ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে যুগপৎ সঙ্গীদের সাথে আলোচনায় বিএনপি হামজার পর এবার আসছেন কানাডার সামিত সকল প্রকার অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিলের আহ্বান উপদেষ্টা আসিফের সরকারের মূল উদ্দেশ্য শিশুদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা : গণশিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের কাছেও হার বাংলাদেশের; কঠিন সমীকরণে বিশ্বকাপ ভাগ্য পারমাণবিক ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা হাসিনাসহ ১২ জনের নামে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারির আবেদন মুসলিম সংখ্যলঘুদের নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য ভারতের প্রত্যাখ্যান সংস্কার ও শেখ হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন নয় : গোলাম পরওয়ার

সিরাজগঞ্জে চলন্ত ট্রাকে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ; টাক চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জের চলন্ত ট্রাকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে চালক সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ট্রাকচালক সোহেল রানা (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার আশুখোলা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।

সিরাজগঞ্জে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দেশে করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে চন্দ্রা থেকে ভিকটিমসহ ২ জন পুরুষ যাত্রী নিয়ে ড্রাইভার সোহেল রানা এবং হেলপার ওহাব শেখ ট্রাকযোগে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পার হয়ে ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভার বলে ট্রাকটি নষ্ট হয়েছে। সারতে অনেক সময় লাগবে। এতে পুরুষ যাত্রী ২ জন নেমে যান। তবে আপনার প্রতিবন্ধী যাত্রী রিমি ট্রাকের কেবিনের মধ্যে ছিলেন। পরে কেবিনের ভেতরে ড্রাইভার সোহেল রানা ভিকটিমকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে ঐ ট্রাকের ১ জন পুরুষ যাত্রী ঘটনাটি তার মোবাইলে ভিডিও করেন। এটা আসামীরা দেখে দ্রুত ভিকটিমসহ ট্রাক নিয়ে বগুড়ার দিকে চলে যান। তখন ইউনুস আলী সুমন-৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে, কড্ডার মোড়ে ২ জন আসামী এবং ভিকটিমসহ ট্রাকটি আটক করা হয়।

তাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় নেবার পর ভিকটিমের বাড়িতে খবর দেন। পরে তার বাবা এবং ভাই থানায় আসেন। তারা ভিকটিমের কাছে ঘটনা শুনে ভিকটিমের বাবা মো. আলতাফ হোসেন খান অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর ট্রাক ড্রাইভার সোহেল রানা স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা দেন। এরআগে ২০২৩ সালের ১২ মে আসামী ওহাব কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।

© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

আমরা যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি : ড. ইউনূস

সম্পাদক ও প্রকাশক

মোঃ মাহমুদুন্নবী জ্যোতি

অফিসঃ ২/২ আরকে মিশন রোড , ঢাকা।

ইমেলঃ chalomanbarta@yahoo.com, chalomanbarta@gmail.com

মোবাইলঃ ০১৭১১০৫৬৮৬৬, ০১৬৮১৯২৪০০০

সিরাজগঞ্জে চলন্ত ট্রাকে প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ; টাক চালকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৫:১৮:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জের চলন্ত ট্রাকে মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে চালক সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক। এ সময় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ট্রাকচালক সোহেল রানা (৩২) বগুড়া সদর উপজেলার আশুখোলা গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে।

সিরাজগঞ্জে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি দেশে করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে চন্দ্রা থেকে ভিকটিমসহ ২ জন পুরুষ যাত্রী নিয়ে ড্রাইভার সোহেল রানা এবং হেলপার ওহাব শেখ ট্রাকযোগে বগুড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পার হয়ে ট্রাক থামিয়ে ড্রাইভার বলে ট্রাকটি নষ্ট হয়েছে। সারতে অনেক সময় লাগবে। এতে পুরুষ যাত্রী ২ জন নেমে যান। তবে আপনার প্রতিবন্ধী যাত্রী রিমি ট্রাকের কেবিনের মধ্যে ছিলেন। পরে কেবিনের ভেতরে ড্রাইভার সোহেল রানা ভিকটিমকে জোর করে ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকার শুনে ঐ ট্রাকের ১ জন পুরুষ যাত্রী ঘটনাটি তার মোবাইলে ভিডিও করেন। এটা আসামীরা দেখে দ্রুত ভিকটিমসহ ট্রাক নিয়ে বগুড়ার দিকে চলে যান। তখন ইউনুস আলী সুমন-৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে, কড্ডার মোড়ে ২ জন আসামী এবং ভিকটিমসহ ট্রাকটি আটক করা হয়।

তাদের সবাইকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় নেবার পর ভিকটিমের বাড়িতে খবর দেন। পরে তার বাবা এবং ভাই থানায় আসেন। তারা ভিকটিমের কাছে ঘটনা শুনে ভিকটিমের বাবা মো. আলতাফ হোসেন খান অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর ট্রাক ড্রাইভার সোহেল রানা স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা দেন। এরআগে ২০২৩ সালের ১২ মে আসামী ওহাব কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।