সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব বাসুদেব ঘোষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, কর্মে ফাঁকি ও সেবা গ্রহীতাদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী মহল আজ রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান পরিষদের সচিব বাসুদেব ঘোষ মিলে সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। সলঙ্গার তৎকালিন সচিব আব্দুল আলিমকে সরিয়ে দিয়ে দুর্নীতিবাজ সচিব বাসুদেব ঘোষকে তাড়াশ থেকে নিয়ে এসে যোগদান করান আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মোখলেছ।
বাসুদেব ষোঘ সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে যোগদানের পর হতেই হয়রানী ও সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পে নয়ছয়,ইচ্ছেমত ভিজিডি, ভিজিএফ, কর্মসৃজন কর্মসুচী, টিসিবি,কাবিটা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সকল কাজে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন। চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থাকলেও তার দোসর আওয়ামী লীগ সচিব বাসুদেব ঘোষ নিয়ম বহির্ভুত ভাবে নাগরিক, চারিত্রিক, জন্ম-মৃত্যু, ওয়ারিশীয়ানসহ বিভিন্ন কাগজে এখনও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করাচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। ইচ্ছেমত পরিষদে আসা যাওয়া করায় সচিবের অপেক্ষায় জনগনকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পরিষদের বেশ কয়েকজন মেম্বারা জানান, সচিব তার পরিষদের মেম্বারদেরও তোয়াক্কা করছেন না।মেম্বাররা অভিযোগ করে বলেন,আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যানের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে এখনও আগের মতই দুর্নীতি করে পরিষদ চালাচ্ছেন।
একাধিক অভিযোগকারী জানান, সরকারি ফ্রির চেয়ে জন্ম নিবন্ধনে এখনও দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছেন সচিব। সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগীরা তার কাছে জিম্মি। আক্ষেপ করে অনেকেই জানান, দুর্নীতিবাজ সচিব ধরাকে সরাজ্ঞান করছেন।কোন কিছুতেই যেন থামছে না তার অপকর্ম।
অনেকেই বলছেন,তাড়াশ সদরে বহুতলার আলীশান ভবন নির্মাণ করেছেন। তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নে থাকা কালীন এডিবি, এলজিএসপি’র অর্থ লোপাটসহ বিভিন্ন অপরাধে সিরাজগঞ্জ পিবিআই-এ তদন্তাধীন রয়েছে তার দুর্নীতির মামলা।এ বিষয়ে আত্মগোপনে থাকা চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমানের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করলে বন্ধ পাওয়া যায়।আনীত অভিযোগগুলো মিথ্যা ও প্রতিহিংসার সামিল বলে জানান অভিযুক্ত সচিব বাসুদেব ঘোষ।
সরেজমিনে তদন্ত পুর্বক তার অপসারন দাবী জানান ভুক্তভোগী মহল।