সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগডুমুর গ্রামে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই ভুয়া নবজাগরণ বহুমুখী সমবায় সমিতির সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে প্রতারনার ফাঁদ তৈরী করা হয়েছে। এলাকায় গরিব অসহায় ও বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের মধ্যে কড়া সুধে টাকা আদান প্রদান করা, লোন প্রদান করা সহ গ্রাহকের চাহিদামতো বিভিন্ন নিম্ন মানের পন্যসামগ্রিই সরবরাহ করে চড়া মূল্য ধরে সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তি আকারে নিয়মিত আদায় করে থাকেন উক্ত সমিতির ম্যানেজার আলাউদ্দিন।
গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে উক্ত নবজাগরণ বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যকম পরিচালনা করা হয়। উক্ত সমিতির সভাপতি, রেজাউল করিম খোকন, সহসভাপতি, মোঃ জাহিদুল ইসলাম সহ অনেকেই বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের আইনকে অমান্য করে সরকারি কর, ট্যাক্স,ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে এই অবৈধ ভুয়া নবজাগরণ বহুমুখী সমবায় সমিতির চড়া মূল্যর সুদ ব্যবসার কাজ চলমান রয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও এলাকার গরিব অসহায় সাধারণ মানুষ।অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে নবজাগরণ বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য।
এ বিষয়ে উক্ত সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম খোকন বলেন, আমরা এখনো সরকারি অনুমোদন পাইনি এবং সমাজসেবা দপ্তরে আবেদন করে রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সমিতির শুরুতে ১০ টাকা সঞ্চয় ধরেছিলাম। বর্তমানে ২০০ শত টাকা সঞ্চয় ধরা হয়েছে। এবং মানুষ টাকা নিয়ে লাভসহ সময়মতো দিতে চায়না তাই এ ব্যবসা বাদ দিতে হবে।
অন্য দিকে সমিতির বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে সভাপতি রেজাউল করিম খোকন সাংবাদিকে ম্যানেজ করারও চেষ্টা করেন।
মাদ্রাসার শিক্ষক ও সমিতির সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, এই সমিতি পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা এখনো সরকারিভাবে কোন বৈধ লাইসেন্স বিভিন্ন জটিলতার কারণে করতে পারি নাই এবং ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু করা হলেও মাঝখানে এর কাযর্ক্রম বন্ধ হয়ে আবার নতুন আঙ্গিকে শুরু করা হয়েছে। তাদের এই অবৈধ উপায়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যম নিউজ প্রচার করতে চাইলেও তিনি নিষেধ করেন।
অপরদিকে ম্যানেজার আলাউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারির সাথে কথা বলে জেনে নিন এবং আমি আপনার সাথে পরে কথা বলবো।
এদিকে এলাকার সচেতন মহল উক্ত নবজাগরণ বহুমুখী সমবায় সমিতির অবৈধ কার্ষক্রম সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুনজর কামনা করছেন এবং সরকারি আইন অমান্য করার অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যথায় এলাকার গরিব, অসহায়, সাধারণ মানুষ, দেশ ও জাতির ভয়াবহতা সৃষ্টি হবে বলেও মনে করেন তারা।
দূর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তারা বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচারের ব্যাবস্থা করা হবে।