বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ১৫ ও ২০ নভেম্বর ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। এই দুই ম্যাচের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন কোচ দরিভাল জুনিয়র। তার ২৩ জনের এই দলে জায়গা পাননি দুই সুপারস্টার নেইমার এবং এনদ্রিক।
দীর্ঘ এক বছরের ইনজুরি কাটিয়ে সৌদি ক্লাব আল হিলালের হয়ে মাঠে ফিরেছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার। গত ২১ অক্টোবর ইনজুরির পর প্রথম মাঠে নামেন তিনি। যদিও বদলি হিসেবে শেষ মুহূর্তে মাঠে ছিলেন নেইমার।
ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র নেইমারকে দলে না নেয়ার কারণ হিসেবে জানালেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখনই তাকে দলে নেব না। তার ওপর অতিরিক্ত বোঝা এখনই চাপিয়ে দেবো না। সে প্র্যাকটিক্যালি পুরোপুরি সুস্থ খেলার জন্য। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিট খেলার সুযোগ পেয়েছে। যেটা এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।’
ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার নিজ দেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর। যে ম্যাচে তিনি বাম পায়ের হাঁটুতে মারাত্মক আঘাত পেয়েছিলেন।
নেইমারকে নিয়ে কোচ দরিভাল জুনিয়র আরো বলেন, ‘সে দলে ফিরতে খুবই আগ্রহী। তবে, বাস্তবতাও মেনে নিয়েছে সে। অবস্থা হচ্ছে যে, মাঠে মাত্র সে ১৩ মিনিট কাটিয়েছে। আমরা তার ক্লাবের (আল হিলাল) প্রক্রিয়াকে সম্মান জানাই। তারা ধীরে ধীরে নেইমারকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনছে। একটা খেলোয়াড় তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকবে, এটা তো আমাদেরও চাওয়া। ‘
এবার জাতীয় দলে সুযোগ পাননি তো, নেইমারকে অপেক্ষা করতে হবে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত। কারণ, অক্টোবরে এই দুই ম্যাচ খেলে ফেলার পর জাতীয় দলের আর কোনো ম্যাচ নেই। আগামী বছর মার্চে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ রয়েছে।
অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মাত্র ১০৭ মিনিট মাঠে ছিলেন ১৮ বছর বয়সী তরুণ তারকা এনদ্রিক। এছাড়া সর্বশেষ চার ম্যাচে তাকে মাঠেই নামাননি কোচ আনচেলত্তি।
অক্টোবরে বাছাই পর্বে ঘাড়ে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তবে এবারের দলে ফিরেছেন তিনি। তবে এবার ভিনির সামনে জাতীয় দলের হয়ে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ। ব্যালন ডি’অর পেতে যাচ্ছেন- এমন অবস্থা থেকে তাকে এই পুরস্কারটি দেয়া হয়নি। এই চরম হতাশাকে সঙ্গে নিয়েই জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামবেন রিয়াল তারকা।
ব্রাজিল স্কোয়াড
গোলরক্ষক: বেন্তো (আল নাসর), এডারসন (ম্যানসিটি), ওয়েভার্টন (পালমেইরাস)
ডিফেন্ডার: দানিলো (জুভেন্টাস), ভ্যান্ডারসন (মোনাকো), অ্যাবনার (লিওঁ), গুইলেরমে আরানা (অ্যাটলেটিকো মিনেইরো), এডার মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), গ্যাবরিয়েল মাগালায়েস (আর্সেনাল), মার্কুইনহোস (পিএসজি), মুরিলো (নটিংহ্যাম ফরেস্ট)।
মিডফিল্ডার: অ্যান্দ্রে (উলভারহ্যাম্পন), আন্দ্রেস পেরেইরা (ফুলহ্যাম), ব্রুনো গুইমারেস (নিউক্যাসল), গারসন (ফ্ল্যামেঙ্গো), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্টহ্যাম) ও রাফিনহা (বার্সেলোনা)।
ফরোয়ার্ড: এস্তোভাও (পালমেইরাস), ইগোর হেসুস (বোটাফোগো), লুইজ হেনরিক (বোটাফোগো), রদ্রিগো (রিয়াল মাদ্রিদ), সাভিনহো (ম্যানসিটি) ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)।