ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে চরম ডানপন্থি ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী গোষ্ঠী ও ব্যক্তিদের ওপর সাবেক বাইডেন প্রশাসনের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার হোয়াইট হাউজের নতুন ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের নতুন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্যের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা নির্বাহী আদেশ ১৪১১৫ বাতিল করেছেন। ওই নির্বাহী আদেশ পশ্চিম তীরের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারী ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
ওই সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন অসংখ্য ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সম্পদ জব্দ করেছিল এবং তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের লেনদেন নিষিদ্ধ করেছিল।
এখন ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প বাইডেনের প্রশাসনের একটি প্রধান নীতিগত পদক্ষেপ পুরোপুরি উল্টে দিলেন।
বিশ্বের অধিকাংশের মনোযোগ গাজা যুদ্ধের দিকে থাকলেও পশ্চিম তীরের দখলকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমাগত সহিংসতা ও ভূমি দখল করে নেওয়ার ঘটনা ইসরায়েলের কিছু পশ্চিমা মিত্রকেই উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল।
এসব চরমপন্থি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাইডেন প্রশাসন বারবার ইসরায়েলের সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছিল। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল জর্ডান নদী ও পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তিনিরা তাদের স্বাধীন রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড হিসেবে পশ্চিম তীরকে চায়। পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি গড়ে তুলছে ইসরায়েল, যাকে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ অবৈধ বলে মনে করে। কিন্তু ইসরায়েল এর সঙ্গে দ্বিমত করে ভূখণ্ডটির সঙ্গে তাদের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বন্ধন আছে বলে দাবি করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রও দীর্ঘদিন ধরে এই বসতি স্থাপনকারীদের অবৈধ বলে বিবেচনা করে আসছিল। কিন্তু ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থান পাল্টে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে ‘বৈধ’ বলে স্বীকৃতি দেন। বাইডেন ক্ষমতা আসার পর এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র তার পুরনো অবস্থানে ফিরে যায়।