কত কিছুই না ইচ্ছে করে…
মাহমুদুন্নবী জ্যোতি
ইচ্ছে করে…
নিরণ্ন মানুষের মুখের আহার হই
হাসি হই দুখিনী মায়ের মুখে
স্বামীহারা তরুণীর দীর্ঘশ^াস মুছে ফেলি
জাগিয়ে তুলি নতুন স্বপ্নের দিগন্ত রেখা।
ইচ্ছে করে…
দিগন্ত বিস্তৃত বালুকারাশির বুকে
জেগে উঠি সবুজ তৃণ হয়ে
সবুজ শ্যামলিমায় ভরে তুলি তপ্ত পৃথিবীকে
পাখির কলরবে ভরে তুলি প্রতিটি বাতায়ন।
ইচ্ছে করে…
সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার হই
নেতা কিম্বা সমাজ সেবক হয়ে নয়
শুদ্ধ মানুষ হয়ে
সকল মানবাত্মায় জাগিয়ে তুলি স্মরণের তরঙ্গ
যে তরঙ্গে ভেসে যাবে
অন্যায়-অবিচার লোভ-লালসা হিংসা-বিদ্বেষ।
ইচ্ছে করে…
গলির মুখে দাঁড়ানো ছিচকে মাস্তানকে
ময়লা কাপড় পড়া কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে
ভালোবাসার চাদরে মুড়িয়ে নিয়ে যাই সুস্থ জীবনে
তুলে দেই শঙ্কিত পিতামাতার কোলে।
ইচ্ছে করে…
ঈদের খুশি হয়ে অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে
আনন্দ ফেরি করে বিনামূল্যে বিক্রি করি
অভুক্ত শিশুটির মুখে তুলে দেই পুষ্টি
প্রতিটি বস্তিঘরে কেটে দেই দখিনা জানালা।
ইচ্ছে করে…
নিজ হাতে ধ্বংস করে ফেলি পৃথিবীর সকল মারণাস্ত্র
ফুলে ফুলে ভরে তুলি সকল অস্ত্রাগার
ভীত শিশুদের মুখে জাগিয়ে তুলি অনাবিল হাসির ফোয়ারা
নিরাপদ ও বাসযোগ্য করে তুলি পৃথিবীর প্রতিটি আঙিনা।
ইচ্ছে করে…
ক্ষুদ্র হৃদয়টাকে সীমাহীন নীলিমা বানাই
তার শান্ত বুকে অবিরাম শান্তির কপোত উড়াই
ভালোবাসার বর্ণিল ঘুড্ডি উড়িয়ে দেই আকাশে
নির্মল হিল্লোলে ভেসে বেড়াই আমি-আমরা-সবাই।
আরো পড়ুন : আমি বারবার কবি হয়ে উঠি