামে তিন (৩) শতক আর স্ত্রী ময়না বেগমের নামে (২) দুই শতক লিখে দেয়। এরই মধ্যে স্ত্রী ময়নার সাথে নব মুসলিম ইসমাইল হোসেন এর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে ভায়রা ইয়াকুব আলীর নির্দেশে ময়না বেগম তার দুই শতক বাড়ির জমি সামনে থেকে বড় বোন নুরজাহানকে রেজিষ্ট্রি করে দেয়, এমতাবস্থায় নব মুসলিম ইসমাইল হোসেন পিছন বাড়ি থেকে বের হতে সামনে আসলেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুন গুম হত্যার হুমকি দেয় ইয়াকুব আলী বাহিনীর লোকজন।

অন্য দিকে ৬০ ষাট হাজার টাকার বিনিময়ে দুই শতক জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মুরুব্বিরা গ্রামীণ রায় দিলেও টাকা পরিশোধ করা সত্বেও গত এক বছরেও উক্ত জমি বা টাকা ফেরত দেওয়া হয় নাই। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে সরকারি প্রসাশনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সকল স্তরের জনগণ।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

রায়গঞ্জে নও মুসলিমের বাড়িঘর দখল, হত্যা ও গুম চেষ্টার অভিযোগ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

রায়গঞ্জে নও মুসলিমের বাড়িঘর দখল, হত্যা ও গুম চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৮:৩৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাংগাসী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের নব মুসলিম ইসমাইল হোসেনের বাড়িঘর দখল ও মারপিট খুন গুম করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে গেলে নও মুসলিম ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার ভায়রা ইয়াকুব আলী তার ছেলে ও স্বজনদের সাথে নিয়ে আমার বাড়িঘর দখল করার চেষ্টা করে। আমি তাতে বাধা দিলে আমাকে হত্যা করে টুকরো করে গুম করা হবে বলে হুমকি দিয়ে বীরত্বের সাথে চলে যায়। এবিষয়ে আমি এলাকার মুরুব্বিদের জানিয়ে কোন সুরাহা না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সিরাজগঞ্জ কোর্টে একটা মামলা দায়ের করি। এ অবস্থায় এখানে আমার আপনজন কেউ না থাকায় আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোন রকমে বেচে আছি। আমি যদি কখনো মারা যাই তাহলে ওদের কারনেই মারা যাবো। আমি ওপেন হার্ড সার্জারী করা একজন অসহায় নও মুসলিম। তাই আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি আমাকে বাচান, আমি বাঁচতে চাই।

অন্য দিকে ইয়াকুব আলী বলেন যা শুনছেন তা সত্য নয়, আর আমরা জমির কোন টাকা পাইনি। আরও ঘটনার গভীরে গিয়ে জানা যায় নব মুসলিম ইসমাইল হোসেন ঢাকায় কোম্পানির চাকরি অবস্থায় মনোহরপুর গ্রামের ইয়াকুব এর ছোট শালিকাকে বিয়ে করেন এর পর ভায়রা ইয়াকুব আলী নও মুসলিম ইসমাইল হোসেনকে শশুরবাড়ি মনোহরপুর গ্রামে জমি কিনে স্থায়ীভাবে বসবাস করার বিভিন্ন প্রোলোভন দিয়ে ইয়াকুব আলীর নিকট থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়ে রাস্তার পাশে পাঁচ শতক জায়গা ক্রয় করে নও মুসলিম ইসমাইল হোসেন এর নামে তিন (৩) শতক আর স্ত্রী ময়না বেগমের নামে (২) দুই শতক লিখে দেয়। এরই মধ্যে স্ত্রী ময়নার সাথে নব মুসলিম ইসমাইল হোসেন এর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে ভায়রা ইয়াকুব আলীর নির্দেশে ময়না বেগম তার দুই শতক বাড়ির জমি সামনে থেকে বড় বোন নুরজাহানকে রেজিষ্ট্রি করে দেয়, এমতাবস্থায় নব মুসলিম ইসমাইল হোসেন পিছন বাড়ি থেকে বের হতে সামনে আসলেই তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও খুন গুম হত্যার হুমকি দেয় ইয়াকুব আলী বাহিনীর লোকজন।

অন্য দিকে ৬০ ষাট হাজার টাকার বিনিময়ে দুই শতক জমি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মুরুব্বিরা গ্রামীণ রায় দিলেও টাকা পরিশোধ করা সত্বেও গত এক বছরেও উক্ত জমি বা টাকা ফেরত দেওয়া হয় নাই। বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে সরকারি প্রসাশনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকার সকল স্তরের জনগণ।