ঢাকা ০৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন : শামসুজ্জামান দুদু দর্শনায় পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা; নিহত ৩৮

নামাজে কী টুপি বাধ্যতামূলক?

  • ইসলাম ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • 84

টুপি পরিধান করা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে টুপি পরেছেন। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন, তাবে-তাবেইন এবং পরবর্তীসময়ে সব যুগে মুসলমানদের মধ্যে টুপি পরার আমলের ধারাবাহিকতা চলে আসছে।

হাসান বিন মেহরান থেকে বর্ণিত, একজন সাহাবি বলেছেন, আমি আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাথে তার দস্তরখানে খেয়েছি এবং তার মাথায় সাদা টুপি দেখেছি। (আল ইসাবা: ৪/৩৩৯)

সুলাইমান ইবনে আবি আবদিল্লাহ বলেন, আমি প্রথম সারির মুহাজিরগণকে দেখেছি তারা সুতির পাগড়ি পরিধান করতেন। কালো, সাদা, লাল, সবুজ, হলুদ ইত্যাদি রংয়ের। তারা পাগড়ির কাপড় মাথায় রেখে তার উপর টুপি রাখতেন। অতপর তার উপর পাগড়ি ঘুরিয়ে পরতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১২/৫৪৫)

নামাজ আদায়ের সময়ও টুপি পরিধান করা সুন্নত। তবে এটা ওয়াজিব বা অপরিহার্য নয়। টুপি ছাড়া নামাজ আদায় করলেও নামাজ হয়ে যাবে। কিন্তু নিছক অলসতার কারণে খালি মাথায় নামাজ আদায় করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়।

নামাজের সময় মাথা থেকে টুপি পরে গেলে কী করবো?
নামাজের মধ্যে মাথা থেকে টুপি পরে গেলে যদি এক হাত দিয়ে তা উঠিয়ে পরে নেওয়া সম্ভব হয় তাহলে টুপি উঠিয়ে পরে নেওয়াই উত্তম। আর যদি দুই হাত ব্যবহার করা ছাড়া ওঠানো সম্ভব না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে টুপি না ওঠানোই উচিত।

কারণ টুপি ওঠাতে গিয়ে ‘আমলে কাসির’ বা বেশি কাজ হয়ে গেলে নামাজ ভেঙে যেতে পারে। ফুকাহায়ে কেরামের পরিভাষায় ‘আমলে কাসির’ বলা হয়, নামাজে এমন নড়াচড়া বা কাজকে যে নড়াচড়া বা কাজের কারণে তাকে দেখে নামাজরত নয় বলে ধারণা হয়। নামাজে ‘আমলে কাসির’ করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।

নামাজরত অবস্থায় মাথা থেকে টুপি পরে যাওয়ার পর টুপি ওঠানোর জন্য কেউ যদি আমলে কাসির করে অর্থাৎ সময় নিয়ে দুই হাত এমনভাবে ব্যবহার করে টুপি পরিধান করে যে তাকে দেখে মনে হয় সে নামাজ পড়ছে না, তাহলে তার নামাজ ভেঙে যাবে। তাই টুপি ওঠানোর জন্য যেন আমলে কারিস না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

দাঁড়ানো বা রুকু অবস্থায় মাথা থেকে টুপি পরে গেলে তা ওঠানোর চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু এ অবস্থায় আমলে কাসির না করে টুপি ওঠানো অসম্ভব। সিজদা বা বৈঠকের সময় টুপি পরে গেলে এক হাত দিয়ে উঠিয়ে পড়ে নেবে।

পারিবারিক শান্তির জন্য মহানবী (সাঃ) এর কিছু পরামর্শ

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

রাজশাহীতে সোনালী ব্যাংকের বিভাগীয় ব্যবসায়িক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

নামাজে কী টুপি বাধ্যতামূলক?

আপডেট সময় ০৭:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

টুপি পরিধান করা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজে টুপি পরেছেন। সাহাবায়ে কেরাম, তাবেইন, তাবে-তাবেইন এবং পরবর্তীসময়ে সব যুগে মুসলমানদের মধ্যে টুপি পরার আমলের ধারাবাহিকতা চলে আসছে।

হাসান বিন মেহরান থেকে বর্ণিত, একজন সাহাবি বলেছেন, আমি আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাথে তার দস্তরখানে খেয়েছি এবং তার মাথায় সাদা টুপি দেখেছি। (আল ইসাবা: ৪/৩৩৯)

সুলাইমান ইবনে আবি আবদিল্লাহ বলেন, আমি প্রথম সারির মুহাজিরগণকে দেখেছি তারা সুতির পাগড়ি পরিধান করতেন। কালো, সাদা, লাল, সবুজ, হলুদ ইত্যাদি রংয়ের। তারা পাগড়ির কাপড় মাথায় রেখে তার উপর টুপি রাখতেন। অতপর তার উপর পাগড়ি ঘুরিয়ে পরতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১২/৫৪৫)

নামাজ আদায়ের সময়ও টুপি পরিধান করা সুন্নত। তবে এটা ওয়াজিব বা অপরিহার্য নয়। টুপি ছাড়া নামাজ আদায় করলেও নামাজ হয়ে যাবে। কিন্তু নিছক অলসতার কারণে খালি মাথায় নামাজ আদায় করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়।

নামাজের সময় মাথা থেকে টুপি পরে গেলে কী করবো?
নামাজের মধ্যে মাথা থেকে টুপি পরে গেলে যদি এক হাত দিয়ে তা উঠিয়ে পরে নেওয়া সম্ভব হয় তাহলে টুপি উঠিয়ে পরে নেওয়াই উত্তম। আর যদি দুই হাত ব্যবহার করা ছাড়া ওঠানো সম্ভব না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে টুপি না ওঠানোই উচিত।

কারণ টুপি ওঠাতে গিয়ে ‘আমলে কাসির’ বা বেশি কাজ হয়ে গেলে নামাজ ভেঙে যেতে পারে। ফুকাহায়ে কেরামের পরিভাষায় ‘আমলে কাসির’ বলা হয়, নামাজে এমন নড়াচড়া বা কাজকে যে নড়াচড়া বা কাজের কারণে তাকে দেখে নামাজরত নয় বলে ধারণা হয়। নামাজে ‘আমলে কাসির’ করলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।

নামাজরত অবস্থায় মাথা থেকে টুপি পরে যাওয়ার পর টুপি ওঠানোর জন্য কেউ যদি আমলে কাসির করে অর্থাৎ সময় নিয়ে দুই হাত এমনভাবে ব্যবহার করে টুপি পরিধান করে যে তাকে দেখে মনে হয় সে নামাজ পড়ছে না, তাহলে তার নামাজ ভেঙে যাবে। তাই টুপি ওঠানোর জন্য যেন আমলে কারিস না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

দাঁড়ানো বা রুকু অবস্থায় মাথা থেকে টুপি পরে গেলে তা ওঠানোর চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। যেহেতু এ অবস্থায় আমলে কাসির না করে টুপি ওঠানো অসম্ভব। সিজদা বা বৈঠকের সময় টুপি পরে গেলে এক হাত দিয়ে উঠিয়ে পড়ে নেবে।

পারিবারিক শান্তির জন্য মহানবী (সাঃ) এর কিছু পরামর্শ