তারাবিহর নামাজ পড়াতে মালদ্বীপে যাচ্ছেন এনটিভির পিএইচপি কোরানের আলো প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হাফেজ ও কারি শেখ মাহমুদুল হাসান আশরাফী। জম্ম থেকেই দৃষ্টিশক্তি নেই তাঁর। তবে তাঁর এ দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা জীবন চলার পথে প্রতিবন্ধকতা হয়নি। কোরানের হাফেজ হয়ে আলো ছড়িয়ে বেড়াচ্ছেন দেশ-বিদেশে।
আজ রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ সুখবর জানাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এনটিভি কার্যালয়ে এসেছিলেন হাফেজ শেখ মাহমুদুল হাসান আশরাফী।
২০০১ সালে শেখ মাহমুদুল হাসান আশরাফী পিএইচপি কোরানের আলো অনুষ্ঠানে হয়েছিলে তৃতীয়। এরপর ইরান, অস্ট্রিয়া, ভারতেও কেরাত প্রতিযোগিতার স্থান করে নেন তিনি। এবার রমজানে তারাবিহর নামাজের ইমামতি করতে যাচ্ছেন মালদ্বীপে। মালদ্বীপের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে হুলহুমালে সিটির মসজিদ আল–ওয়ালিদাইনে তারাবির নামাজের ইমামতি করবেন তিনি।
শেখ মাহমুদুল হাসান আশরাফী জানান, আগামীকাল সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মালদ্বীপের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হাফেজ শেখ মাহমুদুল হাসান আশরাফী কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা শান্তিধারা এলাকার মারকাযুল মদিনা আল লতিফি আল ইসলামি মাদ্রাসায় পড়ছেন। তার বাবা ইনামুল হোসাইনও কোরআনের হাফেজ।
২০২৩ সালে ইরানে অনুষ্ঠিত ৩৯তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হন মাহমুদুল হাসান। দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ওই কোরআন প্রতিযোগিতায় ৮০টি দেশের মোট ১৫০ জন হাফেজ অংশ নেয়। ২২ ফেব্রুয়ারি তেহরানের সামিট হলে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসির হাত থেকে তিনি প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হওয়ার পুরস্কার গ্রহণ করেন। এ সময় প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রাইসি তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন। ওই প্রতিযোগিতার প্রতিপাদ্য ছিল ‘ওয়ান বুক, ওয়ান উম্মাহ’ বা ‘একগ্রন্থ, এক জাতি’।
২০২৪ সালে অস্ট্রিয়ায় আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হন এবং ২৪ সালের জুনে ভারতের আরেকটি কোরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হন।