সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গায় অন্যর টাকা আত্নসাৎ করে শূন্য থেকে কোটিপতি বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গার হেলথ কেয়ার হসপিটালের মালিক ফিরোজ আহমাদের বিরুদ্ধে৷
ফিরোজ আহমেদ তাড়াশ থানার সরাপপুর বোয়ালিয়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে৷ ফিরোজের বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর৷ মাটি কেটে চালাতেন সংসার৷ ফিরোজ অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে তাড়াশের মাধাইনগর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন৷
পরে বগুড়া সাইক মেডিকেল ইন্সটিউট এ ডি এম এফ কোর্স করেন৷ পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় পারিবারিক ভাবে দেখে নিজের বোনের সাথে একযুগ আগে বিয়ে দেন মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নুরুল ইসলাম৷
বিয়ের পর তার হাসপাতালের দ্বায়িত্ব দেন ফিরোজকে৷ এতে ফিরোজ আলাদিনের চেরাগ হাতে পান৷ হাসপাতালে শুরু করেন লুটপাট৷ ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত নানা অনিয়ম লুটপাট শেষে নিজেই একটি হাসপাতালের মালিক বনে যান ফিরোজ ৷
লুটপাটের টাকায় নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করে হেলথকেয়ার হসপিটাল৷ হাসপাতাল খুলেই মেতে ওঠেন নারকীয় যজ্ঞে৷ ভুল রিপোর্ট প্রদান, পরীক্ষা না করেই নিজেদের ইচ্ছামত করে বানায় যে কোন প্যাথলজীর রিপোর্ট, হাসপাতালে রোগী এলেই ডাক্তার না থাকলেও নার্স, আয়া দিয়ে করাতেন সিজার৷
এতে অনেকেরই বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ বাচ্চা মারা গেলেই অদৃশ্য একটি ছায়া শেল্টার দিতেন ফিরোজকে৷ মূহূর্তেই যত সামান্য টাকা দিয়ে করে দিতেন মীমাংসা৷
এভাবে ফিরোজ হয়ে ওঠেন আরো বেপোরোয়া। রোগী চিকিৎসা নিতে এলেই ইচ্ছামত বসাতে থাকেন মোটা অংকের বিল৷ এতে রোগীর পরিবার হিমশিম খেলেও টাকা দিয়েই বাচ্চা ও রোগীদের নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না এতে কসাই নামেও পরচিতি পায় ফিরোজ ৷
নিজের নামের সামনে ডাক্তার লেখার কোন অধিকার নেই, তার পরেও ডাক্তার লাগিয়ে বনে গেছেন বড় ডাক্তারের সারিতে। তার রয়েছে বিশাল এক মার্কেটিং টিম৷ যারা রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে আসলেই পান মোটা অঙ্কের টাকা, এভাবেই ফিরোজের ব্যবসার রমরমা অবস্থা৷
এ বিষয়ে মা জেনারেল হাসপাতালের মালিক নুরুল ইসলাম জানান, ফিরোজ আমার হাসপাতালের দায়িত থাকা অবস্থায় আমার হাসপাতালে চালিয়েছে লুটপাট। বোনের স্বামী বিধায় কিছু বলা হয় নি৷ আমার টাকায় হাসপাতাল দিয়ে এখন তার কর্মকান্ড সত্যিই নেক্কার জনক৷
এ বিষয়ে হেলথ কেয়ার হাসপাতালের মালিক ফিরোজ হাসান কোন কথা বলতে চান না৷
ডি এম এফ কোর্স করে ডাক্তার লিখতে পারবেন কি না এ বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডাঃ রাম প্রদ রায়কে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেন নি৷
আরো পড়ুন : সলঙ্গা থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়কের নামে থানায় অভিযোগ