ঢাকা ০৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি উল্লেখযোগ্য বিজয় : প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ‘গোপন বৈঠক’, গ্রেপ্তার ২২, এক সেনা কর্মকর্তা হেফাজতে আগামী নির্বাচন প্রতিটি নাগরিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ : তারেক রহমান হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমির শফিকুর রহমান ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতিতে সদস্য মনোনয়ন কিছুদিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা : আইন উপদেষ্টা বিএসবির খায়রুলকে আরও ১০ মামলায় গ্রেপ্তার ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে জরিমানাও বসালেন ট্রাম্প আওয়ামী আমলে ভোট করা অপরাধ হলে বিএনপি-জামায়াতও অপরাধী: জাপা

সিরাজগঞ্জে চলন্ত ট্রাকে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ; টাক চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জের চলন্ত ট্রাকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে চালক সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ট্রাকচালক সোহেল রানা (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার আশুখোলা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।

সিরাজগঞ্জে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দেশে করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে চন্দ্রা থেকে ভিকটিমসহ ২ জন পুরুষ যাত্রী নিয়ে ড্রাইভার সোহেল রানা এবং হেলপার ওহাব শেখ ট্রাকযোগে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পার হয়ে ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভার বলে ট্রাকটি নষ্ট হয়েছে। সারতে অনেক সময় লাগবে। এতে পুরুষ যাত্রী ২ জন নেমে যান। তবে আপনার প্রতিবন্ধী যাত্রী রিমি ট্রাকের কেবিনের মধ্যে ছিলেন। পরে কেবিনের ভেতরে ড্রাইভার সোহেল রানা ভিকটিমকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে ঐ ট্রাকের ১ জন পুরুষ যাত্রী ঘটনাটি তার মোবাইলে ভিডিও করেন। এটা আসামীরা দেখে দ্রুত ভিকটিমসহ ট্রাক নিয়ে বগুড়ার দিকে চলে যান। তখন ইউনুস আলী সুমন-৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে, কড্ডার মোড়ে ২ জন আসামী এবং ভিকটিমসহ ট্রাকটি আটক করা হয়।

তাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় নেবার পর ভিকটিমের বাড়িতে খবর দেন। পরে তার বাবা এবং ভাই থানায় আসেন। তারা ভিকটিমের কাছে ঘটনা শুনে ভিকটিমের বাবা মো. আলতাফ হোসেন খান অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর ট্রাক ড্রাইভার সোহেল রানা স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা দেন। এরআগে ২০২৩ সালের ১২ মে আসামী ওহাব কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

নারীর চোখে যারা সুদর্শন পুরুষ

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সিরাজগঞ্জে চলন্ত ট্রাকে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ; টাক চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জের চলন্ত ট্রাকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে চালক সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ট্রাকচালক সোহেল রানা (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার আশুখোলা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।

সিরাজগঞ্জে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দেশে করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে চন্দ্রা থেকে ভিকটিমসহ ২ জন পুরুষ যাত্রী নিয়ে ড্রাইভার সোহেল রানা এবং হেলপার ওহাব শেখ ট্রাকযোগে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পার হয়ে ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভার বলে ট্রাকটি নষ্ট হয়েছে। সারতে অনেক সময় লাগবে। এতে পুরুষ যাত্রী ২ জন নেমে যান। তবে আপনার প্রতিবন্ধী যাত্রী রিমি ট্রাকের কেবিনের মধ্যে ছিলেন। পরে কেবিনের ভেতরে ড্রাইভার সোহেল রানা ভিকটিমকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে ঐ ট্রাকের ১ জন পুরুষ যাত্রী ঘটনাটি তার মোবাইলে ভিডিও করেন। এটা আসামীরা দেখে দ্রুত ভিকটিমসহ ট্রাক নিয়ে বগুড়ার দিকে চলে যান। তখন ইউনুস আলী সুমন-৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে, কড্ডার মোড়ে ২ জন আসামী এবং ভিকটিমসহ ট্রাকটি আটক করা হয়।

তাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় নেবার পর ভিকটিমের বাড়িতে খবর দেন। পরে তার বাবা এবং ভাই থানায় আসেন। তারা ভিকটিমের কাছে ঘটনা শুনে ভিকটিমের বাবা মো. আলতাফ হোসেন খান অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর ট্রাক ড্রাইভার সোহেল রানা স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা দেন। এরআগে ২০২৩ সালের ১২ মে আসামী ওহাব কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।